নিউইয়র্ক ০২:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৯ নারী নির্বাচিত, একাদশে ছিলেন ২২

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২৭:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৬৩ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : এ বছরই সবচেয়ে বেশি নারী প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ১৯ জন নারী। এদের মধ্যে চার জন স্বতন্ত্র ও বাকি ১৫ জন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। গত একাদশ জাতীয় সংসদে নারী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ২২ জন। তবে নারী প্রার্থীর সংখ্যা এ বছর গত বছরের চেয়ে বেশি ছিল। এবারের নির্বাচনে নারী প্রার্থী ছিলেন ৯৪ জন, আর একাদশ সংসদ নির্বাচনে ছিলেন ৬৮ জন। গত বছর ১৯ জন আওয়ামী লীগের প্রার্থী- জাতীয় পার্টি থেকে দুই জন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু) থেকে এক জন নির্বাচিত হন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মেহেরপুর-২ থেকে মতিয়া চৌধুরী, রংপুর-৬ থেকে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, চাঁদপুর-৩ থেকে দীপু মনি, চট্টগ্রাম-২-এর খাজিদাতুল আনোয়ার, বগুড়া-১ থেকে সাহাদারা মান্নান, কক্সবাজার-৪ থেকে শাহিনা আক্তার চৌধুরী, মাদারীপুর-৩ থেকে তাহমিনা বেগম, সিরাজগঞ্জ-২ থেকে জান্নাত আরা হেনরী, হবিগঞ্জ-১ থেকে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ-১ থেকে সৈয়দা জাকিয়া নূর, গাইবান্ধা-৩ উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাইবান্ধা-১ থেকে আব্দুল্লাহ নাগিদ নিগার, গাজীপুর-৩ থেকে রুমানা আলী, গাজীপুর-৪ থেকে সিমিন হোসেন রিমি, মুন্সীগঞ্জ-২ থেকে সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সুনামগঞ্জ-২ থেকে জয়া সেনগুপ্ত, বাগেরহাট-৩ থেকে হাবিবুন নাহার এবং বরগুনা-২ থেকে সুলতানা নাদিরা।

এদের মধ্যে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রংপুর-৬ আসনের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, শেরপুর-২ আসনের বেগম মতিয়া চৌধুরী, চাঁদপুর-৩ এ ডা. দীপু মনি, বাগেরহাট-৩ আসনে হাবিবুন নাহার, সুনামগঞ্জ-২ এ জয়া সেনগুপ্ত, গাজীপুর-৪ আসনে সিমিন হোসেন রিমি, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সুনামগঞ্জ-২ থেকে জয়া সেনগুপ্ত, কক্সবাজার-৪ শাহিনা আক্তার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর জেলায় পাঁচটি আসনের তিনটিতেই নারী প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ, যাদের মধ্যে দুই জনই নির্বাচিত হন। নির্বাচনে অংশ নেয় ২৭টি দল। এর মধ্যে ১৪টি দল ৬৮ জন নারীকে মনোনয়ন দেয়। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয় ২৪ জন নারীকে। এর মধ্যে বরিশাল-৪ আসনে শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল করে আদালত।

২৬ জন নারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে যাদের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন চার জন নারী। এসব নারী প্রার্থীদের নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জয়লাভ করাটা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। যারা জয় পেয়েছেন তারা হলেন—হবিগঞ্জ-১ আসনে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া, সুনামগঞ্জ-২ আসনে জয়া সেন গুপ্ত, মাদারীপুর-৩ আসনে তাহমিনা বেগম এবং গাইবান্ধা-১ আসনে আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার।

হবিগঞ্জ-১ আসনে জয়ী কেয়া চৌধুরী সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ছিলেন। তার কাছে পরাজিত হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু। মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপকে ৩৪ হাজার ৬৬২ ভোটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক নিয়ে তাহমিনা বেগম। সুনামগঞ্জ-২ আসনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তের কাছে ৮ হাজার ২২০ ভোটে পরাজিত হয়েছেন আইজিপির ছোট ভাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। গাইবান্ধা-১ আসনে জাতীয় পার্টির দুই বারের এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে হারিয়ে মায়ের আসন উদ্ধার করেন মেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লা নাহিদ নিগার। নিগার ২২ হাজার ৫৫৮ ভোটে পরাজিত করেছেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপন বড় ভাইকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ছোট বোন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. সৈয়দা জাকির নূর।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু বলেন, আরও মনোনয়ন দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তারা নারী অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৯ নারী নির্বাচিত, একাদশে ছিলেন ২২

