নিউইয়র্ক ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৭:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
  • / ৪৯ বার পঠিত

এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় যাচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

হককথা ডেস্ক :  টানা চার দিনের চিকিৎসা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ শনিবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় ৭টা ৫০মিনিটে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে গুলশানে নিজ বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছান তিনি। এর আগে, গত সোমবার মধ্যরাতে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসা থেকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছানোর পর কিছু পরীক্ষা শেষে তাকে ভর্তি করা হয়।

এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এই চিকিৎসক খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান। এদিকে বেগম খালেদা জিয়া বাসায় ফেরার আগে গুলশানে এসে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, সাবেক এমপি রেহানা আক্তার রানু, নিলোফার চৌধুরী মনি, শিরিন সুলতানাসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

সবশেষ গত ২৯ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। তখন পাঁচ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বাসায় ফেরেন। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও লিভারের রোগে ভুগছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতা নিয়ে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি চেয়ারপাসরসনের। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরান কারাগারে ছিলেন। পরে অসুস্থতার কারণে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা দেওয়া হয়।

দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হলে পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য। ওই বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন। প্রতি ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে পরিবারের আবেদনে। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশের সময় : ০৮:২৭:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

হককথা ডেস্ক :  টানা চার দিনের চিকিৎসা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ শনিবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় ৭টা ৫০মিনিটে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে গুলশানে নিজ বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছান তিনি। এর আগে, গত সোমবার মধ্যরাতে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসা থেকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছানোর পর কিছু পরীক্ষা শেষে তাকে ভর্তি করা হয়।

এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এই চিকিৎসক খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান। এদিকে বেগম খালেদা জিয়া বাসায় ফেরার আগে গুলশানে এসে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, সাবেক এমপি রেহানা আক্তার রানু, নিলোফার চৌধুরী মনি, শিরিন সুলতানাসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

সবশেষ গত ২৯ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। তখন পাঁচ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বাসায় ফেরেন। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও লিভারের রোগে ভুগছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতা নিয়ে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি চেয়ারপাসরসনের। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরান কারাগারে ছিলেন। পরে অসুস্থতার কারণে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা দেওয়া হয়।

দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হলে পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য। ওই বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন। প্রতি ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে পরিবারের আবেদনে। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল