৫৮২ কোটি টাকা কি বাতাসে খেয়েছে?
- প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
- / ২৩ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের ঘটনায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল না করায় হাইকোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আদালত বলেছেন, টাকা কি বাতাসে খেয়েছে? কারা কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত, কারা টাকা আত্মসাৎ করেছে-সুনির্দিষ্ট করে তাদের নাম দিন। দুর্নীতিবাজদের টলারেট (সহ্য) করা হবে না। দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আদালত থেকে সরাসরি জেলে পাঠিয়ে দেব।
পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বৃহস্পতিবার বিসিআইসির পক্ষে সময়ের আবেদন করা হলে রাগান্বিত হয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। বিসিআইসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোল্লা কিসমত হাবিব। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত ৯ জুলাই সময় নির্ধারণ করে আদেশ দেন। ৫ জুন ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়ে বিসিআইসিকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। পাশাপাশি দুদককে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
৫ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে এনে আদালত ওই আদেশ দেন। ওই প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়-সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে পরিবহণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা। মেসার্স পোটন ট্রেডার্স সাবেক সংসদ-সদস্য কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। কামরুল আশরাফ খান সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতিও।
আরোও পড়ুন। ৪র্থ শিল্পবিপ্লবে মানবতা যেন আঘাত না পায়
পোটন ট্রেডার্স যে সার আত্মসাৎ করেছে তা উঠে এসেছে সারের আমদানিকারক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) দুটি তদন্তে। সারগুলো খালাস হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ মের মধ্যে। সার সরবরাহ না করার সাত মাস পার হলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিসিআইসি। সর্বশেষ ২০ ডিসেম্বর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বিসিআইসির পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়। সূত্র : যুগান্তর
সুমি/হককথা