দেশের পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক বন্যা যেসব কারণে, উন্নতির আশা নেই শিগগির
- প্রকাশের সময় : ০৭:৩৮:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
- / ৮২ বার পঠিত
বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তের ৮টি জেলার লাখ লাখ মানুষ নজিরবিহীন এক বন্যা পরিস্থিতির শিকার। সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাত এবং ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। আগামী দুয়েক দিন একই অবস্থা বিরাজ করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ২৫ আগস্টের পর এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে।
বাংলাদেশে এমন বন্যা হতে পারে এই বিষয়ে আগাম সতর্কবার্তাও ছিল। মাস চারেক আগে ভারতের পুনেতে অনুষ্ঠিত এক জলবায়ু সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ায় এবারের বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছিল।
দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বলছে, গত ২০ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ৬টি। সেগুলো হলো—কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও মৌলভীবাজার। এসব জেলার ৪৩ উপজেলা বন্যা প্লাবিত। এই ৬ জেলায় মোট ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৩টি পরিবার পানিবন্দী। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৪৮ জন। এ ছাড়া বন্যার পানিতে ডুবে ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
যে কারণে পূর্ব সীমান্তের জেলাগুলোতে বন্যা
বন্যা পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করেছে ফেনী অঞ্চলে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দাঁড়িয়েছে ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলায়। এই এলাকায় ১৯৮৮ সালের পর বন্যা পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়নি আগে কখনো। ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পানিতে ফেনীর মুহুরি, কহুয়া ও বিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলেও।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা আছে। আবহাওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এসব অঞ্চলে গত ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টা এই অবস্থা বিরাজ করতে পারে। তবে আগামীকাল বিকেলের পর থেকে কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালী অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা একটু কমে যেতে পারে।’
নাজমুল হক বলেন, ‘গত ১৬ আগস্ট এর দিকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটা লঘুচাপ তৈরি হয়। এই লঘুচাপ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকার ওপরে এসে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। এই সুস্পষ্ট লঘুচাপ কিছুটা দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে কিছুটা দুর্বল হয়ে লঘুচাপ আকারে অবস্থান করে। বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে অনেক পাহাড় আছে এবং উল্লিখিত কারণে এসব অঞ্চলে ভারী বর্ষণ হয়েছে।’
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘লঘুচাপ দুর্বল হয়ে গেলেও মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।’ অর্থাৎ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এই মুহূর্তে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় অবস্থায় আছে। এই সক্রিয় অবস্থার কারণে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশে নয় বাংলাদেশের উজানেও (বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে ভারতীয় অঞ্চলগুলোতে) হচ্ছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর আশা করছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে বৃষ্টিপাত বিশেষ করে নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম সার্কেলের মধ্যে যে তীব্রতা আগামীকাল শুক্রবার বিকেলের মধ্যে একটু কমে যেতে পারে।
দেশে এবার বেশি বৃষ্টি ও বন্যার হতে পারে এটা চার মাস আগেই বলা হয়েছিল। ভারতের পুনেতে গত ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট ফোরামের ২৮তম অধিবেশনে জানানো হয়, প্রশান্ত মহাসাগরের ক্রান্তীয় অঞ্চলে এখন এল নিনো জলবায়ু চক্র বিরাজ করছে। তবে আসন্ন বর্ষা মৌসুমের প্রথমার্ধে দক্ষিণ গোলার্ধে এল নিনোর প্রভাব কমবে। মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে লা নিনা জলবায়ু চক্রে শুরু হবে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে লা নিনার প্রভাব শুরু হলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ও আসাম এবং বাংলাদেশে বৃষ্টি বেশি হতে পারে। বাংলাদেশ ভাটির দেশ হওয়ায় বৃষ্টির সেই পানি গড়াবে এই দেশের ওপর দিয়েই। ফলে এখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
তখন বলা হয়েছিল, বর্ষায় বৃষ্টিও বেশি হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ায়। সেই বৃষ্টির প্রভাবে ভাটির দেশ বাংলাদেশে হতে পারে বন্যা। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, জলবায়ু চক্র এল নিনো দুর্বল হয়ে যাওয়া, প্রচণ্ড গরম ও দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমি বায়ুসহ নানা কারণে আগামী জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গতবারের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হতে পারে।
