নিউইয়র্ক ০২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
ব্লুমবার্গের নিবন্ধ

হাসিনার প্রস্থানের পর বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:২৪:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৪০ বার পঠিত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে দুর্নীতি ঢাকতে দেশের অর্থনৈতিক পারফরম্যান্সকে স্ফীত করে দেখানো হয়েছে। অর্থনীতিবিদ ও পাবলিক নীতির বিশ্লেষক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে হাসিনার সময়কালের অব্যবস্থাপনার তথ্য সম্বলিত একটি শ্বেতপত্র তৈরি করতে বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য তাকে সময় দেয়া হয়েছে ৯০ দিন। বাংলাদেশে অস্থায়ী প্রশাসনের নেতৃত্ব দেয়া নোবেলজয়ী ব্যাংকার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেবেন তিনি। শনিবার ঢাকায় দেয়া সাক্ষাৎকারে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য (৬৮)বলেন- ডেটা নিয়ে আমরা গুরুতর সমস্যায় পড়েছি। আসল তথ্যকে চেপে রাখা হয়েছে। আমি এটাকে ‘তথ্যের নৈরাজ্য’ বলে উল্লেখ করতে চাই।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানির উৎস বাংলাদেশ। এ নিয়ে একটি অর্থনৈতিক সাফল্যের গল্প তুলে ধরা হয়। কিন্তু ভট্টাচার্য বলছেন, হাসিনার প্রশাসন সম্ভবত রপ্তানি, মুদ্রাস্ফীতি এবং মোট দেশজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভুল তথ্য প্রকাশ করেছে, যা দেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করেছে। গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে এ মাসে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

কিন্তু তিনি ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮.৩৬ ট্রিলিয়ন টাকা দেশী ও বিদেশী ঋণের বোঝা রেখে গেছেন। এই ঋণের অর্থ তিন অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের সমান। ভট্টাচার্য বাংলাদেশের জন্য তিনটি প্রধান সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। তাহলো- সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঘাটতি। তিনি বলেন- কয়েক বছরে স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হয়েছে এবং হাসিনা এর জন্য ইউক্রেনের যুদ্ধকে দায়ী করেছেন। যদিও আমরা মনে করি এটা যুক্তিযুক্ত নয়।

বাংলাদেশের ট্যাক্স-টু-জিডিপি অনুপাত ৭.৩%, যা বিশ্বের সর্বনিম্ন একটি। এই অনুপাত ২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে ৮.৮% এ উন্নীত হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন- সবথেকে বড় বিভ্রান্তির জায়গা হলো- আপনার ৫% থেকে ৭% স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি রয়েছে এবং আপনি কর সংগ্রহ করেন না। যার অর্থ দাঁড়ায় হয় প্রবৃদ্ধি কাল্পনিক ছিল, অথবা যারা প্রবৃদ্ধি থেকে উৎপন্ন আয়ে উপকৃত হয়েছে তারা করের আওতায় আসেনি। সম্ভবত এর একটি বড় অংশ দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক কাজ হল বিদ্যুতের মতো জরুরি পরিষেবার জন্য অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ করা। নবনিযুক্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর গত সপ্তাহে বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন ডলার জরুরি সহায়তার জন্য আলোচনা চালাচ্ছেন তারা এবং অন্য বহু-পাক্ষিক ঋণদাতাদের কাছ থেকে তহবিল চাইছেন। রপ্তানিতে ব্যাঘাত ঘটায় তা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এই রিজার্ভ বর্তমান সংকটের আগে থেকেই কমে গিয়েছিল। গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য আন্তঃব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনছে। বাংলাদেশ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেপো রেট ৫০ পয়েন্ট বাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্য বাণিজ্যিক ব্যাংককে যে সুদের হারে অর্থ ধার দেয় তাকে রেপো রেট বলে। বাংলাদেশের কাছে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে আদানি পাওয়ারের।

