নিউইয়র্ক ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
সার সংরক্ষণাগার

জটিলতায় ৬ বছর পার শুরু হয়নি নির্মাণ কাজ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৫৪ বার পঠিত

শেখ হারুন : প্রতি বছর কৃষকের কাছে মানসম্মত ‘সার’ সহজলভ্য করতে কয়েক হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় সরকার। কিন্তু আমদানি ও দেশে উৎপাদিত এসব সার সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে জমাট বেঁধে নষ্ট হয়। একই সঙ্গে সংরক্ষণের অভাবে প্রয়োজনীয় সময় সার পান না কৃষক। এ কারণে সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাফার গুদাম নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার।

এরই অংশ হিসেবে ২০১৮ সালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাফার গুদাম নির্মাণে একটি প্রকল্প নেয় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল আপৎকালীন ৮ লাখ টন সার মজুত নিশ্চিতকরণ এবং দ্রুত প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে সার পৌঁছানোর মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতায় থমকে আছে নির্মাণকাজ।

প্রকল্পটির আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে দেশে ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু ইতোমধ্যে ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও একটি গুদামেরও নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি বিসিআইসি। নির্মাণকাজ তো দূরের কথা, জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমও শেষ করতে পারেনি সংস্থাটি। নির্মাণকাজ শুরু না হলেও প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে খরচ বেড়েছে ৪৮৫ কোটি টাকা।

জানা গেছে, ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয় ১ হাজার ৯৮৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের প্রধান কাজ জমি অধিগ্রহণ করে দেশের সাত বিভাগের ৩৪ জেলায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ করা। এখন পর্যন্ত ৩০টি গুদাম নির্মাণের জায়গা পাওয়া গেলেও ৪টির জায়গা নির্ধারণ করাই সম্ভব হয়নি।

মূল অনুমোদিত প্রকল্পটি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা ছিল। পরে ২০২২ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যেও নির্মাণকাজ শুরু না হওয়ায় ২০২৩ সালে প্রকল্পটি সংশোধন করে নতুন করে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এতে প্রকল্পের অনুমোদিত ব্যয়ের চেয়ে ৪৮৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা বাড়িয়ে খরচ নির্ধারণ করা হয় ২ হাজার ৪৮২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

নির্মাণকাজ শুরু না হলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পের আওতায় মোট ৩২২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণ বাবদ খরচ হয়েছে ৩০৭ কোটি টাকা। বাকি টাকা গাড়ি কেনা এবং প্রকল্পের কর্মকর্তাদের ভ্রমণ, বেতন, ভাতা এবং পরামর্শকদের বেতন-ভাতা বাবদ অর্থ খরচ হয়েছে। প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি শূন্য। যদিও প্রকল্প বাস্তবায়নে রয়েছে এক বছরেরও কম সময়।

জানা গেছে, গুদামগুলো নির্মিত হলে ৮ লাখ টন সার সংরক্ষণ করা যাবে। যথাসময়ে সার আমদানি করে মজুত করা যাবে। মৌসুমের সময় চাপ পড়বে না। এতে বছরে সরকারের ৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। কৃষকেরও প্রয়োজনের সময় দ্রুত সার দেওয়া যাবে।

সম্প্রতি প্রকল্পটি নিয়ে নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। প্রতিবেদনে বাফার গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের এমন চিত্র উঠে এসেছে।

নির্মাণ শুরু করতে না পারার কারণ হিসেবে আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা, ডিপিপি অনুযায়ী যথাসময়ে অর্থ বরাদ্দ, ছাড় ও ব্যয় না হওয়া। এ ছাড়া বারবার প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তনেও প্রকল্পের অগ্রগতি মন্থর হয়েছে। আইএমইডির প্রতিবেদনে প্রকল্পের এমন ধীরগতির কারণে বেশকিছু ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে জমি ও নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি। অধিগ্রহণ দ্রুত শেষ না হলে জমির দাম আরও বাড়বে। বাড়বে নির্মাণ সামগ্রীর দামও। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ আরও বাড়বে। এতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে শঙ্কা দেখা দিতে পারে।