নাজমুল হক বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদপ্তর আগে থেকেই একটা দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিয়ে থাকে। এমনিতেই দেশে জুলাই মাস ও আগস্ট মাস বৃষ্টি প্রবণ মাস। প্রতিবছর এই সময়ে বৃষ্টিপাতের আধিক্য থাকে।’ তিনি বলেন, ‘দেশের পূর্বাঞ্চলে কমবেশি বৃষ্টিপাত নিয়ে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত এমন অবস্থা থাকতে পারে। ২৫ তারিখের পর থেকে ২৬-২৮ আগস্ট এই তিন দিন মোটামুটি দেশের পূর্বাঞ্চলে যে ভারী বৃষ্টিপাত অনেকটাই কমে যেতে পারে। তবে এই অঞ্চলে কমে গিয়ে ২৮-২৯ আগস্ট রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা আবার বাড়তে পারে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই সময়ে বন্যার বড় কারণ প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে তার আগের বড় কারণ, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি। এটা খুবই শক্তিশালী ছিল এবং এটাতে প্রচুর মেঘমালা সঞ্চিত ছিল। এটা নর্থইস্ট ডিরেকশনে (উত্তর-পূর্ব দিকে) মুভ করে সুন্দরবন হয়ে ক্রস অ্যাঙ্গেলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের দিকে অবস্থান করেছে। এটা এই অঞ্চলে বদ্ধ হয়ে ছিল বলেই ওই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি হয়েছে।’
বিশ্বজিৎ নাথ আরও বলেন, ‘এই অঞ্চলে যখন মেঘ নর্থইস্ট অঞ্চলে মুভ করেছে তখন খাগড়াছড়ি ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ওপর বদ্ধ ছিল। ত্রিপুরা একটা লেক আছে। যেখানে প্রচুর বৃষ্টিতে লেকের পানি ওভারফ্লো হয়ে বেরিয়ে গেছে। তখন তারা ছোট বাঁধের গেট খুলে দিয়েছে। আগামী দুই তিন আরও বৃষ্টিপাত হবে। এখানে মেঘ জমে আছে।’
এই দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এখানে (বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের বন্যা কবলিত অঞ্চল) পানি সরে যাওয়ার সুযোগ খুবই কম। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই মেঘ না সরে যাচ্ছে। তবে দেশের অভ্যন্তরীণ পানি নিষ্কাশনের অবস্থা অনেক খারাপ থাকা, নদ-নদীর নাব্যতা কমে যাওয়াতে পানি ওভারফ্লো হচ্ছে। ত্রিপুরা থেকে যে পানি বের হয়ে খাগড়াছড়ি ও ফেনী অঞ্চলে ঢুকেছে তা সহজে বের হতে পারছে না। পানির উচ্চতা বাড়ছে এ কারণে।’
তিনি বলেন, ‘পানি নিঃসরণের যে ক্যাপাসিটি নদীগুলোর থাকা উচিত তা নেই। পানি ধরে রাখার ক্ষমতা নেই। আমাদের এখন প্রতি বছর বন্যা সহ্য করতে হবে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের একটা বড় বিষয় উঠে এসেছে। বঙ্গোপসাগরে অনেক বেশি লো প্রেশার তৈরি হচ্ছে। তাই এমন অবস্থা তৈরি হলেই সতর্ক হতে হবে। এর বাইরে ড্রেনেজ পদ্ধতি নষ্ট হচ্ছে ও নদীর নাব্যতা হারাচ্ছে। তাই ওপর থেকে যখন ঢল নেমে আসে সেটা স্বাভাবিক ভাবে নদী ধরে রাখতে পারছে না।’
বিশ্বজিৎ নাথ আরও বলেন, ‘১৯ আগস্ট নাসা আর্থ ডেটার গ্লোবাল প্রিসিপিটেশন মিশন উপগ্রহ পরিমাপের মাধ্যমে দেখা গেছে—ভারতের সাবরুমের (ত্রিপুরা) উত্তরে ২২০ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রায় ১৩০ থেকে ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে। যা ফেনী নদীর মাধ্যমে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে, বাংলাদেশের অংশে ব্যাপক বন্যার ঘটনা দেখা গেছে। বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ২৪ আগস্টের পর হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত কুমিল্লায় ১৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, নোয়াখালীতে ১৪৭ মিলিমিটার ও কক্সবাজারের ১৬২ মিলিমিটার। আর আজ সকাল ৬ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৫৫ মিলিমিটার, রাঙামাটিতে ৭১মিলিমিটার ও কক্সবাজারে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে বন্য পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, খোয়াই, মুহুরি, ফেনী ও হালদা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এর মধ্যে ফেনীর মুহুরি নদীর পানি গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চল এবং ত্রিপুরার ভেতরের অববাহিকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে।
বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিগত ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চলীয় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলার ভারতীয় ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরা প্রদেশের অভ্যন্তরীণ অববাহিকাসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়েছে। ফলে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে। এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই নদী সমূহের সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে স্থিতিশীল থেকে পরবর্তীতে উন্নতি হতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে। এ সময় এ অঞ্চলের ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার মুহুরি, ফেনী, গোমতী, হালদা ইত্যাদি নদীসমূহের সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে স্থিতিশীল থেকে পরবর্তীতে উন্নতি হতে পারে।
তবে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইডিএম) জানিয়েছে, ২১ থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ত্রিপুরায় বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আর ত্রিপুরার অধিকাংশ নদীই বাংলাদেশ হয়ে প্রবাহিত হওয়ার এই ধাক্কা অবধারিতভাবেই পড়বে ভাটি অঞ্চলের জেলাগুলোতে।
তবে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা নদ-নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি স্তর স্থিতিশীল আছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এ সকল নদীর পানি স্তর হ্রাস পেতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে ভারত বলছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর ক্যাচমেন্ট এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে এই বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশে বন্যা মূলত বাঁধের নিচের দিকের এই বৃহৎ ক্যাচমেন্টের পানির কারণে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।