প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নীত হয়ে গ্রাজুয়েট মর্যাদা পাওয়ার জন্য আদৌ প্রস্তুত কিনা। সরকার পরিবর্তন এবং পরবর্তীতে সামাজিক বিশৃঙ্খলার কারণে জাতিসংঘ সম্প্রতি সলোমন দ্বীপপুঞ্জের এলডিসি (স্বল্পোন্নত) ক্যাটাগরির বাইরে যাওয়ার বিষয়টি স্থগিত করেছে। ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশ যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তা গ্র্যাজুয়েশনের সমস্যা নয় বরং উন্নয়নের সমস্যা। অস্থিরতা এবং নেতৃত্বের পরিবর্তন সত্ত্বেও দেশ সঠিক পথে রয়েছে। জাতিসংঘের প্যানেলে থাকা এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, বাংলাদেশ এখনও গ্রাজুয়েট স্তরের জন্য তিনটি মানদণ্ডের উপরে রয়েছে: মাথাপিছু জিএনআই (গ্রোস ন্যাশনাল ইনকাম), মানব সম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত দুর্বলতা সূচক।

প্রবল রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গত সপ্তাহে সহিংস বিক্ষোভে ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের অভ্যুত্থান যেকোনো কর্তৃত্ববাদী সরকারের ‘প্লেবুকে’ অনায়াসে জায়গা করে নিতে পারে। সবশেষে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন- বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা ব্যতিক্রমী নয়। প্রথমে, আপনি বহুত্ববাদকে ঘৃণা করতে শুরু করেন, তারপরে আপনি গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা বাতিল করেন, এবং তারও পরে আপনি আপনার পক্ষপাতদুষ্ট লোকদের সমস্ত প্রতিষ্ঠানে রাখেন- অগত্যা যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়, বরং তাদের আনুগত্যের উপর ভিত্তি করে দেশ চলে। যাকে এককথায় চাটুকারিতা বলা যায়। সূত্র: মানবজমিন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ব্লুমবার্গের নিবন্ধ

হাসিনার প্রস্থানের পর বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু

প্রকাশের সময় : ১২:২৪:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে দুর্নীতি ঢাকতে দেশের অর্থনৈতিক পারফরম্যান্সকে স্ফীত করে দেখানো হয়েছে। অর্থনীতিবিদ ও পাবলিক নীতির বিশ্লেষক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে হাসিনার সময়কালের অব্যবস্থাপনার তথ্য সম্বলিত একটি শ্বেতপত্র তৈরি করতে বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য তাকে সময় দেয়া হয়েছে ৯০ দিন। বাংলাদেশে অস্থায়ী প্রশাসনের নেতৃত্ব দেয়া নোবেলজয়ী ব্যাংকার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেবেন তিনি। শনিবার ঢাকায় দেয়া সাক্ষাৎকারে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য (৬৮)বলেন- ডেটা নিয়ে আমরা গুরুতর সমস্যায় পড়েছি। আসল তথ্যকে চেপে রাখা হয়েছে। আমি এটাকে ‘তথ্যের নৈরাজ্য’ বলে উল্লেখ করতে চাই।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানির উৎস বাংলাদেশ। এ নিয়ে একটি অর্থনৈতিক সাফল্যের গল্প তুলে ধরা হয়। কিন্তু ভট্টাচার্য বলছেন, হাসিনার প্রশাসন সম্ভবত রপ্তানি, মুদ্রাস্ফীতি এবং মোট দেশজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভুল তথ্য প্রকাশ করেছে, যা দেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করেছে। গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে এ মাসে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

কিন্তু তিনি ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮.৩৬ ট্রিলিয়ন টাকা দেশী ও বিদেশী ঋণের বোঝা রেখে গেছেন। এই ঋণের অর্থ তিন অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের সমান। ভট্টাচার্য বাংলাদেশের জন্য তিনটি প্রধান সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। তাহলো- সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঘাটতি। তিনি বলেন- কয়েক বছরে স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হয়েছে এবং হাসিনা এর জন্য ইউক্রেনের যুদ্ধকে দায়ী করেছেন। যদিও আমরা মনে করি এটা যুক্তিযুক্ত নয়।

বাংলাদেশের ট্যাক্স-টু-জিডিপি অনুপাত ৭.৩%, যা বিশ্বের সর্বনিম্ন একটি। এই অনুপাত ২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে ৮.৮% এ উন্নীত হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন- সবথেকে বড় বিভ্রান্তির জায়গা হলো- আপনার ৫% থেকে ৭% স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি রয়েছে এবং আপনি কর সংগ্রহ করেন না। যার অর্থ দাঁড়ায় হয় প্রবৃদ্ধি কাল্পনিক ছিল, অথবা যারা প্রবৃদ্ধি থেকে উৎপন্ন আয়ে উপকৃত হয়েছে তারা করের আওতায় আসেনি। সম্ভবত এর একটি বড় অংশ দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক কাজ হল বিদ্যুতের মতো জরুরি পরিষেবার জন্য অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ করা। নবনিযুক্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর গত সপ্তাহে বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন ডলার জরুরি সহায়তার জন্য আলোচনা চালাচ্ছেন তারা এবং অন্য বহু-পাক্ষিক ঋণদাতাদের কাছ থেকে তহবিল চাইছেন। রপ্তানিতে ব্যাঘাত ঘটায় তা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এই রিজার্ভ বর্তমান সংকটের আগে থেকেই কমে গিয়েছিল। গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য আন্তঃব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনছে। বাংলাদেশ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেপো রেট ৫০ পয়েন্ট বাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্য বাণিজ্যিক ব্যাংককে যে সুদের হারে অর্থ ধার দেয় তাকে রেপো রেট বলে। বাংলাদেশের কাছে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে আদানি পাওয়ারের।

প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নীত হয়ে গ্রাজুয়েট মর্যাদা পাওয়ার জন্য আদৌ প্রস্তুত কিনা। সরকার পরিবর্তন এবং পরবর্তীতে সামাজিক বিশৃঙ্খলার কারণে জাতিসংঘ সম্প্রতি সলোমন দ্বীপপুঞ্জের এলডিসি (স্বল্পোন্নত) ক্যাটাগরির বাইরে যাওয়ার বিষয়টি স্থগিত করেছে। ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশ যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তা গ্র্যাজুয়েশনের সমস্যা নয় বরং উন্নয়নের সমস্যা। অস্থিরতা এবং নেতৃত্বের পরিবর্তন সত্ত্বেও দেশ সঠিক পথে রয়েছে। জাতিসংঘের প্যানেলে থাকা এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, বাংলাদেশ এখনও গ্রাজুয়েট স্তরের জন্য তিনটি মানদণ্ডের উপরে রয়েছে: মাথাপিছু জিএনআই (গ্রোস ন্যাশনাল ইনকাম), মানব সম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত দুর্বলতা সূচক।

প্রবল রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গত সপ্তাহে সহিংস বিক্ষোভে ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের অভ্যুত্থান যেকোনো কর্তৃত্ববাদী সরকারের ‘প্লেবুকে’ অনায়াসে জায়গা করে নিতে পারে। সবশেষে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন- বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা ব্যতিক্রমী নয়। প্রথমে, আপনি বহুত্ববাদকে ঘৃণা করতে শুরু করেন, তারপরে আপনি গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা বাতিল করেন, এবং তারও পরে আপনি আপনার পক্ষপাতদুষ্ট লোকদের সমস্ত প্রতিষ্ঠানে রাখেন- অগত্যা যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়, বরং তাদের আনুগত্যের উপর ভিত্তি করে দেশ চলে। যাকে এককথায় চাটুকারিতা বলা যায়। সূত্র: মানবজমিন।