নিউইয়র্ক ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
হামিদ-উজ-জামান

নতুন রোগের আবির্ভাবসহ স্বাস্থ্য খাতে ২৫ চ্যালেঞ্জ

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৯৫ বার পঠিত

নতুন রোগের আবির্ভাবসহ স্বাস্থ্য খাতে ২৫ ধরনের চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। ‘স্বাস্থ্য সেক্টর অ্যাকশন প্ল্যানে’ এসব চ্যালেঞ্জের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাত উন্নয়নে নানা কৌশলের বিষয়ও উল্লেখ রয়েছে। যেমন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্য শিক্ষার আধুনিকায়ন ও গুণগত মান উন্নয়ন, জরুরি সেবা সরবরাহ প্রাপ্যতা বৃদ্ধি, রোগজনিত কারণে জনগণের ব্যক্তিগত ব্যয় কমানোর সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে এটি তৈরি করা হচ্ছে। এই প্ল্যানের খসড়াটি শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুর রউফ বলেন, এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত বলার সময় আসেনি। এটি খসড়া পর্যায়ে আছে। এরপরও বলব স্বাস্থ্য খাত উন্নয়নে এ ধরনের অ্যাকশন প্ল্যান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে এমন উদ্যোগ ছিল না। এবারই প্রথম এটি তৈরি হচ্ছে। অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির কাজ প্রায় শেষ। শিগগিরই খসড়াটি চূড়ান্ত করা হবে।

স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে, অসংক্রামক ও সংক্রামক ব্যধি নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্ট গবেষণার অভাব, মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জরুরি ওষুধ সরবরাহ ও পরিমিত ব্যবহার এবং তদারকি কার্যক্রমে জনবলের ঘাটতি। এছাড়া স্বাস্থ্য খাত ডিজিটাইজেশন করা, নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, জনসংখ্যা ধরন ও জীবনযাপন রীতির পরিবর্তন, বয়স্ক জনগোষ্ঠী বৃদ্ধি, তামাক ও মাদকের অপব্যবহার এবং স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতির আর্থিক ফলাফলের ওপর হালনাগাদ উপাত্তের ঘাটতি। আরও আছে, দুর্গম এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও অ্যাম্বুলেন্স মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, অ্যাম্বুলেন্সের সীমাবদ্ধতা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ঘাটতি এবং বেসরকারি চিকিৎসকের পরামর্শ ফি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকা। অন্য চ্যালেঞ্জগুলো হলো, জনবলের চাহিদা নির্ধারণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ঘাটতি, চাহিদার ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরিতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকা, শিশু মৃত্যু, প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি এবং পরিবার-পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করা।

অ্যাকশন প্ল্যানে বলা হয়েছে, দেশে প্রায়ই নতুন রোগের (যেমন কোভিড, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা, সোয়াইন ফ্লু, নিপাহ ভাইরাস) আবির্ভাব ও পুনরাবির্ভাব লক্ষণীয়। দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা, রোগ নজরদারির ব্যবস্থা, জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে সাড়াদান এবং ল্যাবরেটরি সক্ষমতাকে যথাযথভাবে প্রস্তুত রাখা দরকার। এর মাধ্যমে নতুন রোগের আবির্ভাব হওয়া রোগগুলোর উপযুক্ত ব্যবস্থা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিকল্পনা তৈরি, সম্পদের সুষম বণ্ঠন, মহামারির পূর্বাভাস দেওয়া এবং প্রাথমিক পর্যায়ে তা শনাক্ত করা দরকার। এছাড়া অতিমারির জন্য সতর্কতা জারি ও সাড়া দেওয়া, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে একটি কার্যকর রোগ তদারকি ব্যবস্থা প্রয়োজন।

আরও বলা হয়েছে, বিদ্যমান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হাসপাতালগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মেডিকেল বর্জ্যরে পরিশোধন, পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ, পরিবহণ ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত, নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয়ী কৌশলের প্রয়োগ অপরিহার্য। চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সক্ষমতা, জবাবদিহিতা, সমন্বয় এবং অংশীজনের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা দরকার। হাসপাতাল ও বহির্বিভাগীয় ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, বাজেট, আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে সংক্রমণ, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি দিনদিন বাড়ছে। এটি একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

জরুরি ওষুধ সরবরাহ ও পরিমিত ব্যবহার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, দেশের ওষুধ শিল্পের একটি বড় সমস্যা হলো কাঁচামালের অপ্রতুলতা। কম মূল্যে ওষুধ উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করতে হলে দেশে কাঁচামাল উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই। অথচ ওষুধ উৎপাদনের জন্য স্থানীয় কোম্পানিগুলো এখনো কাঁচামাল আমদানির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। এসব কাঁচামাল দেশেই উৎপাদন করা গেলে আমদানি খাতে বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় এবং কাঁচামাল রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আসত। এদিকে ওষুধের পরিমিত ও যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, ওষুধের ব্যবহার ও মাত্রা সম্পর্কে রোগী এবং তাদের স্বজনদের জ্ঞানের অভাব, প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি এবং অ্যান্টিবায়োটিকের অপরিমিত ব্যবহারের কারণে ক্ষতিকর প্রভাব। এসব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

অ্যাকশন প্ল্যানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। শিশু, নারী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের পরিবেশগত স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে বেশি পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততার ফলে নানা পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ছে, যা সংক্রমণ ও মৃত্যু হার বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর পাশাপাশি দূষণ থেকে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সূত্র: যুগান্তর।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

