নিউইয়র্ক ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চিকিৎসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২৩:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
  • / ৬৬ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রশিক্ষিত চিকিৎসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছেন। ফলশ্রুতিতে কার্ডিওলজিসহ চিকিৎসার সকল ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাস্কুলার কনফারেন্স বাংলাদেশ লাইভ ২০২৩এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় স্পিকার আইপিডিআই ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে হৃদরোগ প্রতিরোধে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ভারতের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. অশোক শেঠ এবং বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মহসীন আহমদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। স্পিকার বলেন, বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে হৃদরোগ মহামারি আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছে। দেশের চিকিৎসা প্রসারে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসায় তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

আরোও পড়ুন । বাংলাদেশ কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফের ঋণ নিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়। আইপিজিএম অ্যান্ড আর-কে (বর্তমানে শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়), বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অব সার্জনস (বিসিপিএস), পংগু হাসপাতালে অর্থোপেডিক সার্জারির ওপর এমএস ডিগ্রি চালুকরণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে ডিজিটালাইজেশন একটি কার্যকর পদক্ষেপ। বর্তমান সরকারের চিকিৎসক নিয়োগ, বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ, বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনসহ বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে তৃণমূলের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যু হার হ্রাস, কোভিড-১৯ মোকাবিলাসহ স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি হয়েছে বলে স্পিকার উল্লেখ করেন।

সম্মেলনে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কার্ডিওলজিতে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিক এবং অধ্যাপক অশোক শেঠকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করেন। পরে স্পিকার মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এছাড়াও সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল সাফী মজুমদার, বিআইটি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফজালুর রহমান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মীর জালাল উদ্দিন এবং হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু রেজা মুহাঃ কাইয়ুম খান। সম্মেলনে দেশি-বিদেশি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : ঢাকা মেইল

বেলী / হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চিকিৎসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন

প্রকাশের সময় : ১২:২৩:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রশিক্ষিত চিকিৎসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছেন। ফলশ্রুতিতে কার্ডিওলজিসহ চিকিৎসার সকল ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাস্কুলার কনফারেন্স বাংলাদেশ লাইভ ২০২৩এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় স্পিকার আইপিডিআই ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে হৃদরোগ প্রতিরোধে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ভারতের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. অশোক শেঠ এবং বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মহসীন আহমদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। স্পিকার বলেন, বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে হৃদরোগ মহামারি আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছে। দেশের চিকিৎসা প্রসারে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসায় তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

আরোও পড়ুন । বাংলাদেশ কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফের ঋণ নিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়। আইপিজিএম অ্যান্ড আর-কে (বর্তমানে শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়), বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অব সার্জনস (বিসিপিএস), পংগু হাসপাতালে অর্থোপেডিক সার্জারির ওপর এমএস ডিগ্রি চালুকরণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে ডিজিটালাইজেশন একটি কার্যকর পদক্ষেপ। বর্তমান সরকারের চিকিৎসক নিয়োগ, বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ, বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনসহ বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে তৃণমূলের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যু হার হ্রাস, কোভিড-১৯ মোকাবিলাসহ স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি হয়েছে বলে স্পিকার উল্লেখ করেন।

সম্মেলনে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কার্ডিওলজিতে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিক এবং অধ্যাপক অশোক শেঠকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করেন। পরে স্পিকার মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এছাড়াও সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল সাফী মজুমদার, বিআইটি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফজালুর রহমান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মীর জালাল উদ্দিন এবং হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু রেজা মুহাঃ কাইয়ুম খান। সম্মেলনে দেশি-বিদেশি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : ঢাকা মেইল

বেলী / হককথা