প্রতিবেদনে কৃষকদের মতামত তুলে ধরা হয়। অধিকাংশ কৃষক জানিয়েছেন, মজুতের ব্যবস্থা না থাকায় চাহিদা মতো সার মিলছে না, বিশেষ করে আপৎকালীন সময়ে। তারা আরও জানান, বাফার গুদাম নির্মিত হলে চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত ও কম খরচে সার পাওয়া যাবে। এতে উৎপাদন বাড়বে।

এ বিষয়ে জানতে প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুরুল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি, এমনকি খুদেবার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি। তবে সাবেক প্রকল্প পরিচালক ও বিসিআইসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ইদি আমিন সরকার কালবেলাকে বলেন, প্রথমে প্রকল্পটি নিম্ন অগ্রাধিকারভিত্তিক ছিল। ঠিকমতো অর্থ ছাড়ও হয়নি। এ ছাড়া জমি অধিগ্রহণ জটিলতা এবং করোনার কারণে বেশকিছু সময় সব কাজ বন্ধ ছিল। এসব কারণে মূলত কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বছরে সার উৎপাদন ও আমদানি হয় ৬৫ লাখ টনের মতো। কিন্তু গুদামের সার ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৭ লাখ টনের মতো। পর্যাপ্ত ধারণ ক্ষমতা না থাকায় খোলা আকাশের নিচে সার ফেলে রাখতে হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার ভালোভাবে সংরক্ষণ না করলে মান নষ্ট হয়ে যায়। এ বিষয়ে মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জালাল উদ্দীন জানান, সার খোলা আকাশের নিচে রাখলে শুধু গুণগত মানই কমে না, ওজনও কমে যায়। তাই সার অবশ্যই সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা উচিত। না হলে উৎপাদনে সমস্যা তৈরি হবে।

কৃষি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. সাত্তার মণ্ডল বলেন, অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৃষি উপকরণ সার। এটা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু এত দিনেও একটি গুদাম নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি, এটা অসহনীয়। যথাযথভাবে সার সংরক্ষণে সরকারের উচিত দ্রুত গুদাম নির্মাণকাজ শুরু করা।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সার সংরক্ষণাগার

জটিলতায় ৬ বছর পার শুরু হয়নি নির্মাণ কাজ

প্রকাশের সময় : ১০:৪৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেখ হারুন : প্রতি বছর কৃষকের কাছে মানসম্মত ‘সার’ সহজলভ্য করতে কয়েক হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় সরকার। কিন্তু আমদানি ও দেশে উৎপাদিত এসব সার সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে জমাট বেঁধে নষ্ট হয়। একই সঙ্গে সংরক্ষণের অভাবে প্রয়োজনীয় সময় সার পান না কৃষক। এ কারণে সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাফার গুদাম নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার।

এরই অংশ হিসেবে ২০১৮ সালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাফার গুদাম নির্মাণে একটি প্রকল্প নেয় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল আপৎকালীন ৮ লাখ টন সার মজুত নিশ্চিতকরণ এবং দ্রুত প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে সার পৌঁছানোর মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতায় থমকে আছে নির্মাণকাজ।

প্রকল্পটির আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে দেশে ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু ইতোমধ্যে ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও একটি গুদামেরও নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি বিসিআইসি। নির্মাণকাজ তো দূরের কথা, জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমও শেষ করতে পারেনি সংস্থাটি। নির্মাণকাজ শুরু না হলেও প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে খরচ বেড়েছে ৪৮৫ কোটি টাকা।

জানা গেছে, ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয় ১ হাজার ৯৮৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের প্রধান কাজ জমি অধিগ্রহণ করে দেশের সাত বিভাগের ৩৪ জেলায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ করা। এখন পর্যন্ত ৩০টি গুদাম নির্মাণের জায়গা পাওয়া গেলেও ৪টির জায়গা নির্ধারণ করাই সম্ভব হয়নি।

মূল অনুমোদিত প্রকল্পটি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা ছিল। পরে ২০২২ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যেও নির্মাণকাজ শুরু না হওয়ায় ২০২৩ সালে প্রকল্পটি সংশোধন করে নতুন করে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এতে প্রকল্পের অনুমোদিত ব্যয়ের চেয়ে ৪৮৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা বাড়িয়ে খরচ নির্ধারণ করা হয় ২ হাজার ৪৮২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