হামিদ-উজ-জামান

নতুন রোগের আবির্ভাবসহ স্বাস্থ্য খাতে ২৫ চ্যালেঞ্জ

প্রকাশের সময় : ০২:৫৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নতুন রোগের আবির্ভাবসহ স্বাস্থ্য খাতে ২৫ ধরনের চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। ‘স্বাস্থ্য সেক্টর অ্যাকশন প্ল্যানে’ এসব চ্যালেঞ্জের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাত উন্নয়নে নানা কৌশলের বিষয়ও উল্লেখ রয়েছে। যেমন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্য শিক্ষার আধুনিকায়ন ও গুণগত মান উন্নয়ন, জরুরি সেবা সরবরাহ প্রাপ্যতা বৃদ্ধি, রোগজনিত কারণে জনগণের ব্যক্তিগত ব্যয় কমানোর সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে এটি তৈরি করা হচ্ছে। এই প্ল্যানের খসড়াটি শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুর রউফ বলেন, এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত বলার সময় আসেনি। এটি খসড়া পর্যায়ে আছে। এরপরও বলব স্বাস্থ্য খাত উন্নয়নে এ ধরনের অ্যাকশন প্ল্যান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে এমন উদ্যোগ ছিল না। এবারই প্রথম এটি তৈরি হচ্ছে। অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির কাজ প্রায় শেষ। শিগগিরই খসড়াটি চূড়ান্ত করা হবে।

স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে, অসংক্রামক ও সংক্রামক ব্যধি নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্ট গবেষণার অভাব, মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জরুরি ওষুধ সরবরাহ ও পরিমিত ব্যবহার এবং তদারকি কার্যক্রমে জনবলের ঘাটতি। এছাড়া স্বাস্থ্য খাত ডিজিটাইজেশন করা, নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, জনসংখ্যা ধরন ও জীবনযাপন রীতির পরিবর্তন, বয়স্ক জনগোষ্ঠী বৃদ্ধি, তামাক ও মাদকের অপব্যবহার এবং স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতির আর্থিক ফলাফলের ওপর হালনাগাদ উপাত্তের ঘাটতি। আরও আছে, দুর্গম এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও অ্যাম্বুলেন্স মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, অ্যাম্বুলেন্সের সীমাবদ্ধতা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ঘাটতি এবং বেসরকারি চিকিৎসকের পরামর্শ ফি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকা। অন্য চ্যালেঞ্জগুলো হলো, জনবলের চাহিদা নির্ধারণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ঘাটতি, চাহিদার ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরিতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকা, শিশু মৃত্যু, প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি এবং পরিবার-পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করা।

অ্যাকশন প্ল্যানে বলা হয়েছে, দেশে প্রায়ই নতুন রোগের (যেমন কোভিড, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা, সোয়াইন ফ্লু, নিপাহ ভাইরাস) আবির্ভাব ও পুনরাবির্ভাব লক্ষণীয়। দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা, রোগ নজরদারির ব্যবস্থা, জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে সাড়াদান এবং ল্যাবরেটরি সক্ষমতাকে যথাযথভাবে প্রস্তুত রাখা দরকার। এর মাধ্যমে নতুন রোগের আবির্ভাব হওয়া রোগগুলোর উপযুক্ত ব্যবস্থা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিকল্পনা তৈরি, সম্পদের সুষম বণ্ঠন, মহামারির পূর্বাভাস দেওয়া এবং প্রাথমিক পর্যায়ে তা শনাক্ত করা দরকার। এছাড়া অতিমারির জন্য সতর্কতা জারি ও সাড়া দেওয়া, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে একটি কার্যকর রোগ তদারকি ব্যবস্থা প্রয়োজন।

আরও বলা হয়েছে, বিদ্যমান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হাসপাতালগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মেডিকেল বর্জ্যরে পরিশোধন, পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ, পরিবহণ ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত, নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয়ী কৌশলের প্রয়োগ অপরিহার্য। চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সক্ষমতা, জবাবদিহিতা, সমন্বয় এবং অংশীজনের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা দরকার। হাসপাতাল ও বহির্বিভাগীয় ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, বাজেট, আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে সংক্রমণ, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি দিনদিন বাড়ছে। এটি একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

জরুরি ওষুধ সরবরাহ ও পরিমিত ব্যবহার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, দেশের ওষুধ শিল্পের একটি বড় সমস্যা হলো কাঁচামালের অপ্রতুলতা। কম মূল্যে ওষুধ উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করতে হলে দেশে কাঁচামাল উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই। অথচ ওষুধ উৎপাদনের জন্য স্থানীয় কোম্পানিগুলো এখনো কাঁচামাল আমদানির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। এসব কাঁচামাল দেশেই উৎপাদন করা গেলে আমদানি খাতে বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় এবং কাঁচামাল রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আসত। এদিকে ওষুধের পরিমিত ও যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, ওষুধের ব্যবহার ও মাত্রা সম্পর্কে রোগী এবং তাদের স্বজনদের জ্ঞানের অভাব, প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি এবং অ্যান্টিবায়োটিকের অপরিমিত ব্যবহারের কারণে ক্ষতিকর প্রভাব। এসব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

অ্যাকশন প্ল্যানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। শিশু, নারী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের পরিবেশগত স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে বেশি পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততার ফলে নানা পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ছে, যা সংক্রমণ ও মৃত্যু হার বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর পাশাপাশি দূষণ থেকে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সূত্র: যুগান্তর।