নিউইয়র্ক ১২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু হয়েছে ৮১৯ জনের: এইচআরএসএসের তথ্য

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:৩২:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৫৬ বার পঠিত

কোটাবিরোধী আন্দোলন ও পরবর্তী সময়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এসব হত্যাকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ১৮ শতাংশই ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু এবং প্রায় ৫১ শতাংশ ৩০ বছরের কম বয়সী তরুণ-যুবক। সে হিসাবে, নিহতদের ৬৯ শতাংশই ৩০ বছরের কম বয়সী।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) আয়োজিত ‘২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

১২টি জাতীয় দৈনিক, এইচআরএসএসের তথ্য অনুসন্ধানী ইউনিট ও সারা দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে এই জরিপ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এইচআরএসএস।

সংবাদ সম্মেলনে জরিপ প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংগঠনটির গবেষণা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভিকটিমের পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী, হাসপাতাল ও জাতীয় দৈনিকগুলোর সূত্র থেকে আমরা ৮১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছি। তাদের মধ্যে ৬৩০ জনের নাম জানা গেলেও ১৮৯ জনের নাম জানা সম্ভব হয়নি।’

এই হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন জানিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘আমরা তথ্য পাওয়া ৮১৯ জনের মধ্যে ৪৭০ জনের বয়স সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি। তাদের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু ৮৩ জন (১৮%), তরুণ ও যুবক বয়সী ২৪০ জন (৫১%), মধ্যবয়সী ১২৬ জন (২৭%) এবং বয়স্ক ব্যক্তি আছেন ২১ জন (৪.৫%)।সূত্র: আজকের পত্রিকা।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু হয়েছে ৮১৯ জনের: এইচআরএসএসের তথ্য

প্রকাশের সময় : ০১:৩২:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

কোটাবিরোধী আন্দোলন ও পরবর্তী সময়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এসব হত্যাকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ১৮ শতাংশই ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু এবং প্রায় ৫১ শতাংশ ৩০ বছরের কম বয়সী তরুণ-যুবক। সে হিসাবে, নিহতদের ৬৯ শতাংশই ৩০ বছরের কম বয়সী।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) আয়োজিত ‘২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

১২টি জাতীয় দৈনিক, এইচআরএসএসের তথ্য অনুসন্ধানী ইউনিট ও সারা দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে এই জরিপ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এইচআরএসএস।

সংবাদ সম্মেলনে জরিপ প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংগঠনটির গবেষণা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভিকটিমের পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী, হাসপাতাল ও জাতীয় দৈনিকগুলোর সূত্র থেকে আমরা ৮১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছি। তাদের মধ্যে ৬৩০ জনের নাম জানা গেলেও ১৮৯ জনের নাম জানা সম্ভব হয়নি।’

এই হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন জানিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘আমরা তথ্য পাওয়া ৮১৯ জনের মধ্যে ৪৭০ জনের বয়স সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি। তাদের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু ৮৩ জন (১৮%), তরুণ ও যুবক বয়সী ২৪০ জন (৫১%), মধ্যবয়সী ১২৬ জন (২৭%) এবং বয়স্ক ব্যক্তি আছেন ২১ জন (৪.৫%)।সূত্র: আজকের পত্রিকা।