নিউইয়র্ক ১০:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রঙের মান পরীক্ষায় জার্মানি সফর : পুলিশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:১৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৩৫ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের জন্য বালিশের ডাবল কাভারসহ এক লাখ বিছানার চাদর কিনতেই কি আইজিপি-সহ তিন কর্মকর্তার জার্মানি সফর? এ নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র৷ এই সফর নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এক মুখপাত্র৷  ‘ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপটেন্স টেস্ট’ করতে কর্মকর্তারা জার্মানি সফরে যাচ্ছেন বলে পুলিশের মুখপাত্র, সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন৷ ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, দেশীয় ঠিকাদারের মাধ্যমে কেনা হলেও রং জার্মানি থেকে আসবে৷
জার্মানির যে প্রতিষ্ঠান থেকে এসব আনা হবে তার গ্রহণযোগ্যতা ও মান যাচাই করতে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের জার্মানি যাওয়ার কথা রয়েছে এই মাসেই৷ তার দুই সফরসঙ্গী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. ফিরোজ উদ্দিন খালিফা এবং পুলিশ সদর দপ্তরের এসপি ও আইজিপির স্টাফ অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ আলম৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৭ ফেব্রুয়ারি এই সফর নিয়ে আদেশ দেওয়ার পরই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা চলছে৷ পরিদর্শনের সব খরচ ‘আয়োজক’ নিজে দেবেন এবং বাংলাদেশ সরকারের এর সঙ্গে কোনো আর্থিক যোগ নেই, এ কথাও স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল ওই আদেশে৷ তবে এরপরই প্রশ্ন ওঠে পুলিশের জন্য বিছানার চাদর ‘কিনতে’ জার্মান সফর?
জানানো হয়, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে তারা জার্মানিতে যাবেন৷ জার্মানিতে মোট নয় দিন থাকার কথা রয়েছে তাদের৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মাহবুবুল আলম মজুমদারের সই করা চিঠিতে তিন কর্মকর্তার সফরের কথা জানা গিয়েছে৷
বাংলাদেশের বস্ত্র ইউরোপ,যুক্তরাষ্ট্র-সহ সারা পৃথিবীতে যায়৷ তাই জার্মানি থেকে বিছানার চাদর ‘কিনতে যাওয়ার’ কথা জেনে পোশাক রপ্তানিকারকরাও অবাক হয়েছিলেন৷
বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সোহেলের বক্তব্য, ‘‘জার্মান চ্যান্সেলরও আমাদের তৈরি বিছানার চাদরে ঘুমান, খোঁজ নিলে জানা যাবে এমনটাই৷’’ তার কথায়, আলদি থেকে শুরু করে জার্মানির সব সুপারমার্কেটে বাংলাদেশে তৈরির কাপড়জামা বিক্রি হয়৷ জার্মানির যে কোনো বড় দোকানে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ জিনিসপত্র মেলে৷ বাংলাদেশের তৈরি পণ্য সারা ইউরোপে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যায়৷ টপ ব্র্যান্ডগুলো তাদের জিনিস বিক্রি করে৷
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজির দাবি, জার্মানি থেকে কেনার বিষয়টির ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে৷ তিনি জানান, এক লাখ বিছানার চাদর ও বালিশের কাভারের বরাত পেয়েছে বাংলাদেশের একটি সংস্থা৷ গত অক্টোবরে টেন্ডারের সময় বলা হয়েছিল, ডাই (রং) হিসেবে তারা ‘ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড কেমিকেল’ ব্যবহার করবে৷ দেশীয় সেই সংস্থা রং নেবে জার্মানির সংস্থার থেকে৷ ‘ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপটেন্স টেস্ট’ চলমান প্রক্রিয়া৷ তাই আইজিপি মহোদয় জার্মানি যাবেন৷
শাহাদাত হোসেন এই প্রসঙ্গে বলেন, জার্মানি বা ইউরোপ থেকে রং আনা হয়৷এই অর্ডারের ক্ষেত্রেও তেমন কিছু হচ্ছে হয়তো৷ তবে সেক্ষেত্রে সরকারি চিঠির (আদেশের) ভাষাটা কেন ওরকম- তা তিনি জানেন না৷
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি যদিও স্পষ্ট করেন, সফরের খরচ বহন করছে দেশীয় ঠিকাদার সংস্থা৷ পরিদর্শন দলের সঙ্গে ঠিকাদার কোম্পানির বিশেষজ্ঞরাও থাকবেন৷ পুলিশের সাধারণ সদস্যরাই এসব বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার ব্যবহার করবেন৷ সূত্র: ডয়েচে ভেলে
