গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকারের সুরক্ষা ও সুশাসনকে উৎসাহিত করে যুক্তরাষ্ট্র
- প্রকাশের সময় : ০৭:২৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০
- / ১৯ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: সদ্য ঢাকা সফর করে যাওয়া আমেরিকান উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণের পাশে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় আছে জানিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদধারী বিগান বলেন, ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের পলিসি বা নীতির বিষয়টি স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। তার সফর আমেরিকান নীতির প্রতিফলন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী এক বাংলাদেশী সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন বলেন, বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকারেরর সুরক্ষা এবং সুশাসনকে উৎসাহিত করে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ওয়াশিংটন প্রায় অভিন্ন নীতি অনুসরণ করে জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে প্রত্যেক দেশের জনগণ তাদের শাসন ক্ষমতার পরিবর্তন এবং উন্নয়ন নির্ধারণের জন্য যথেষ্ট এবং এটাই হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দিনের শুরুতে (ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময়) বাংলাদেশ ও ভারতের সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে আমেরিকান উপমন্ত্রী তার সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা ও নয়াদিল্লি (যুক্ত) সফরের নানা প্রেক্ষিত ও আউটকাম নিয়ে কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট এই ব্রিফিং-এর আয়োজন করে।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গ: ওয়াশিংটন থেকে সঞ্চালিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপমন্ত্রী বিগান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তার দেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করা ছাড়াও চীনসহ এ অঞ্চলের অন্যদের কার্যকর ভুমিকা প্রত্যাশা করেন।
বাংলাদেশী সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর এক প্রশ্নের উত্তরে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান বলেন, পুঞ্জিভূত রোহিঙ্গা সংকটের দ্রæত ও স্থায়ী সমাধান জরুরি। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার দিক বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র এর টেকসই সমাধান চায়। সংকট সমাধানে চীনের আরও ভাল ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উপমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত উদার এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয় দিয়েছেন, যেটা বাংলাদেশের জনগণেরই মনোভাবের প্রতিফলন। এই সংকট সূচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংকট প্রলম্বিত হলে তা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার হুমকি হতে পারে, আলামত সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। সেই বিবেচনায় সংকটটির দ্রæত ও স্থায়ী সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন মনে করে সমাধানের জন্য মিয়ানমার সরকারকে এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
ঢাকা সফর বিষয়ে যা বললেন: আমেরিকান উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী স্টিফেন বিগান বলেন, গত ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশে তার প্রথম সফর হয়েছে। কিন্তু এটি তার জীবনে সংঘঠিত সফরগুলোর মধ্যে স্মৃতিময় হয়ে থাকবে। ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই আলোচনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে তার পূর্বের যে ধারণা ছিল তাতে মৌলিক এবং ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে তার আরও বেশি জানার এবং বুঝার সুযোগ হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির যে চিত্র তিনি সরজমিনে দেখেছেন তাকে ‘অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক’ আখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এই এগিয়ে যাওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে আরও বেশি সহযোগী হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, নিরাপত্তা ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহযোগিতার বিষয়ে তার সফরে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ওই কর্মকর্তা। (সূত্র: মানবজমিন/জাস্টনিউজবিডি২৪.কম)