নিউইয়র্ক ০২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মিয়ানমার থেকে জান্তার ১৪ সদস্য পালিয়ে এলেন বান্দরবানে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১৪৮ বার পঠিত

বিদ্রোহীদের আক্রমণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে জান্তার ১৪ সদস্য তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ডেস্ক : জান্তা সরকার বিরোধী বিদ্রোহীদের আক্রমণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর ১৪ সদস্য তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বান্দরবানের তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় তারা।

এর আগে সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়েছেন দুই বাংলাদেশি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপের লাগাতার গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা কেঁপে কেঁপে উঠছে। তাদের ছোঁড়া গুলির শিশা ও রকেট লঞ্চার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে উড়ে এসে পড়ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষা রাখতে বিজিবি কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে সীমান্তবর্তী ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় বসত বাড়িতে এসব এসে পড়ছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তারা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা। এছাড়াও কৃষকরা কৃষি ক্ষেতে যেতে ও দৈনন্দিন কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন।

তুমব্রু এলাকার বাসিন্দা রূপলা ধর নামে একজন বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ হচ্ছে। অনেক ভয় হচ্ছে, কখন কোন সময় কী হয়, তা আমরা বুঝতে পারছি না। আমাদের পাশের এলাকার এক ঘরের চালের ওপর বিস্ফোরিত রকেট লান্সার এসে পড়েছে শুনেছি। অনেকের উঠানে গুলিও এসে পড়ছে। এ ঘটনায় ঘরের বাহিরে যেতেও ভয় হচ্ছে।’

এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘ভোর থেকে মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। এতে বিকট শব্দে কেপে উঠছে, ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তবর্তী এলাকা। এলাকাবাসীদের বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের গণমাধ্যম দ্য ইরাবতি জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরও একটি সামরিক ঘাঁটি দখল করেছে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মিয়ানমার থেকে জান্তার ১৪ সদস্য পালিয়ে এলেন বান্দরবানে

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ ডেস্ক : জান্তা সরকার বিরোধী বিদ্রোহীদের আক্রমণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর ১৪ সদস্য তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বান্দরবানের তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় তারা।

এর আগে সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়েছেন দুই বাংলাদেশি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপের লাগাতার গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা কেঁপে কেঁপে উঠছে। তাদের ছোঁড়া গুলির শিশা ও রকেট লঞ্চার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে উড়ে এসে পড়ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষা রাখতে বিজিবি কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে সীমান্তবর্তী ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় বসত বাড়িতে এসব এসে পড়ছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তারা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা। এছাড়াও কৃষকরা কৃষি ক্ষেতে যেতে ও দৈনন্দিন কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন।

তুমব্রু এলাকার বাসিন্দা রূপলা ধর নামে একজন বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ হচ্ছে। অনেক ভয় হচ্ছে, কখন কোন সময় কী হয়, তা আমরা বুঝতে পারছি না। আমাদের পাশের এলাকার এক ঘরের চালের ওপর বিস্ফোরিত রকেট লান্সার এসে পড়েছে শুনেছি। অনেকের উঠানে গুলিও এসে পড়ছে। এ ঘটনায় ঘরের বাহিরে যেতেও ভয় হচ্ছে।’

এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘ভোর থেকে মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। এতে বিকট শব্দে কেপে উঠছে, ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তবর্তী এলাকা। এলাকাবাসীদের বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের গণমাধ্যম দ্য ইরাবতি জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরও একটি সামরিক ঘাঁটি দখল করেছে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

হককথা/নাছরিন