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রঙের মান পরীক্ষায় জার্মানি সফর : পুলিশ

প্রকাশের সময় : ১০:১৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বাংলাদেশ ডেস্ক : পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের জন্য বালিশের ডাবল কাভারসহ এক লাখ বিছানার চাদর কিনতেই কি আইজিপি-সহ তিন কর্মকর্তার জার্মানি সফর? এ নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র৷ এই সফর নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এক মুখপাত্র৷  ‘ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপটেন্স টেস্ট’ করতে কর্মকর্তারা জার্মানি সফরে যাচ্ছেন বলে পুলিশের মুখপাত্র, সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন৷ ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, দেশীয় ঠিকাদারের মাধ্যমে কেনা হলেও রং জার্মানি থেকে আসবে৷
জার্মানির যে প্রতিষ্ঠান থেকে এসব আনা হবে তার গ্রহণযোগ্যতা ও মান যাচাই করতে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের জার্মানি যাওয়ার কথা রয়েছে এই মাসেই৷ তার দুই সফরসঙ্গী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. ফিরোজ উদ্দিন খালিফা এবং পুলিশ সদর দপ্তরের এসপি ও আইজিপির স্টাফ অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ আলম৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৭ ফেব্রুয়ারি এই সফর নিয়ে আদেশ দেওয়ার পরই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা চলছে৷ পরিদর্শনের সব খরচ ‘আয়োজক’ নিজে দেবেন এবং বাংলাদেশ সরকারের এর সঙ্গে কোনো আর্থিক যোগ নেই, এ কথাও স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল ওই আদেশে৷ তবে এরপরই প্রশ্ন ওঠে পুলিশের জন্য বিছানার চাদর ‘কিনতে’ জার্মান সফর?
জানানো হয়, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে তারা জার্মানিতে যাবেন৷ জার্মানিতে মোট নয় দিন থাকার কথা রয়েছে তাদের৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মাহবুবুল আলম মজুমদারের সই করা চিঠিতে তিন কর্মকর্তার সফরের কথা জানা গিয়েছে৷
বাংলাদেশের বস্ত্র ইউরোপ,যুক্তরাষ্ট্র-সহ সারা পৃথিবীতে যায়৷ তাই জার্মানি থেকে বিছানার চাদর ‘কিনতে যাওয়ার’ কথা জেনে পোশাক রপ্তানিকারকরাও অবাক হয়েছিলেন৷
বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সোহেলের বক্তব্য, ‘‘জার্মান চ্যান্সেলরও আমাদের তৈরি বিছানার চাদরে ঘুমান, খোঁজ নিলে জানা যাবে এমনটাই৷’’ তার কথায়, আলদি থেকে শুরু করে জার্মানির সব সুপারমার্কেটে বাংলাদেশে তৈরির কাপড়জামা বিক্রি হয়৷ জার্মানির যে কোনো বড় দোকানে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ জিনিসপত্র মেলে৷ বাংলাদেশের তৈরি পণ্য সারা ইউরোপে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যায়৷ টপ ব্র্যান্ডগুলো তাদের জিনিস বিক্রি করে৷
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজির দাবি, জার্মানি থেকে কেনার বিষয়টির ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে৷ তিনি জানান, এক লাখ বিছানার চাদর ও বালিশের কাভারের বরাত পেয়েছে বাংলাদেশের একটি সংস্থা৷ গত অক্টোবরে টেন্ডারের সময় বলা হয়েছিল, ডাই (রং) হিসেবে তারা ‘ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড কেমিকেল’ ব্যবহার করবে৷ দেশীয় সেই সংস্থা রং নেবে জার্মানির সংস্থার থেকে৷ ‘ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপটেন্স টেস্ট’ চলমান প্রক্রিয়া৷ তাই আইজিপি মহোদয় জার্মানি যাবেন৷
শাহাদাত হোসেন এই প্রসঙ্গে বলেন, জার্মানি বা ইউরোপ থেকে রং আনা হয়৷এই অর্ডারের ক্ষেত্রেও তেমন কিছু হচ্ছে হয়তো৷ তবে সেক্ষেত্রে সরকারি চিঠির (আদেশের) ভাষাটা কেন ওরকম- তা তিনি জানেন না৷
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি যদিও স্পষ্ট করেন, সফরের খরচ বহন করছে দেশীয় ঠিকাদার সংস্থা৷ পরিদর্শন দলের সঙ্গে ঠিকাদার কোম্পানির বিশেষজ্ঞরাও থাকবেন৷ পুলিশের সাধারণ সদস্যরাই এসব বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার ব্যবহার করবেন৷ সূত্র: ডয়েচে ভেলে
হককথা/এমউএ