নিউইয়র্ক ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

স্ত্রীর অভিযোগ : ডিবি তুলে নিয়ে গেছে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. মিলনকে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৬১৬ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলনকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রামের চট্টশ্বেরী রোড এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মিলনের স্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী নাজমুন নাহার বেবী। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে ফেরার পর গত সপ্তাহখানেক ধরে মিলন চট্টগ্রামে তাঁর বন্ধু শাহ আলমের বাসায়ই অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে এবং ওই বাড়ির মালিক শাহ আলমকে তুলে নেওয়া হয়। তবে তাঁদেরকে ঠিক কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেত্রী বেবী। এর আগে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর স্ত্রী নির্বাচন কমিশনে এক লিখিত অভিযোগে জানান যে, মিলন আসন্ন নির্বাচনে চাঁদপুর-১ আসন থেকে বিএনপি’র প্রার্থী। কিন্ত আইনের আশ্রয় গ্রহণের স্বাভাবিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাবেক এই সংসদস সদস্য। তিনি জানান, চিকিৎসা ও পড়াশোনার জন্য দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার কারণে এহছানুল হক মিলন তাঁর বিরূদ্ধে কয়েক বছর আগে দায়ের করা বেশ কিছু রাজনৈতিক মামলায় নিয়মিত হাজিরা দিতে পারেননি। এ পর্যায়ে দেশে ফিরে তিনি সেসব মামলায় সরাসরি কোর্টে হাজির হওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তিনি যাতে সরাসরি কোর্টে হাজির হতে না পারেন সে জন্য পুলিশ নানা ধরণের তৎপরতা শুরু করে। পুলিশ তাকে কোর্টের বাইরে গ্রেফতার করে নতুন মামলা দিয়ে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করতে পারে এমন আশায় তিনি প্রকাশ্যে আসা থেকে বিরত থাকেন। ঘড়ি ছিনতাই, পুকুরের মাটি চুরি কিংবা ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাইয়ের মতো অভিযোগে দায়ের করা এসব মামলায় মিলন ইতিপূর্বে প্রায় দুই বছর জেল খেটেছেন।
তারপর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য বছর চারেক আগে বিদেশে যান। এই সময়ে মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি গবেষণা সম্পন্ন করেন। এরপর নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে গত ১৩ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরে আসেন। এ অবস্থায় মিলন যাতে স্বাভাবিক আইনী প্রμিয়া সম্পন্ন করে একজন প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে পারেন সে জন্য নির্বাচন কমিশনের সহায়তা কামনা করেন বেবী। কিন্ত গত পাঁচ দিনেও এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিμিয়া দেখানো হয়নি। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে মিলন ও তার বন্ধুকে।
উল্লেখ্য, ২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসাবে নকল প্রতিরোধ আন্দোলনের উদ্যোক্তা হিসাবে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন এহছানুল হক মিলন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

স্ত্রীর অভিযোগ : ডিবি তুলে নিয়ে গেছে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. মিলনকে

প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ নভেম্বর ২০১৮

হককথা ডেস্ক: সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলনকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রামের চট্টশ্বেরী রোড এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মিলনের স্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী নাজমুন নাহার বেবী। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে ফেরার পর গত সপ্তাহখানেক ধরে মিলন চট্টগ্রামে তাঁর বন্ধু শাহ আলমের বাসায়ই অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে এবং ওই বাড়ির মালিক শাহ আলমকে তুলে নেওয়া হয়। তবে তাঁদেরকে ঠিক কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেত্রী বেবী। এর আগে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর স্ত্রী নির্বাচন কমিশনে এক লিখিত অভিযোগে জানান যে, মিলন আসন্ন নির্বাচনে চাঁদপুর-১ আসন থেকে বিএনপি’র প্রার্থী। কিন্ত আইনের আশ্রয় গ্রহণের স্বাভাবিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাবেক এই সংসদস সদস্য। তিনি জানান, চিকিৎসা ও পড়াশোনার জন্য দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার কারণে এহছানুল হক মিলন তাঁর বিরূদ্ধে কয়েক বছর আগে দায়ের করা বেশ কিছু রাজনৈতিক মামলায় নিয়মিত হাজিরা দিতে পারেননি। এ পর্যায়ে দেশে ফিরে তিনি সেসব মামলায় সরাসরি কোর্টে হাজির হওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তিনি যাতে সরাসরি কোর্টে হাজির হতে না পারেন সে জন্য পুলিশ নানা ধরণের তৎপরতা শুরু করে। পুলিশ তাকে কোর্টের বাইরে গ্রেফতার করে নতুন মামলা দিয়ে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করতে পারে এমন আশায় তিনি প্রকাশ্যে আসা থেকে বিরত থাকেন। ঘড়ি ছিনতাই, পুকুরের মাটি চুরি কিংবা ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাইয়ের মতো অভিযোগে দায়ের করা এসব মামলায় মিলন ইতিপূর্বে প্রায় দুই বছর জেল খেটেছেন।
তারপর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য বছর চারেক আগে বিদেশে যান। এই সময়ে মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি গবেষণা সম্পন্ন করেন। এরপর নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে গত ১৩ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরে আসেন। এ অবস্থায় মিলন যাতে স্বাভাবিক আইনী প্রμিয়া সম্পন্ন করে একজন প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে পারেন সে জন্য নির্বাচন কমিশনের সহায়তা কামনা করেন বেবী। কিন্ত গত পাঁচ দিনেও এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিμিয়া দেখানো হয়নি। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে মিলন ও তার বন্ধুকে।
উল্লেখ্য, ২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসাবে নকল প্রতিরোধ আন্দোলনের উদ্যোক্তা হিসাবে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন এহছানুল হক মিলন।