নির্মাণকাজ শুরু না হলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পের আওতায় মোট ৩২২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণ বাবদ খরচ হয়েছে ৩০৭ কোটি টাকা। বাকি টাকা গাড়ি কেনা এবং প্রকল্পের কর্মকর্তাদের ভ্রমণ, বেতন, ভাতা এবং পরামর্শকদের বেতন-ভাতা বাবদ অর্থ খরচ হয়েছে। প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি শূন্য। যদিও প্রকল্প বাস্তবায়নে রয়েছে এক বছরেরও কম সময়।

জানা গেছে, গুদামগুলো নির্মিত হলে ৮ লাখ টন সার সংরক্ষণ করা যাবে। যথাসময়ে সার আমদানি করে মজুত করা যাবে। মৌসুমের সময় চাপ পড়বে না। এতে বছরে সরকারের ৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। কৃষকেরও প্রয়োজনের সময় দ্রুত সার দেওয়া যাবে।

সম্প্রতি প্রকল্পটি নিয়ে নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। প্রতিবেদনে বাফার গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের এমন চিত্র উঠে এসেছে।

নির্মাণ শুরু করতে না পারার কারণ হিসেবে আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা, ডিপিপি অনুযায়ী যথাসময়ে অর্থ বরাদ্দ, ছাড় ও ব্যয় না হওয়া। এ ছাড়া বারবার প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তনেও প্রকল্পের অগ্রগতি মন্থর হয়েছে। আইএমইডির প্রতিবেদনে প্রকল্পের এমন ধীরগতির কারণে বেশকিছু ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে জমি ও নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি। অধিগ্রহণ দ্রুত শেষ না হলে জমির দাম আরও বাড়বে। বাড়বে নির্মাণ সামগ্রীর দামও। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ আরও বাড়বে। এতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে শঙ্কা দেখা দিতে পারে।

প্রতিবেদনে কৃষকদের মতামত তুলে ধরা হয়। অধিকাংশ কৃষক জানিয়েছেন, মজুতের ব্যবস্থা না থাকায় চাহিদা মতো সার মিলছে না, বিশেষ করে আপৎকালীন সময়ে। তারা আরও জানান, বাফার গুদাম নির্মিত হলে চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত ও কম খরচে সার পাওয়া যাবে। এতে উৎপাদন বাড়বে।

এ বিষয়ে জানতে প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুরুল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি, এমনকি খুদেবার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি। তবে সাবেক প্রকল্প পরিচালক ও বিসিআইসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ইদি আমিন সরকার কালবেলাকে বলেন, প্রথমে প্রকল্পটি নিম্ন অগ্রাধিকারভিত্তিক ছিল। ঠিকমতো অর্থ ছাড়ও হয়নি। এ ছাড়া জমি অধিগ্রহণ জটিলতা এবং করোনার কারণে বেশকিছু সময় সব কাজ বন্ধ ছিল। এসব কারণে মূলত কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বছরে সার উৎপাদন ও আমদানি হয় ৬৫ লাখ টনের মতো। কিন্তু গুদামের সার ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৭ লাখ টনের মতো। পর্যাপ্ত ধারণ ক্ষমতা না থাকায় খোলা আকাশের নিচে সার ফেলে রাখতে হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার ভালোভাবে সংরক্ষণ না করলে মান নষ্ট হয়ে যায়। এ বিষয়ে মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জালাল উদ্দীন জানান, সার খোলা আকাশের নিচে রাখলে শুধু গুণগত মানই কমে না, ওজনও কমে যায়। তাই সার অবশ্যই সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা উচিত। না হলে উৎপাদনে সমস্যা তৈরি হবে।

কৃষি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. সাত্তার মণ্ডল বলেন, অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৃষি উপকরণ সার। এটা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু এত দিনেও একটি গুদাম নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি, এটা অসহনীয়। যথাযথভাবে সার সংরক্ষণে সরকারের উচিত দ্রুত গুদাম নির্মাণকাজ শুরু করা।