সাগর-রুনি হত্যা
জট খুলতে শুরু আসছে অনেক তথ্য
![](https://hakkatha.com/wp-content/uploads/2024/05/hakkathafav.png)
- প্রকাশের সময় : ০১:০৫:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪ বার পঠিত
সাগর-রুনি হত্যা মামলায় বেশ কিছু ডেভেলপমেন্ট (অগ্রগতি) হাতে এসেছে। খুব শিগগিরই হাইকোর্ট বিভাগে তদন্ত প্রতিবেদন সাবমিট করা হবে বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি বলেন, অতীতে এই মামলাটির তদন্ত সঠিকভাবে পরিচালনা করতে দেয়া হয়নি; এই মর্মে তদন্ত রিপোর্টে কিছু তথ্য-উপাত্ত এসেছে। অতীতে এই তদন্ত প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাগর-রুনি হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাগর-রুনির ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।
শিশির মনির বলেন, ১৩ বছরেও সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি। আমরা মনে করি, এটি রাষ্ট্রীয় লেভেলে একটি বড় ধরনের ব্যর্থতার ফল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে একটি উচ্চতর টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। উচ্চতর টাস্কফোর্স ৪ঠা এপ্রিলের মধ্যে তাদের তদন্তের সারবত্তা পেশ করবে। এ সময়ের মধ্যে তদন্তকারী (টাস্কফোর্স) কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সাইন্টিফিক ও ফরেন যেগুলো এভিডেন্স আছে সেগুলো এক্সামিন হচ্ছে। সাগর-রুনির এ আইনজীবী বলেন, অতীতে ইনভেস্টিগেশন প্রসেসকে সঠিকভাবে আইনি পদ্ধতিতে চলতে দেয়া হয়নি। দক্ষ জনশক্তি এবং ইচ্ছার অভাবে সময়মতো তদন্ত সম্পন্ন করা যায়নি। ১৩ বছর পরে আজ এসে প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে চ্যালেঞ্জিং জব। কারণ ১৩ বছরে অনেক সাক্ষী অদৃশ্য হয়ে গেছে। এসব কিছুর পরেও আমরা আলো দেখছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তের বিষয়টির সঙ্গে স্পর্শকাতরতা আছে। এক ধরনের গোপনীয়তা আছে। তবে যাদের এক্সামিন করা হয়েছে, আলোচনা করেছেন, আলাপ করেছেন, অন্য মামলায় জেলে আছেন, এরকম ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। যারা কিছুটা বক্তব্য দিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগাযোগের ব্যাপারে তারা মুখ খুলেছেন। তবে আদালতের বাধ্যবাধকতার কারণে বর্তমানে সবটুকু জানানো উচিত নয় মন্তব্য করে শিশির মনির বলেন, কিছু ইন্ডিকেশন (আলামত) আসছে যে, অতীতে তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্টারেস্ট ইম্পিলিমেন্ট করার জন্য তদন্ত প্রক্রিয়াকে সঠিক আইনি পথে পরিচালিত হতে দেয়া হয়নি। এগুলো তদন্তের অংশ হবে। কারা কারা ছিলেন, কারা বাধা দিয়েছেন, কীভাবে দিয়েছেন। যারা রিট করেছেন তারা কেন রিট করেছেন। কেন র্যাবকে সেই দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। র্যাবতো কোনো তদন্তকারী সংস্থা না। সেটিও খতিয়ে দেখছে তদন্ত সংস্থা।
রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, তদন্ত তো আমরা বুঝি না। তারপরও সবকিছু দেখে কিছুটা আশার আলো দেখতে পাই। আমরা আশা করবো যেহেতু আগের সরকার নেই, আমরা সবসময় মনে করতাম যে, আগের সরকারের সংশ্লিষ্ট কেউ বা সরকার স্বয়ং এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কারণ যত ধরনের নাটক হয়েছে, যে ডিএনএ টেস্ট থেকে শুরু করে আমাদের হয়রানি এবং নানা সময় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী কথাবার্তা বলেছেন। যেমন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বেডরুম পাহারা দেয়ার দায়িত্ব তার না। এসব থেকে আমরা মনে করি তৎকালীন সরকার বা তাদের সংশ্লিষ্ট কেউ এটার সঙ্গে জড়িত। সরকার আন্তরিক হলে ১২ বছর ধরে তদন্ত চলতো না। র্যাবের মতো একটা বাহিনী যারা তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত না…। তিনি বলেন, এতবার আশা ভঙ্গ ঘটেছে, যার ফলে আমরা আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু পাচ্ছি না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা তদন্ত রিপোর্ট কী আসছে সেটা জানতে পারছি। মাহির সরওয়ার মেঘ বলেন, আগে তো কিছু হতো না। এখন তো দেখছি যে ওরা কাজ করছে। তো একটু হলেও আমরা আশাবাদী। আশা করা যাচ্ছে পজেটিভ কিছু একটা শুনতে পাবো। সূত্র : মানবজমিন।