হঠাৎ আরাভের দুবাই ত্যাগের আলোচনা
- প্রকাশের সময় : ০২:০২:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
- / ৩৭ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পলাতক আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামকে দেশে ফেরাতে চলছে বহুমুখী তৎপরতা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে এখন নতুন চিন্তা তৈরি করছে কয়েকদিন ধরে আরাভের দুবাই ত্যাগের আলোচনা। একাধিক সূত্র বলছে, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তৎপরতার কারণে খুনের মামলার এ আসামি ‘গা-ঢাকা’ দিয়েছেন। দুবাই থেকে অন্য কোনো দেশে যাওয়ারও চিন্তা করছেন তিনি। এ অবস্থায় আরাভকে ফেরাতে ইন্টারপোল, পুলিশের এনসিবি ও কূটনৈতিক চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আরাভ খানকে ফেরাতে পুলিশের পক্ষ থেকে ইন্টারপোলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে দুবাইয়ে তার গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যেহেতু তার দুবাই ত্যাগের আলোচনাটি খুব জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে, তাই এ বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছেন তারা। এক্ষেত্রে আরাভ কারও সহযোগিতা নিচ্ছেন কিনা-তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে তিনি যেন আর কোনো অঘটনের জন্ম দিতে না পারেন সেজন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ চলছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রবিউল ইসলামের আরাভ খান নামের পাসপোর্টটি বাতিলের জন্য জোর চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মনজুর রহমান সোমবার যুগান্তরকে বলেন, রবিউল ওরফে আরাভকে ফেরানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এজন্য সব চ্যানেলে যোগাযোগ চলছে। এর আগে শনিবার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি হয়েছে। আমাদের সঙ্গে ইন্টারপোলের যোগাযোগ রয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি ফ্ল্যাটে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। এ হত্যাকাণ্ডের পর রবিউল ভারতে পালিয়ে যান। ২০২০ সালে তিনি আরাভ খান নামে ভারতের পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন।
এ পাসপোর্ট দিয়েই তিনি দুবাইয়ে পাড়ি জমান। আয়ের কোনো দৃশ্যমান উৎস না থাকা সত্ত্বেও বড় পরিসরে শুরু করেন স্বর্ণ ব্যবসা। ১৫ মার্চ দুবাইয়ে তার মালিকানাধীন আরাভ জুয়েলার্স উদ্বোধন অনুষ্ঠান নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। এ অনুষ্ঠানে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ দেশের অনেক তারকা অংশ নিয়েছিলেন। পরে জানা যায় আরাভ খুনের মামলার আসামি। পুলিশ পরিদর্শক খুনের পর রবিউল ওরফে আরাভ তার নামে একজনকে আত্মসমর্পণের জন্য ভাড়া করেছিলেন। ভাড়া করা ওই ব্যক্তি আত্মসমর্পণের পর ৯ মাস কারাগারে ছিলেন। এ মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ রবিউলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রবিউল এ মামলার চার্জশিটভুক্ত ৮নং আসামি। মামলাটি এখন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।
সুমি/হককথা