পৃথিবী আর কতদিন বাসযোগ্য থাকবে?
- প্রকাশের সময় : ০৩:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৭২ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : পৃথিবীর উষ্ণতম বছর হলো ২০২৩ সাল। বছরটি উষ্ণতার দিক থেকে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এতে বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস সত্য প্রমাণ করে নিশ্চিত হওয়া গেল ২০২৩ ছিল এ গ্রহের এ যাবৎকালের উষ্ণতম বছর। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে আরও বলেছেন, পৃথিবীর এ অবস্থা মানুষেরই সৃষ্টি। এ গ্রহ গরম হয়ে ওঠার পেছনে জীবাশ্ম জ্বালানির বহুল ব্যবহারই দায়ী। তাই আর সময়ক্ষেপণ নয়, দ্রুত নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথে আমাদের হাঁটতে হবে। তা না হলে বর্তমান পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ক্লাইমেট সার্ভিসের তথ্যমতে, জীবাশ্ম জ্বালানির বহুল ব্যবহার শুরুর দীর্ঘ সময়ের গড় উষ্ণতা বাড়ার তুলনায় গত বছর পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ১ দশমিক ৪৮ ডিগ্রি। গেল বছরের জুলাই মাস থেকে প্রতিদিনই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার রেকর্ড সৃষ্টি হয়। অথচ বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এখন সত্যিই ব্যর্থতার দ্বারপ্রান্তে গিয়ে পৌঁছেছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে তাই দরকার গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন ও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের রাশ শক্ত হাতে টেনে ধরা। কিন্তু কাজটি করা সম্ভব হয়নি বলে গত বছরটি বিশ্বের উষ্ণতম বছরে পরিণত হয়। এটি বিশ্ববাসীর জন্য আসলেই দুশ্চিন্তার কারণ। ২০২৩ সালের মাসগুলো পার হয় একের পর এক উষ্ণতম মাস হিসাবে রেকর্ড সৃষ্টি করে। এর মধ্যে গত অক্টোবর মাসের তাপমাত্রা ছিল সবচেয়ে বেশি। বিশ্বের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করা উষ্ণতম মাস। ২০২৩-এর নভেম্বর মাসও তার আগের বছরের নভেম্বর মাসের উষ্ণতার চেয়ে উষ্ণতর মাস হিসাবে রেকর্ড গড়ে। গেল বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ছিল শিল্পায়ন যুগের আগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এক্ষেত্রেও সৃষ্টি হয় নতুন রেকর্ড।
ইউরোপভিত্তিক জলবায়ুবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সারভিসের (সিথ্রিএস) এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়, শিল্পপূর্ব অক্টোবর মাসের গড় তাপমাত্রার চেয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস ছিল অনেক বেশি উষ্ণ। এর তাপমাত্রা ছিল ১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোপারনিকাস সারভিসের উপপ্রধান সামান্তা বারগেসের মতে, ২০২৩ সালের ছয়টি মাস এবং দুটি মৌসুম উষ্ণতার বেলায় নতুন রেকর্ড গড়ে। তাই ২০২৩ সাল হলো স্মরণকালের উষ্ণতম বছর। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জোরদার হয় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রেখে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার দাবি।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎ নিয়ে এ বিশ্ব এখন দ্বিধাবিভক্তি। একদিকে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর বাণিজ্যিক স্বার্থ আর অন্যদিকে ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর জোট অ্যালায়েন্স অব স্মল আইল্যান্ডের (এওএসআইএস) জলবায়ুর ঝুঁকি থেকে বেঁচে থাকার লড়াই। কপ-২৮ সম্মেলনের শেষ দিকেও তার লক্ষণ পরিষ্কার হয়ে ওঠে। ঘড়ির কাঁটা ধরে ঝুলতে থাকা এ বিভেদ রীতিমতো বড় হয়ে উঠেছিল। নানামুখী চাপ ছিল ঠিকই, তার পরও জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের শেষ দিকে বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে যায়। কারণ, কয়েকটি দেশ প্রকাশ্যেই চেয়েছিল, কপ-২৮-এর আলোচনায় জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার করা না করা নয়, দূষণ কমিয়ে আনার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে। এ ব্যাপারে বেশি সরব ছিল জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী ও রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব ও রাশিয়া। জ্বালানি তেলের রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক সম্মেলনের ঠিক আগের সপ্তাহে সদস্য দেশ ও ওপেক প্লাস জোটের দেশগুলোকে চিঠিও দিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, কপ-২৮ সম্মেলনের চুক্তিতে জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে কোনো কিছু উল্লেখ থাকলে তা যেন প্রত্যাখ্যান করা হয়। এ অবস্থায় স্বভাবতই ধারণা করা হয়েছিল, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধে যাতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা না হয়, তা নিয়ে ওপেকসংশ্লিষ্ট দেশগুলো শুরু করে তালবাহানা। ওপেক ধোঁয়াশা তৈরি করে তাদের দ্বৈত ভূমিকার চেহারাটাই সবার চোখের সামনে পরিষ্কার করে তুলেছিল। দূষণ কমানোর কথা তারা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বলছিল বটে; কিন্তু জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি যে বেশি দূষণ ঘটাচ্ছে, এ নিয়ে তারা মুখে রা-শব্দটিও করেনি।
ওপেকের পক্ষ থেকে এমন চিঠি দেওয়ার নজির আগে কখনো ঘটেনি। এর মধ্য দিয়ে সংস্থাটি প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের আলোচনায় প্রভাব রাখার চেষ্টা করেছিল। তার ওপর ওপেকের সদস্য দেশ সৌদি আরব আর ওপেক প্লাস জোটের সদস্য রাশিয়া জ্বালানি তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ ও মূল্য নির্ধারণে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। সারা বিশ্বই এটি জানে। কপ-২৮ সম্মেলন চলাকালীন আরও একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। দুবাইয়ে জলবায়ু সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট সুলতান আহমেদ আল-জাবের নিজে এ বিতর্কের জন্ম দেন। তিনি বলেছিলেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধের দাবির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।’ তার এ মন্তব্যের পর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। শেষে পিছু হটে এসে তিনি বলতে বাধ্য হন, ‘জলবায়ুবিষয়ক বিজ্ঞানের প্রতি তার শ্রদ্ধা আছে।’
এমন একটা বিরূপ অবস্থা জিইয়ে থাকার পরও ২৮ বছরের ইতিহাসে এ প্রথম জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলন কপের (কনফারেন্স অব পার্টিস) ২৮-এর সদস্য দেশগুলো (২০০ দেশ) একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে তারা পর্যায়ক্রমে সরে আসবে। ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ুর চুক্তির পর শেষ অবধি দুবাই জলবায়ু চুক্তিও সফল হয়।
জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যতম জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ছিল এ সম্মেলনের আয়োজক। দুবাইয়ে গত ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর এ ১৩ দিন অবধি চলে সেই সম্মেলন। তাতে অংশ নিয়েছিলেন ২০০ দেশের প্রতিনিধিসহ ৯৭ হাজার মানুষ। সেখানে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে এনে এর বিকল্প পথ ও উপায় খুঁজে বের করা। কারণ, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বিশ্বে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে বলে কার্বন নিঃসরণও ঘটছে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এ কার্বনই বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী। ফলে বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে জলবায়ু পালটানোর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ বেশি।
আমরা জানি, জীবাশ্ম জ্বালানির প্রধান তিনটি পদার্থ হলো কয়লা, গ্যাস আর ডিজেল। এ তিনটি পদার্থের ব্যবহার এখন সব থেকে বেশি। ফলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ বেড়ে গেছে ব্যাপকভাবে। এ কার্বন নিঃসরণ যদি কমিয়ে আনা না যায়, তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যে বছরে একবার করে ৩০ কোটি মানুষ বসবাসের বিশাল এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে। এ অঞ্চলগুলোর মধ্যে আছে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বড় বড় শহর। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির প্রশ্নে প্রচলিত পথ না পালটালে মানবজাতির ওপর নেমে আসবে মহাবিপর্যয়।
এ মুহূর্তে বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ ঘটানোর বেলায় শীর্ষ স্থানে আছে চীন, দ্বিতীয় অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর আছে ভারত ও রাশিয়া। অর্থনৈতিক উন্নয়নের নামে এসব শিল্পোন্নত দেশ ইচ্ছেমতো কার্বন উদ্গীরণ ঘটিয়ে চলছে আর তার খেসারত দিতে হচ্ছে বাকি বিশ্বকে। কিছু দিন আগে ব্রিটিশ দৈনিক ‘দি গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও রাশিয়াসহ ১০ শতাংশ দেশ বিশ্বের গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন ঘটাচ্ছে ৩৬ থেকে ৪৫ শতাংশ। দুর্ভাগ্যের বিষয়, তারা একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে ঢুকেও সেই কার্বন নির্গমনের লাগাম টেনে ধরতে পারেনি।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধের লক্ষ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার
পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনা দরকার। কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন রোধ করা ছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি কমিয়ে আনা সম্ভব নয়। বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়াও নাইট্রোজেন-অক্সাইড, ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন ও মিথেনসহ অন্যান্য গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গেছে; গত দেড় লাখ বছরের চেয়েও তা অনেক বেশি। এটি এখন এক বৈশ্বিক সমস্যা। এ সমস্যা দূর না করে জিইয়ে
রাখার মানে মহাবিপর্যয়কে আহ্বান করা। জাতিসংঘের মতে, ২০১৫ সালের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন হলো জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮। কারণ, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার রোধ করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিশ্ববাসীকে বিকল্প সৌরবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুৎসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার নিশ্চিত করার বেলায় বিশ্ববাসী একমত হয়।
সুখবর হলো, মধ্যপ্রাচ্যের তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান নবায়নযোগ্য জ্বালানি সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। গ্রিন হাইড্রোজেন বা সবুজ হাইড্রোজেন প্রযুক্তিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসাবে জলবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুৎ ও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। এসব উৎস থেকে বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করে যে হাইড্রোজেন পাওয়া যায়, তা পরবর্তীকালে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যায়। আধুনিক এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলে কার্বন নিঃসরণ নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়। তাই এ প্রযুক্তিতে বড় রকম বিনিয়োগ করে সৌদি আরব। লোহিত সাগরপাড়ে ৮৪০ কোটি আমেরিকান ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাইড্রোজেন কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা। ২০২৬ সাল নাগাদ এ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ৬০০ টন হাইড্রোজেন পাওয়া যাবে। নতুন এ হাইড্রোজেন কেন্দ্রের সঙ্গে সৌরবিদ্যুৎ ও বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এ বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করেই উৎপাদন করা হবে সবুজ হাইড্রোজেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতও ২০৩১ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হাইড্রোজেন উৎপাদনকারী ১০ দেশের তালিকায় তার স্থান নিশ্চিত করতে চাইছে। আর ওমান তো এদিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে। ২০২৩ সাল থেকেই তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রকল্প নিয়ে পথ চলা শুরু করে। ১০ লাখ টন হাইড্রোজেন উৎপাদন করার কার্যক্রম হাতে নিয়ে এগোচ্ছে তারা; আর ২০৫০ সালের মধ্যে তাদের লক্ষ্য ৮৫ লাখ টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন করা।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ উন্নত বিশ্ব যেখানে বিকল্প পথে সবুজ হাইড্রোজেন প্রযুক্তি অভিমুখে এগিয়ে গেছে, সেখানে আমরা হাত-পা গুটিয়ে নিশ্চুপ বসে আছি। যেন কিছুই ঘটেনি এমন একটা ভাব নিয়ে আছি নিশ্চিন্তে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এড়াবার লক্ষ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসার কোনো উপায় আমরা এখনো খুঁজে বের করিনি। এ অলসতা কিছুতেই কাম্য নয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে আমাদের এখনই খুঁজে নিতে হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথ। হাতে সময় খুব কম। বাসযোগ্য একটি সুন্দর পৃথিবী নিশ্চিত করার সুযোগ যাতে সংকুচিত না হয়ে পড়ে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কতটুকু আন্তরিক, আমরা জানি না।
আতাহার খান : সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, কবি সূত্র : যুগান্তর
হককথা/নাছরিন