নিউইয়র্ক ০৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না বিএনপি’র ঢাকার দুই মহানগর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪
  • / ৬২ বার পঠিত

ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না বিএনপি’র ঢাকার দুই মহানগর। গ্রুপিং রাজনীতির কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন দুই মহানগরের বেশির ভাগ নেতা। পরপর তিনবার নতুন নেতৃত্বকে দায়িত্ব দিয়ে লাভ হয়নি। কোনো কমিটিই রাজধানীতে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। সর্বশেষ নেতৃত্বে আসা সালাম-মজনু ও আমান-আমিনুল কমিটির পেছনেও লেগেছে একই তকমা। এর খেসারত দিতে হয়েছে পুরো দলকেই। আন্দোলননির্ভর নেতাদের দিয়ে নতুন কমিটি করার দাবি তুলেছেন দুই মহানগরের তৃণমূল নেতারা।

এদিকে দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ব্যর্থতার কারণে শুক্রবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ পূর্তির আগেই ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ঢাকার দুই মহানগরের কমিটিও ভেঙে দিয়ে নতুন নেতৃত্বকে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। এ ছাড়া নিষ্ক্রিয় ও মেয়াদোত্তীর্ণ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোকেও ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। এমন আভাস দেয়া হয়েছে বিএনপি’র হাইকমান্ড থেকে।

২০১১ সালের ১৪ই মে অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাকে আহ্বায়ক ও আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগরের কমিটি ঘোষণা করেছিল বিএনপি।

২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের পর ব্যর্থতার দায়ে মহানগর বিএনপি’র কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। ওই বছরের ১৮ই জুলাই বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে সদস্য সচিব করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। ব্যর্থ হয় আব্বাস- সোহেল কমিটিও। এরপর ২০২১ সালের ২রা আগস্ট পুরনো কমিটি ভেঙে উত্তর দক্ষিণ ভাগ করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঢাকা দক্ষিণে আবদুস সালামকে আহ্বায়ক ও রফিকুল আলম মজনুকে সদস্য সচিব করে ৪৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়। ঢাকা উত্তরে আমানউল্লাহ আমানকে আহ্বায়ক ও আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে ৪৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়।
গত ২৮শে অক্টোবরের আগেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান, দক্ষিণের সদস্য সচিব মজনু ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। এরপর উত্তরে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় ড. ফরহাদ হালিম ডোনার ও দক্ষিণে ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব করা হয় লিটন মাহমুদকে। ২৮শে অক্টোবরের পর পুলিশি অভিযানের মুখে গাঢাকা দেন মহানগরের সব শীর্ষ নেতা। উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় তিন মাস কারাভোগ করেন। মুক্তি পেয়ে দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছেন। ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার কয়েকদিন মিছিল করেছেন। তবে পরোয়ানা থাকায় এখনো কৌশলী অবস্থানে আছেন তিনি। ওদিকে দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম নির্বাচনের আগে থেকে এখনো আত্মগোপনে রয়েছেন। দৃশ্যমান কার্যক্রমও নেই দক্ষিণে।

মহানগর বিএনপি’র একাধিক নেতা জানান, আন্দোলন সফলের জন্য তিনবার ঢাকা মহানগর কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব আনা হয়েছিল। কিন্তু একটি কমিটিও রাজপথের আন্দোলনে সফলতা দেখাতে পারেনি। এর জন্য গ্রুপিং রাজনীতিকে দায়ী করা হচ্ছে। এক গ্রুপের নেতারা দায়িত্ব পেলে অন্য গ্রুপ নিষ্ক্রিয় থাকে। এ ছাড়া উত্তর ও দক্ষিণের শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও চরম দ্বন্দ্ব রয়েছে। এসব কারণে একযোগে মহানগর বিএনপি মাঠের আন্দোলনে নামতে পারেনি। নির্বাচনের আগে আন্দোলন কর্মসূচিতে নেতাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ধরা পড়ে। শীর্ষ নেতাদের কাউকেই ফোনে পাননি মাঠের কর্মীরা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণে গত আড়াই বছরে ১টি থানা কমিটিও গঠন করতে পারেনি। তবে সাংগঠনিক ৮০টি ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৫ থেকে ৭টি আহ্বায়ক কমিটি ছাড়া বাকি সবক’টি ৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দেয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তরে ২৬টি থানা কমিটি আছে। প্রত্যেক কমিটি ৩১ সদস্যবিশিষ্ট। আগে যা ছিল ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি। কমিটি গঠনের সময়ই ৭০ ভাগ নেতাকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয়।

ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মতি বলেন, আগে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট থানা কমিটি ছিল। এখন সেটিকে ৩১ সদস্য করা হয়েছে। এতে অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। ১০ বছর রাজনীতি করে মহানগরে আসেন। কিন্তু অনেকে একদিনও রাজনীতি না করে কমিটিতে জায়গা পেয়ে গেল। যারা মহানগরে ১০/১৫ বছর ধরে রাজনীতি করছে তারা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেল।

ঢাকা দক্ষিণের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন মানবজমিনকে বলেন, আমি গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে ৫ মাস কারাগারে ছিলাম। সরকারের এত নিপীড়নের মধ্যে সবাই চেষ্টা করেছে। সফলতা-ব্যর্থতা থাকতে পারে। তবে সবার আশা ছিল- আরও ভালো কিছু করার।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সদস্য সচিব আমিনুল হক মানবজমিনকে বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর ঢাকা মহানগরে বিএনপি’র রাজনীতিতে সিন্ডিকেট ভেঙে গেছে। এখন প্রকাশ্যে সবাইকে নিয়ে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি করা হচ্ছে। বেশি কাজ করার কারণে অনেকে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কমিটিতে পদ দেয়ার জন্য আমি কারও কাছ থেকে এক কাপ চা খেয়েছি- এমন কেউ প্রমাণ দিতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার আরও বলেন, আমাদের উত্তরের ৪৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করবো। এ ছাড়া থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে যেসব নেতা নিষ্ক্রিয় তাদের বাদ দিয়ে সক্রিয় নেতাদের কমিটিতে আনবো।

এদিকে আন্দোলনে ব্যর্থতার জন্য ঢাকার দুই মহানগরেই নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা চলছে। দক্ষিণে শীর্ষ দুই পদে আলোচনায় রয়েছেন- আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ও তানভীর আহমেদ রবিন। উত্তরে শীর্ষ দুই পদে আলোচনায় রয়েছেন- শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, তাবিথ আউয়াল ও আমিনুল হক। সূত্র : মানবজমিন

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না বিএনপি’র ঢাকার দুই মহানগর

প্রকাশের সময় : ০৮:০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না বিএনপি’র ঢাকার দুই মহানগর। গ্রুপিং রাজনীতির কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন দুই মহানগরের বেশির ভাগ নেতা। পরপর তিনবার নতুন নেতৃত্বকে দায়িত্ব দিয়ে লাভ হয়নি। কোনো কমিটিই রাজধানীতে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। সর্বশেষ নেতৃত্বে আসা সালাম-মজনু ও আমান-আমিনুল কমিটির পেছনেও লেগেছে একই তকমা। এর খেসারত দিতে হয়েছে পুরো দলকেই। আন্দোলননির্ভর নেতাদের দিয়ে নতুন কমিটি করার দাবি তুলেছেন দুই মহানগরের তৃণমূল নেতারা।

এদিকে দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ব্যর্থতার কারণে শুক্রবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ পূর্তির আগেই ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ঢাকার দুই মহানগরের কমিটিও ভেঙে দিয়ে নতুন নেতৃত্বকে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। এ ছাড়া নিষ্ক্রিয় ও মেয়াদোত্তীর্ণ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোকেও ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। এমন আভাস দেয়া হয়েছে বিএনপি’র হাইকমান্ড থেকে।

২০১১ সালের ১৪ই মে অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাকে আহ্বায়ক ও আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগরের কমিটি ঘোষণা করেছিল বিএনপি।