প্রকাশের সময় : ০৫:২৭:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ ডেস্ক : এ বছরই সবচেয়ে বেশি নারী প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ১৯ জন নারী। এদের মধ্যে চার জন স্বতন্ত্র ও বাকি ১৫ জন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। গত একাদশ জাতীয় সংসদে নারী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ২২ জন। তবে নারী প্রার্থীর সংখ্যা এ বছর গত বছরের চেয়ে বেশি ছিল। এবারের নির্বাচনে নারী প্রার্থী ছিলেন ৯৪ জন, আর একাদশ সংসদ নির্বাচনে ছিলেন ৬৮ জন। গত বছর ১৯ জন আওয়ামী লীগের প্রার্থী- জাতীয় পার্টি থেকে দুই জন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু) থেকে এক জন নির্বাচিত হন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মেহেরপুর-২ থেকে মতিয়া চৌধুরী, রংপুর-৬ থেকে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, চাঁদপুর-৩ থেকে দীপু মনি, চট্টগ্রাম-২-এর খাজিদাতুল আনোয়ার, বগুড়া-১ থেকে সাহাদারা মান্নান, কক্সবাজার-৪ থেকে শাহিনা আক্তার চৌধুরী, মাদারীপুর-৩ থেকে তাহমিনা বেগম, সিরাজগঞ্জ-২ থেকে জান্নাত আরা হেনরী, হবিগঞ্জ-১ থেকে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ-১ থেকে সৈয়দা জাকিয়া নূর, গাইবান্ধা-৩ উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাইবান্ধা-১ থেকে আব্দুল্লাহ নাগিদ নিগার, গাজীপুর-৩ থেকে রুমানা আলী, গাজীপুর-৪ থেকে সিমিন হোসেন রিমি, মুন্সীগঞ্জ-২ থেকে সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সুনামগঞ্জ-২ থেকে জয়া সেনগুপ্ত, বাগেরহাট-৩ থেকে হাবিবুন নাহার এবং বরগুনা-২ থেকে সুলতানা নাদিরা।

এদের মধ্যে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রংপুর-৬ আসনের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, শেরপুর-২ আসনের বেগম মতিয়া চৌধুরী, চাঁদপুর-৩ এ ডা. দীপু মনি, বাগেরহাট-৩ আসনে হাবিবুন নাহার, সুনামগঞ্জ-২ এ জয়া সেনগুপ্ত, গাজীপুর-৪ আসনে সিমিন হোসেন রিমি, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সুনামগঞ্জ-২ থেকে জয়া সেনগুপ্ত, কক্সবাজার-৪ শাহিনা আক্তার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর জেলায় পাঁচটি আসনের তিনটিতেই নারী প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ, যাদের মধ্যে দুই জনই নির্বাচিত হন। নির্বাচনে অংশ নেয় ২৭টি দল। এর মধ্যে ১৪টি দল ৬৮ জন নারীকে মনোনয়ন দেয়। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয় ২৪ জন নারীকে। এর মধ্যে বরিশাল-৪ আসনে শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল করে আদালত।

২৬ জন নারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে যাদের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন চার জন নারী। এসব নারী প্রার্থীদের নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জয়লাভ করাটা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। যারা জয় পেয়েছেন তারা হলেন—হবিগঞ্জ-১ আসনে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া, সুনামগঞ্জ-২ আসনে জয়া সেন গুপ্ত, মাদারীপুর-৩ আসনে তাহমিনা বেগম এবং গাইবান্ধা-১ আসনে আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার।

হবিগঞ্জ-১ আসনে জয়ী কেয়া চৌধুরী সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ছিলেন। তার কাছে পরাজিত হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু। মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপকে ৩৪ হাজার ৬৬২ ভোটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক নিয়ে তাহমিনা বেগম। সুনামগঞ্জ-২ আসনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তের কাছে ৮ হাজার ২২০ ভোটে পরাজিত হয়েছেন আইজিপির ছোট ভাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। গাইবান্ধা-১ আসনে জাতীয় পার্টির দুই বারের এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে হারিয়ে মায়ের আসন উদ্ধার করেন মেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লা নাহিদ নিগার। নিগার ২২ হাজার ৫৫৮ ভোটে পরাজিত করেছেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপন বড় ভাইকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ছোট বোন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. সৈয়দা জাকির নূর।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু বলেন, আরও মনোনয়ন দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তারা নারী অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক

হককথা/নাছরিন