নিউইয়র্ক ০৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ২২৯ জনের মধ্যে রয়েছে বিজিপি-পুলিশসহ সেনা সদস্য

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৬:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২২ বার পঠিত

বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতর আশ্রয় নেন মিয়ানমারের বিজিপিসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ডেস্ক : আরাকান আর্মির হামলার মুখে প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ ২২৯ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজিবি জানায়, গত দুই দিনে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, সরকারি ও সেনা কর্মকর্তাসহ ২২৯ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তাঁদের নিরস্ত্র করে কক্সবাজার বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়।

এদের মধ্যে অধিকাংশই সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্য। তাদের মধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে ৭৬ জন ও ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ৩৭ জন এবং বালুখালী সীমান্ত দিয়ে ৭০ জন প্রবেশ করে।
এদিকে আজ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২২৯ জনের মধ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দুজন সদস্য, সিআইডির চারজন, পুলিশের পাঁচ সদস্য, স্পেশাল ব্রাঞ্চের ৯ জন, ইমিগ্রেশন সদস্য ২০ জন, অসামরিক চারজন রয়েছে। তা ছাড়া টেকনাফের হোয়াইক্যং বিওপিতে দুজন বিজিপি সদস্য রয়েছে।

মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। আরাকান আর্মির হামলার মুখে প্রাণ বাঁচাতে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিসহ বিভিন্ন বাহিনীর অন্তত ২২৯ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। আজ প্রবেশ করা ১১৪ জনের মধ্যে বিজিপি সদস্য ছাড়াও রয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও কাস্টমস সদস্যসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য। বিজিবি তাঁদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়েছে।

এদিকে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সবাইকে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠাতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। গতকাল সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হন। এ ঘটনায় আজ মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। সূত্র : কালের কণ্ঠ

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ২২৯ জনের মধ্যে রয়েছে বিজিপি-পুলিশসহ সেনা সদস্য

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৬:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ ডেস্ক : আরাকান আর্মির হামলার মুখে প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ ২২৯ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজিবি জানায়, গত দুই দিনে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, সরকারি ও সেনা কর্মকর্তাসহ ২২৯ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তাঁদের নিরস্ত্র করে কক্সবাজার বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়।

এদের মধ্যে অধিকাংশই সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্য। তাদের মধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে ৭৬ জন ও ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ৩৭ জন এবং বালুখালী সীমান্ত দিয়ে ৭০ জন প্রবেশ করে।
এদিকে আজ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২২৯ জনের মধ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দুজন সদস্য, সিআইডির চারজন, পুলিশের পাঁচ সদস্য, স্পেশাল ব্রাঞ্চের ৯ জন, ইমিগ্রেশন সদস্য ২০ জন, অসামরিক চারজন রয়েছে। তা ছাড়া টেকনাফের হোয়াইক্যং বিওপিতে দুজন বিজিপি সদস্য রয়েছে।

মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। আরাকান আর্মির হামলার মুখে প্রাণ বাঁচাতে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিসহ বিভিন্ন বাহিনীর অন্তত ২২৯ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। আজ প্রবেশ করা ১১৪ জনের মধ্যে বিজিপি সদস্য ছাড়াও রয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও কাস্টমস সদস্যসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য। বিজিবি তাঁদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়েছে।

এদিকে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সবাইকে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠাতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। গতকাল সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হন। এ ঘটনায় আজ মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। সূত্র : কালের কণ্ঠ

হককথা/নাছরিন