নিউইয়র্ক ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আশ্বাস পেলেও সরকারকে চাপে রাখবে বিএনপি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫২:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৩০ বার পঠিত

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সরকার প্রধানের এমন বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছে বিএনপি। তবে নির্ধারিত এই সময়েই যাতে নির্বাচন আয়োজন করে সরকার তার জন্য চাপ অব্যাহত রাখতে চায় দলটি। নির্বাচন প্রলম্বিত হতে পারে নানা পক্ষের এমন আশঙ্কার কারণে বিএনপি নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করতে সরকারের প্রতি চাপ প্রয়োগের কৌশল নিয়ে এগোবে। সরকারকে চাপে রাখতে পূর্বঘোষিত ঢাকাসহ দেশব্যাপী সভা-সমাবেশের কর্মসূচি পালন করবে দলটি। সোমবার চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর ওইদিন রাতে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু স্থায়ী কমিটিকে অবহিত করেন বৈঠকে অংশ নেয়া তিন নেতা। ওই নেতারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সঙ্গে যারা ছিলেন তারা আশ্বস্ত করেছেন, অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার এমন আশ্বাসের পরও বিএনপি নেতারা মনে করছেন, এরপরও বাধা আসতে পারে। কারণ নির্বাচন প্রলম্বিত করতে কয়েকটি ইসলামী দল সায় দিচ্ছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশেরও এতে সায় আছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দল গঠনের বিষয়টিও আলোচনা হয় বৈঠকে। নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য তারা কিছুটা সময় নিতে চাইবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জামায়াতও এখন তৃণমূলে সংগঠনকে গোছানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এমন অবস্থায় দ্রুত নির্বাচন দাবিতে বিএনপি দেশব্যাপী কর্মসূচির মধ্যদিয়ে কৌশলে পাল্টা চাপ সৃষ্টি করলে সরকার ঘোষিত সময়ের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করবে না।

সূত্র জানায়, বৈঠকে নেতারা বলেন, ব্যাপক জনসমাগমে সভা-সমাবেশের মধ্যদিয়ে প্রমাণিত হবে যে, বিএনপি’র মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল ও নেতাকর্মীরা সরকারের পরিকল্পনায় সমর্থন দিচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার আশ্বাসে নির্বাচনের যে আলো দেখা গেছে, দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা হলে তা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেও নেতারা মনে করেন।

সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপি নেতারা। এ ছাড়া ৫ই ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরসহ দেশ জুড়ে সংঘটিত ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। নেতারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের এতদিন পর এসে তারা কোনো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিকে সমর্থন করেন না। দলীয় এই অবস্থান তারা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বক্তব্যের মধ্যদিয়ে তুলে ধরবেন। সূত্র : মানবজমিন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আশ্বাস পেলেও সরকারকে চাপে রাখবে বিএনপি

প্রকাশের সময় : ১২:৫২:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সরকার প্রধানের এমন বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছে বিএনপি। তবে নির্ধারিত এই সময়েই যাতে নির্বাচন আয়োজন করে সরকার তার জন্য চাপ অব্যাহত রাখতে চায় দলটি। নির্বাচন প্রলম্বিত হতে পারে নানা পক্ষের এমন আশঙ্কার কারণে বিএনপি নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করতে সরকারের প্রতি চাপ প্রয়োগের কৌশল নিয়ে এগোবে। সরকারকে চাপে রাখতে পূর্বঘোষিত ঢাকাসহ দেশব্যাপী সভা-সমাবেশের কর্মসূচি পালন করবে দলটি। সোমবার চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর ওইদিন রাতে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু স্থায়ী কমিটিকে অবহিত করেন বৈঠকে অংশ নেয়া তিন নেতা। ওই নেতারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সঙ্গে যারা ছিলেন তারা আশ্বস্ত করেছেন, অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার এমন আশ্বাসের পরও বিএনপি নেতারা মনে করছেন, এরপরও বাধা আসতে পারে। কারণ নির্বাচন প্রলম্বিত করতে কয়েকটি ইসলামী দল সায় দিচ্ছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশেরও এতে সায় আছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দল গঠনের বিষয়টিও আলোচনা হয় বৈঠকে। নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য তারা কিছুটা সময় নিতে চাইবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জামায়াতও এখন তৃণমূলে সংগঠনকে গোছানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এমন অবস্থায় দ্রুত নির্বাচন দাবিতে বিএনপি দেশব্যাপী কর্মসূচির মধ্যদিয়ে কৌশলে পাল্টা চাপ সৃষ্টি করলে সরকার ঘোষিত সময়ের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করবে না।

সূত্র জানায়, বৈঠকে নেতারা বলেন, ব্যাপক জনসমাগমে সভা-সমাবেশের মধ্যদিয়ে প্রমাণিত হবে যে, বিএনপি’র মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল ও নেতাকর্মীরা সরকারের পরিকল্পনায় সমর্থন দিচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার আশ্বাসে নির্বাচনের যে আলো দেখা গেছে, দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা হলে তা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেও নেতারা মনে করেন।

সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপি নেতারা। এ ছাড়া ৫ই ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরসহ দেশ জুড়ে সংঘটিত ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। নেতারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের এতদিন পর এসে তারা কোনো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিকে সমর্থন করেন না। দলীয় এই অবস্থান তারা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বক্তব্যের মধ্যদিয়ে তুলে ধরবেন। সূত্র : মানবজমিন।