নিউইয়র্ক ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সিলেটে ভোটের মাঠ ছাড়ছেন না বিএনপি নেতারা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:১৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
  • / ৩৮ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আছেন বিএনপি’র পরিচিত নেতারা। তাদের অনেকেই অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ পদ দখল করে আছেন। ভোটের মাঠে জয় নিশ্চিত থাকায় তারা দলের বারণ শুনছেন না। এখনো নির্বাচনের মাঠে আছেন। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে চূড়ান্ত লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে- এরইমধ্যে অনেকেই ঘোষণা দিয়ে মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে তারা মাঠ ছেড়ে দেন বলে জানিয়েছেন প্রার্থীরা। কাউন্সিলর পদে এবার বিএনপি’র মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন যে কয়েকজন তাদের মধ্যে অন্তত ৬ জন পদ-পদবিতে আছেন কিংবা নিকট অতীতেও পদবিতে ছিলেন। এরা মাঠ থেকে না সরায় সিলেট বিএনপি’র শীর্ষ নেতারাও চিন্তিত। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন; সিলেট নগর বিএনপি’র সিনিয়র নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ফরহাদ চৌধুরী শামীম, সিলেট মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির সেপি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন।

এর বাইরেও রয়েছেন- ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুল হাদী, ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মুমিন। দলীয় নেতারা জানিয়েছেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত ছিলেন দলের নেতারা। তিনি নির্বাচন করবেন এমন ধারণা ছিল সবার। কিন্তু ২০শে মে ঘোষণা দিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন থেকে সরে যান। এরপর একেক করে অন্তত ১৫ জন বিএনপি নেতা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এরমধ্যে আছেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চারবারের কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি নেতা রেজাউল হাসান লোদী কয়েস, সাবেক কাউন্সিলর দিনার খান হাসুসহ অনেকে।

সিলেট নগর বিএনপি’র নেতারা জানিয়েছেন – আরিফুল হক চৌধুরীর সিদ্ধান্তের পর তারা ভেবেছিলেন অনেকেই নির্বাচনে থাকবেন না। কিন্তু তা হয়নি। সবচেয়ে বেশি চিন্তিত পদবিধারী তিন নেতাকে নিয়ে। এরা তিনটি সংগঠনের সভাপতি। এরমধ্যে রয়েছেন নগরীর ৩৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জেলা ছাত্রদল সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, সংরক্ষিত ২২, ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডে জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির সেপি ও সাধারণ ২৫ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী এডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ। তারা তিনজন পদবিধারী হওয়ায় তাদের প্রতি নজর বেশি। তবে নির্বাচনে তাদের অবস্থানও ভালো। ফলে মাঠ থেকে সরে যেতে তাদের কষ্ট হচ্ছে। এলাকার মানুষও তাদের সঙ্গে রয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও কাউন্সিলর প্রার্থী আলতাফ হোসেন সুমন গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ‘মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। বৈধও হয়েছে। একদিকে দল, অন্যদিকে এলাকার মানুষ। উভয় সংকটে আছেন। তবে- এখনো সময় আছে। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।

৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিএনপি নেতা ফরহাদ চৌধুরী শামীম একাধিকবারের কাউন্সিলর। এলাকায় তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি এলাকার মানুষের কাছে দ্বায়বদ্ধ বলে জানিয়েছেন। ফলে শামীম এবার নির্বাচন করতে পারেন বলে ধারণা করেন স্থানীয় বিএনপি নেতাদের। এলাকাভিত্তিক অবস্থানের কারণে ওই এলাকার শক্তিধর ব্যক্তি হিসেবেও শামীম পরিচিত। এদিকে- সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলের সম্ভাব্য ৩২ নেতাকর্মীকে চিঠি দেয় মহানগর বিএনপি। এর আগে ঢাকায় ডেকে নিয়ে মহানগর নেতৃবৃন্দকে ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বিষয়ে সতর্ক ও নিষেধ করেন। প্রার্থী হলে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের কথাও জানানো হয় তাদের। তবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় বিএনপি’র স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠক করে বেশির ভাগ নেতাকর্মীদের সম্ভাব্য প্রার্থিতা ঠেকাতে পারেননি। বিএনপিপন্থি অন্তত; ৩০ জন নেতাকর্মী এখনো সিলেটে ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। সিলেট মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী মানবজমিনকে জানিয়েছেন- যারা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে প্রার্থী হবেন তারা কঠোর শাস্তির আওতায় পড়বেন। এ কারণে আমরা প্রার্থী হওয়া নেতাদের কাছে যাচ্ছি। দলের পরিষ্কার অবস্থান তুলে ধরছি। সূত্র : মানবজমিন
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সিলেটে ভোটের মাঠ ছাড়ছেন না বিএনপি নেতারা

