মোহনগঞ্জে আগুনে ৪ দোকান পুড়ে ছাই

- প্রকাশের সময় : ০৪:১৩:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ১১৪ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে চার দোকান। এতে দুই কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে পৌরশহরের কাচারি রোডে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে মোহনগঞ্জ, বারহাট্টা ও ধর্মপাশা উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের তিন ইউনিট এসে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়।
আগুনে শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী ভোলানাথ ভান্ডার, বেঙ্গল হার্ডওয়্যারসহ চারটি টিনের দোকান ঘর মালামালসহ পুড়ে যায়। এ ঘটনায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্ত বেঙ্গল হার্ডওয়্যারের মালিক নবীন বণিক বলেন, আমার দোকানে কোটি টাকার বেশি মালামাল ছিল। সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে দোকান ঘরও পুড়ে গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তার জন্য পৌরশহরের কাচারি রোডের প্রায় সবগুলো দোকানের ভেতরেই রাতে কর্মচারীরা ঘুমায়। রাত সোয়া ২টার সময় আগুন ছড়িয়ে পড়লে পাশের দোকানে থাকা লোকজনের ঘুম ভাঙে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের ভেতরে থাকা লোকজনও বাইরে এসে চিৎকার করে। পরে খবর দেওয়া হলে প্রথমে মোহনগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে ছুটে আসে। পরে বারহাট্টা ও ধর্মপাশার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে যৌথ চেষ্টায় তিন ঘণ্টায় আগুন নেভায়। ততক্ষণে চার দোকান ও এর ভেতরে থাকা সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
মোহনগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কানাই লাল চক্রবর্তী বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলে তাদের তথ্যে প্রাথমিকভাবে ৮০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জেনেছি। পরে তদন্ত করে হয়তো বিস্তারিত জানা যাবে।
মোহনগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার আশফাকুর রহমান রাব্বী জানান, খবর পেয়ে মোহনগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে ছুটে যায়। পরে বারহাট্টা ও ধর্মপাশার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও আসে। যৌথ চেষ্টায় তিন ঘণ্টায় আগুন নেভানো হয়। এ ঘটনায় তদন্ত করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। তবে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা হচ্ছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আজকে আইনশৃঙ্খলা সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। সূত্র : ঢাকা মেইল
হককথা/নাছরিন