নিউইয়র্ক ০৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

একাত্তরে আ.লীগ নেতারা পালিয়েছিলেন : মির্জা ফখরুল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:০০:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / ৬৮ বার পঠিত

একাত্তরে দেশের মানুষকে অরক্ষিত রেখে আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে অনেকেই ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। একাত্তরে হত্যাযজ্ঞে সহযোগীরা এখন গলা ফুলিয়ে কথা বলেন। এ ছাড়া সেসময় মানুষকে অরক্ষিত রেখে আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেসময় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। মানুষকে অরক্ষিত রেখে কোনো দিকনির্দেশনা না দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের আগস্টেও তারা তাদের নেতাকর্মীদের রেখে হেলিকপ্টারে ভারতে পালিয়ে গেছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতো না। আওয়ামী লীগকে আর কোনো গণতান্ত্রিক সুবিধা দেওয়ার কথা চিন্তা করতে পারি না। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বেগম খালেদা জিয়া। যারা এই ইতিহাস জানেন না, তারাই জিয়াউর রহমানের অবদান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সংস্কার কোনো নতুন জিনিস নয়। অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের পাহাড় নিয়ে এসেছে। এর অনেক কিছুই জনগণ বোঝে না। বিএনপি এর প্রত্যেকটা নিয়ে মতামত দিয়েছে দেশের মানুষের কাছে। প্রথম সংস্কার নিয়ে এসেছেন জিয়াউর রহমান। এরপরে মৌলিক সংস্কার করেছেন খালেদা জিয়া। এবারও রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফার সংস্কারের প্রস্তাবনা দিয়েছে বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। গণতন্ত্রে প্রবেশ করতে নির্বাচন লাগবে। নির্বাচন পিছিয়ে দিতে নতুন করে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুতুব তৈরি হয়েছে, তারা বাংলাদেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিতে চায়। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত হতে দিতে পারি না। সূত্র : কালবেলা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

একাত্তরে আ.লীগ নেতারা পালিয়েছিলেন : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৫:০০:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

একাত্তরে দেশের মানুষকে অরক্ষিত রেখে আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে অনেকেই ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। একাত্তরে হত্যাযজ্ঞে সহযোগীরা এখন গলা ফুলিয়ে কথা বলেন। এ ছাড়া সেসময় মানুষকে অরক্ষিত রেখে আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেসময় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। মানুষকে অরক্ষিত রেখে কোনো দিকনির্দেশনা না দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের আগস্টেও তারা তাদের নেতাকর্মীদের রেখে হেলিকপ্টারে ভারতে পালিয়ে গেছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতো না। আওয়ামী লীগকে আর কোনো গণতান্ত্রিক সুবিধা দেওয়ার কথা চিন্তা করতে পারি না। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বেগম খালেদা জিয়া। যারা এই ইতিহাস জানেন না, তারাই জিয়াউর রহমানের অবদান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সংস্কার কোনো নতুন জিনিস নয়। অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের পাহাড় নিয়ে এসেছে। এর অনেক কিছুই জনগণ বোঝে না। বিএনপি এর প্রত্যেকটা নিয়ে মতামত দিয়েছে দেশের মানুষের কাছে। প্রথম সংস্কার নিয়ে এসেছেন জিয়াউর রহমান। এরপরে মৌলিক সংস্কার করেছেন খালেদা জিয়া। এবারও রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফার সংস্কারের প্রস্তাবনা দিয়েছে বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। গণতন্ত্রে প্রবেশ করতে নির্বাচন লাগবে। নির্বাচন পিছিয়ে দিতে নতুন করে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুতুব তৈরি হয়েছে, তারা বাংলাদেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিতে চায়। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত হতে দিতে পারি না। সূত্র : কালবেলা।