২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের পর ব্যর্থতার দায়ে মহানগর বিএনপি’র কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। ওই বছরের ১৮ই জুলাই বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে সদস্য সচিব করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। ব্যর্থ হয় আব্বাস- সোহেল কমিটিও। এরপর ২০২১ সালের ২রা আগস্ট পুরনো কমিটি ভেঙে উত্তর দক্ষিণ ভাগ করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঢাকা দক্ষিণে আবদুস সালামকে আহ্বায়ক ও রফিকুল আলম মজনুকে সদস্য সচিব করে ৪৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়। ঢাকা উত্তরে আমানউল্লাহ আমানকে আহ্বায়ক ও আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে ৪৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়।
গত ২৮শে অক্টোবরের আগেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান, দক্ষিণের সদস্য সচিব মজনু ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। এরপর উত্তরে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় ড. ফরহাদ হালিম ডোনার ও দক্ষিণে ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব করা হয় লিটন মাহমুদকে। ২৮শে অক্টোবরের পর পুলিশি অভিযানের মুখে গাঢাকা দেন মহানগরের সব শীর্ষ নেতা। উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় তিন মাস কারাভোগ করেন। মুক্তি পেয়ে দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছেন। ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার কয়েকদিন মিছিল করেছেন। তবে পরোয়ানা থাকায় এখনো কৌশলী অবস্থানে আছেন তিনি। ওদিকে দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম নির্বাচনের আগে থেকে এখনো আত্মগোপনে রয়েছেন। দৃশ্যমান কার্যক্রমও নেই দক্ষিণে।

মহানগর বিএনপি’র একাধিক নেতা জানান, আন্দোলন সফলের জন্য তিনবার ঢাকা মহানগর কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব আনা হয়েছিল। কিন্তু একটি কমিটিও রাজপথের আন্দোলনে সফলতা দেখাতে পারেনি। এর জন্য গ্রুপিং রাজনীতিকে দায়ী করা হচ্ছে। এক গ্রুপের নেতারা দায়িত্ব পেলে অন্য গ্রুপ নিষ্ক্রিয় থাকে। এ ছাড়া উত্তর ও দক্ষিণের শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও চরম দ্বন্দ্ব রয়েছে। এসব কারণে একযোগে মহানগর বিএনপি মাঠের আন্দোলনে নামতে পারেনি। নির্বাচনের আগে আন্দোলন কর্মসূচিতে নেতাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ধরা পড়ে। শীর্ষ নেতাদের কাউকেই ফোনে পাননি মাঠের কর্মীরা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণে গত আড়াই বছরে ১টি থানা কমিটিও গঠন করতে পারেনি। তবে সাংগঠনিক ৮০টি ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৫ থেকে ৭টি আহ্বায়ক কমিটি ছাড়া বাকি সবক’টি ৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দেয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তরে ২৬টি থানা কমিটি আছে। প্রত্যেক কমিটি ৩১ সদস্যবিশিষ্ট। আগে যা ছিল ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি। কমিটি গঠনের সময়ই ৭০ ভাগ নেতাকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয়।

ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মতি বলেন, আগে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট থানা কমিটি ছিল। এখন সেটিকে ৩১ সদস্য করা হয়েছে। এতে অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। ১০ বছর রাজনীতি করে মহানগরে আসেন। কিন্তু অনেকে একদিনও রাজনীতি না করে কমিটিতে জায়গা পেয়ে গেল। যারা মহানগরে ১০/১৫ বছর ধরে রাজনীতি করছে তারা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেল।

ঢাকা দক্ষিণের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন মানবজমিনকে বলেন, আমি গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে ৫ মাস কারাগারে ছিলাম। সরকারের এত নিপীড়নের মধ্যে সবাই চেষ্টা করেছে। সফলতা-ব্যর্থতা থাকতে পারে। তবে সবার আশা ছিল- আরও ভালো কিছু করার।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সদস্য সচিব আমিনুল হক মানবজমিনকে বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর ঢাকা মহানগরে বিএনপি’র রাজনীতিতে সিন্ডিকেট ভেঙে গেছে। এখন প্রকাশ্যে সবাইকে নিয়ে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি করা হচ্ছে। বেশি কাজ করার কারণে অনেকে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কমিটিতে পদ দেয়ার জন্য আমি কারও কাছ থেকে এক কাপ চা খেয়েছি- এমন কেউ প্রমাণ দিতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার আরও বলেন, আমাদের উত্তরের ৪৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করবো। এ ছাড়া থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে যেসব নেতা নিষ্ক্রিয় তাদের বাদ দিয়ে সক্রিয় নেতাদের কমিটিতে আনবো।

এদিকে আন্দোলনে ব্যর্থতার জন্য ঢাকার দুই মহানগরেই নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা চলছে। দক্ষিণে শীর্ষ দুই পদে আলোচনায় রয়েছেন- আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ও তানভীর আহমেদ রবিন। উত্তরে শীর্ষ দুই পদে আলোচনায় রয়েছেন- শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, তাবিথ আউয়াল ও আমিনুল হক। সূত্র : মানবজমিন

হককথা/নাছরিন