নিউইয়র্ক ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করতে হবে’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ৩১ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল প্রযুক্তির উদ্ভাবক তৈরির পাশপাশি ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বুধবার (১০ মে) সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন তিনি। এটুআই এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে ‘এমপাওয়ারিং ওয়ার্ক ফোর্স ফর দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভ্যুলিউশন : এ কেস স্টাডি ফর এমপ্লয়মেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভ্যুলিউশন সামিটের আয়োজন করা হয়।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রযুক্তিতে শতশত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা অর্জন করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতাও আমরা অর্জন করেছি। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা-সম্পন্ন মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট মানুষের কথা বলেছেন। আগামী দিন রোবট-আইওটি-এআই দিয়ে শিল্পকারখানা চলবে। এসব প্রযুক্তির জন্য সংযুক্তির মহাসড়ক তৈরি করতে হবে। আমরা সেই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি। নতুন শিল্প বিপ্লবের সংযুক্তির মহাসড়ক হিসেবে আমরা ৫জি পরীক্ষা করে তার উদ্বোধনও করেছি। মোস্তাফা জব্বার শিক্ষার্থীদের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর হিসেবে উল্লেখ করে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রযুক্তি হোক বা জ্ঞান হোক তোমরা বা তোমাদের নিজেদের মতো করে তা গ্রহণ এবং তা আত্মস্থ করে প্রয়োগ করবে।

আরোও পড়ুন। বৃহত্তর ১৯ জেলায় সমাবেশের চিন্তা বিএনপি’র

তিনি তাদের পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের জন্য নিজেদের উপযোগী করে তৈরি করারও আহ্বান জানান। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফলতা অর্জনের কথা তুলে ধরে বলেন, গত ১৪ বছরের ধারাবাহিকতায় আমরা শুধু ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়কই তৈরি করিনি, ইন্টারনেটের প্রতি এমবিপিএস’র মূল্য ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ টাকায় নামিয়ে এনেছি। এক দেশ এক রেট নির্ধারণের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা হয়েছে। ইন্টারনেট এখন মানুষের শ্বাস প্রশ্বাসের মতো। ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার হতো সাড়ে সাত জিবিপিএস, তা বর্তমানে ৪১ শত জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। সে সময়ের ৮ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর স্থলে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১২ কোটিতে।

অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, উপাচার্য প্রফেসর এম লুৎফর রহমান, এটুআইয়ের এসপাইয়ার টু ইনোভেট প্রকল্পের পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এটুআই প্রকল্প প্রকল্প পরিচালক বলেন, অটুমেশনের ফলে বিদ্যমান অনেক কর্মেও পদ খালী হবে এবং নতুন প্রযুক্তি ভিত্তিক নতুন নতুন অনেক কর্মের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সূত্র : ঢাকা মেইল

সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করতে হবে’

প্রকাশের সময় : ১২:২৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল প্রযুক্তির উদ্ভাবক তৈরির পাশপাশি ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বুধবার (১০ মে) সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন তিনি। এটুআই এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে ‘এমপাওয়ারিং ওয়ার্ক ফোর্স ফর দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভ্যুলিউশন : এ কেস স্টাডি ফর এমপ্লয়মেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভ্যুলিউশন সামিটের আয়োজন করা হয়।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রযুক্তিতে শতশত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা অর্জন করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতাও আমরা অর্জন করেছি। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা-সম্পন্ন মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট মানুষের কথা বলেছেন। আগামী দিন রোবট-আইওটি-এআই দিয়ে শিল্পকারখানা চলবে। এসব প্রযুক্তির জন্য সংযুক্তির মহাসড়ক তৈরি করতে হবে। আমরা সেই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি। নতুন শিল্প বিপ্লবের সংযুক্তির মহাসড়ক হিসেবে আমরা ৫জি পরীক্ষা করে তার উদ্বোধনও করেছি। মোস্তাফা জব্বার শিক্ষার্থীদের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর হিসেবে উল্লেখ করে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রযুক্তি হোক বা জ্ঞান হোক তোমরা বা তোমাদের নিজেদের মতো করে তা গ্রহণ এবং তা আত্মস্থ করে প্রয়োগ করবে।

আরোও পড়ুন। বৃহত্তর ১৯ জেলায় সমাবেশের চিন্তা বিএনপি’র

তিনি তাদের পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের জন্য নিজেদের উপযোগী করে তৈরি করারও আহ্বান জানান। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফলতা অর্জনের কথা তুলে ধরে বলেন, গত ১৪ বছরের ধারাবাহিকতায় আমরা শুধু ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়কই তৈরি করিনি, ইন্টারনেটের প্রতি এমবিপিএস’র মূল্য ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ টাকায় নামিয়ে এনেছি। এক দেশ এক রেট নির্ধারণের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা হয়েছে। ইন্টারনেট এখন মানুষের শ্বাস প্রশ্বাসের মতো। ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার হতো সাড়ে সাত জিবিপিএস, তা বর্তমানে ৪১ শত জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। সে সময়ের ৮ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর স্থলে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১২ কোটিতে।

অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, উপাচার্য প্রফেসর এম লুৎফর রহমান, এটুআইয়ের এসপাইয়ার টু ইনোভেট প্রকল্পের পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এটুআই প্রকল্প প্রকল্প পরিচালক বলেন, অটুমেশনের ফলে বিদ্যমান অনেক কর্মেও পদ খালী হবে এবং নতুন প্রযুক্তি ভিত্তিক নতুন নতুন অনেক কর্মের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সূত্র : ঢাকা মেইল

সুমি/হককথা