নিউইয়র্ক ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিএনপি অটল ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪১:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৫১ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক :  বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে কোনো ভোটে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল বিএনপি। তাই আসছে ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ভাবছে না দলটি। সরকার পদত্যাগের একদফা আন্দোলনেই মনোযোগ তাদের। তবে প্রতীক ছাড়া দলের কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের বিরুদ্ধে নমনীয় নাকি কঠোর হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি। তৃণমূলের অনেকে ভোটে যেতে আগ্রহী বলে নীতিনির্ধারকদের জানিয়েছেন। সে বিবেচনায় স্বতন্ত্রভাবে কেউ অংশ নিলে তাদের বিরুদ্ধে দল নমনীয় হতে পারে। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপিসহ নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ৬৩টি রাজনৈতিক দল। তারা দলীয় সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোট সুষ্ঠু হয় না বলে দাবি করে আসছে। তবে এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল আবার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। বিএনপি নেতারা জানান, তারা বর্তমান সরকারকে অবৈধ বলছেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে সুষ্ঠু ভোট আশা করেন না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে অংশ নেননি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বর্জন করেছেন। এমন অবস্থায় কোনো নির্বাচনেই যাওয়ার সুযোগ নেই। সরকারের পদত্যাগসহ ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তারা আন্দোলন করছেন। যা অব্যাহত থাকবে। তবে নেতারা এও স্বীকার করেন, তৃণমূলের একটি অংশ উপজেলা নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। এখন প্রতীক ছাড়া কেউ নির্বাচনে গেলে কি ধরনের পদক্ষেপ নেবে, তা নীতিনির্ধারকরা ঠিক করবেন। অন্যদিকে নিবন্ধন বাতিলের পর থেকে জামায়াতে ইসলামী প্রতীকবিহীন দল। একটি সূত্র জানায়, তাদের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ভোট করার কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু ময়মনসিংহ সিটির কয়েকটি কাউন্সিলর পদে ভোট করতে পারে। এছাড়া বেশ কয়েকটি উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নিতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত দলটি ভোটে যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক করে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। আর ইসলামী আন্দোলনও ভোটে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো ভোট সুষ্ঠু হয় না তা প্রমাণিত। বিএনপির এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। দলের নীতিনির্ধারকরা পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত নিলে নেবেন। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না।’ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘নির্বাচন যাওয়া না যাওয়া নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, ‘এটা তো স্থানীয় নির্বাচন। এর সঙ্গে তৃণমূল জড়িত। এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য আমাদের সামনে বৈঠক আছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়া যেহেতু আমরা জাতীয় নির্বাচনে যাইনি, আরও অনেক দলও যায়নি। তাদের সঙ্গেও আলোচনার বিষয় আছে।’

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চরম ভরাডুবি হয় বিএনপির। ভোট নিয়ে নানা অভিযোগ তোলে দলটি। এরপরও এ সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয় তারা। কিন্তু নির্বাচনে নানা অভিযোগ ও অনিয়ম এনে ২০২১ সালের মার্চ থেকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো ভোটে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। এরপরও তৃণমূলের অনেকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নেয়। তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও বর্জন করে বিএনপি।

স্থানীয় সরকারের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে চেয়ারম্যান ও মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ভোট করার বিধান আছে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ৯ মার্চ। এছাড়া মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ করতে চায় কমিশন।

এদিকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নির্বাচনগুলোয় দলীয়ভাবে মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ কাউকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে না। যার যার মতো করে স্বতন্ত্রভাবে দলের নেতারা নির্বাচন করতে পারবেন। সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক তুলে দেওয়া প্রসঙ্গে মঙ্গলবার এক সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগের ৭ জানুয়ারির পর সোমবার দ্বিতীয় পরাজয় হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিজেরা পরাজয় স্বীকার করে নিজেরাই নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছে। তারা এখন নৌকা নিয়ে নির্বাচন করবে না। এটা তাদের আতস্বীকৃত পরাজয়। মুখে হুমকি-ধমকি যা-ই দেখাক না কেন আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে, দেশের মানুষ নৌকা প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগের বাড়াবাড়ি এখন ধোপে টিকছে না।’

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সামনে উপজেলা নির্বাচন। আওয়ামী লীগ সরকারই আইন করেছিল যে, এটা মার্কার ভোট হবে। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলছেন, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আর মার্কা দেবে না। কেন? আওয়ামী লীগ এখন তো কোনো রাজনৈতিক দল নয়। আওয়ামী লীগ দল এখন এক ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণের হাতিয়ার।’ সূত্র : যুগান্তর

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বিএনপি অটল ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে

প্রকাশের সময় : ০৪:৪১:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ ডেস্ক :  বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে কোনো ভোটে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল বিএনপি। তাই আসছে ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ভাবছে না দলটি। সরকার পদত্যাগের একদফা আন্দোলনেই মনোযোগ তাদের। তবে প্রতীক ছাড়া দলের কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের বিরুদ্ধে নমনীয় নাকি কঠোর হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি। তৃণমূলের অনেকে ভোটে যেতে আগ্রহী বলে নীতিনির্ধারকদের জানিয়েছেন। সে বিবেচনায় স্বতন্ত্রভাবে কেউ অংশ নিলে তাদের বিরুদ্ধে দল নমনীয় হতে পারে। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপিসহ নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ৬৩টি রাজনৈতিক দল। তারা দলীয় সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোট সুষ্ঠু হয় না বলে দাবি করে আসছে। তবে এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল আবার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। বিএনপি নেতারা জানান, তারা বর্তমান সরকারকে অবৈধ বলছেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে সুষ্ঠু ভোট আশা করেন না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে অংশ নেননি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বর্জন করেছেন। এমন অবস্থায় কোনো নির্বাচনেই যাওয়ার সুযোগ নেই। সরকারের পদত্যাগসহ ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তারা আন্দোলন করছেন। যা অব্যাহত থাকবে। তবে নেতারা এও স্বীকার করেন, তৃণমূলের একটি অংশ উপজেলা নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। এখন প্রতীক ছাড়া কেউ নির্বাচনে গেলে কি ধরনের পদক্ষেপ নেবে, তা নীতিনির্ধারকরা ঠিক করবেন। অন্যদিকে নিবন্ধন বাতিলের পর থেকে জামায়াতে ইসলামী প্রতীকবিহীন দল। একটি সূত্র জানায়, তাদের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ভোট করার কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু ময়মনসিংহ সিটির কয়েকটি কাউন্সিলর পদে ভোট করতে পারে। এছাড়া বেশ কয়েকটি উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নিতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত দলটি ভোটে যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক করে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। আর ইসলামী আন্দোলনও ভোটে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো ভোট সুষ্ঠু হয় না তা প্রমাণিত। বিএনপির এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। দলের নীতিনির্ধারকরা পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত নিলে নেবেন। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না।’ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘নির্বাচন যাওয়া না যাওয়া নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, ‘এটা তো স্থানীয় নির্বাচন। এর সঙ্গে তৃণমূল জড়িত। এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য আমাদের সামনে বৈঠক আছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়া যেহেতু আমরা জাতীয় নির্বাচনে যাইনি, আরও অনেক দলও যায়নি। তাদের সঙ্গেও আলোচনার বিষয় আছে।’

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চরম ভরাডুবি হয় বিএনপির। ভোট নিয়ে নানা অভিযোগ তোলে দলটি। এরপরও এ সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয় তারা। কিন্তু নির্বাচনে নানা অভিযোগ ও অনিয়ম এনে ২০২১ সালের মার্চ থেকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো ভোটে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। এরপরও তৃণমূলের অনেকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নেয়। তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও বর্জন করে বিএনপি।

স্থানীয় সরকারের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে চেয়ারম্যান ও মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ভোট করার বিধান আছে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ৯ মার্চ। এছাড়া মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ করতে চায় কমিশন।

এদিকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নির্বাচনগুলোয় দলীয়ভাবে মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ কাউকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে না। যার যার মতো করে স্বতন্ত্রভাবে দলের নেতারা নির্বাচন করতে পারবেন। সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক তুলে দেওয়া প্রসঙ্গে মঙ্গলবার এক সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগের ৭ জানুয়ারির পর সোমবার দ্বিতীয় পরাজয় হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিজেরা পরাজয় স্বীকার করে নিজেরাই নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছে। তারা এখন নৌকা নিয়ে নির্বাচন করবে না। এটা তাদের আতস্বীকৃত পরাজয়। মুখে হুমকি-ধমকি যা-ই দেখাক না কেন আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে, দেশের মানুষ নৌকা প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগের বাড়াবাড়ি এখন ধোপে টিকছে না।’

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সামনে উপজেলা নির্বাচন। আওয়ামী লীগ সরকারই আইন করেছিল যে, এটা মার্কার ভোট হবে। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলছেন, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আর মার্কা দেবে না। কেন? আওয়ামী লীগ এখন তো কোনো রাজনৈতিক দল নয়। আওয়ামী লীগ দল এখন এক ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণের হাতিয়ার।’ সূত্র : যুগান্তর

হককথা/নাছরিন