প্রকাশের সময় : ০১:১৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আছেন বিএনপি’র পরিচিত নেতারা। তাদের অনেকেই অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ পদ দখল করে আছেন। ভোটের মাঠে জয় নিশ্চিত থাকায় তারা দলের বারণ শুনছেন না। এখনো নির্বাচনের মাঠে আছেন। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে চূড়ান্ত লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে- এরইমধ্যে অনেকেই ঘোষণা দিয়ে মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে তারা মাঠ ছেড়ে দেন বলে জানিয়েছেন প্রার্থীরা। কাউন্সিলর পদে এবার বিএনপি’র মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন যে কয়েকজন তাদের মধ্যে অন্তত ৬ জন পদ-পদবিতে আছেন কিংবা নিকট অতীতেও পদবিতে ছিলেন। এরা মাঠ থেকে না সরায় সিলেট বিএনপি’র শীর্ষ নেতারাও চিন্তিত। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন; সিলেট নগর বিএনপি’র সিনিয়র নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ফরহাদ চৌধুরী শামীম, সিলেট মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির সেপি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন।

এর বাইরেও রয়েছেন- ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুল হাদী, ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মুমিন। দলীয় নেতারা জানিয়েছেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত ছিলেন দলের নেতারা। তিনি নির্বাচন করবেন এমন ধারণা ছিল সবার। কিন্তু ২০শে মে ঘোষণা দিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন থেকে সরে যান। এরপর একেক করে অন্তত ১৫ জন বিএনপি নেতা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এরমধ্যে আছেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চারবারের কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি নেতা রেজাউল হাসান লোদী কয়েস, সাবেক কাউন্সিলর দিনার খান হাসুসহ অনেকে।

সিলেট নগর বিএনপি’র নেতারা জানিয়েছেন – আরিফুল হক চৌধুরীর সিদ্ধান্তের পর তারা ভেবেছিলেন অনেকেই নির্বাচনে থাকবেন না। কিন্তু তা হয়নি। সবচেয়ে বেশি চিন্তিত পদবিধারী তিন নেতাকে নিয়ে। এরা তিনটি সংগঠনের সভাপতি। এরমধ্যে রয়েছেন নগরীর ৩৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জেলা ছাত্রদল সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, সংরক্ষিত ২২, ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডে জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির সেপি ও সাধারণ ২৫ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী এডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ। তারা তিনজন পদবিধারী হওয়ায় তাদের প্রতি নজর বেশি। তবে নির্বাচনে তাদের অবস্থানও ভালো। ফলে মাঠ থেকে সরে যেতে তাদের কষ্ট হচ্ছে। এলাকার মানুষও তাদের সঙ্গে রয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও কাউন্সিলর প্রার্থী আলতাফ হোসেন সুমন গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ‘মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। বৈধও হয়েছে। একদিকে দল, অন্যদিকে এলাকার মানুষ। উভয় সংকটে আছেন। তবে- এখনো সময় আছে। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।

৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিএনপি নেতা ফরহাদ চৌধুরী শামীম একাধিকবারের কাউন্সিলর। এলাকায় তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি এলাকার মানুষের কাছে দ্বায়বদ্ধ বলে জানিয়েছেন। ফলে শামীম এবার নির্বাচন করতে পারেন বলে ধারণা করেন স্থানীয় বিএনপি নেতাদের। এলাকাভিত্তিক অবস্থানের কারণে ওই এলাকার শক্তিধর ব্যক্তি হিসেবেও শামীম পরিচিত। এদিকে- সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলের সম্ভাব্য ৩২ নেতাকর্মীকে চিঠি দেয় মহানগর বিএনপি। এর আগে ঢাকায় ডেকে নিয়ে মহানগর নেতৃবৃন্দকে ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বিষয়ে সতর্ক ও নিষেধ করেন। প্রার্থী হলে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের কথাও জানানো হয় তাদের। তবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় বিএনপি’র স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠক করে বেশির ভাগ নেতাকর্মীদের সম্ভাব্য প্রার্থিতা ঠেকাতে পারেননি। বিএনপিপন্থি অন্তত; ৩০ জন নেতাকর্মী এখনো সিলেটে ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। সিলেট মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী মানবজমিনকে জানিয়েছেন- যারা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে প্রার্থী হবেন তারা কঠোর শাস্তির আওতায় পড়বেন। এ কারণে আমরা প্রার্থী হওয়া নেতাদের কাছে যাচ্ছি। দলের পরিষ্কার অবস্থান তুলে ধরছি। সূত্র : মানবজমিন
সুমি/হককথা