নিউইয়র্ক: টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তান, জামালপুর জেলায় স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক এমপি, সাবেক ছাত্র নেতা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র উপদেষ্টা মন্ডলী’র  সদস্য  আবদুল মতিন মিয়া হিরু আর নেই। তিনি ৫ মে সকাল ৭টায় ঢাকার সার্কিট হাউজ রোডস্থ (কাকরাইল) গাউসিয়া ডাইনেষ্টির নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্নানিল্লাহে…………….রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭১ বছর। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও লাঞ্চের সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, সিভিল সার্ভিসে কর্মরত দুই ছেলে, এক মেয়েসহ বহু আত্মীয় স্বজন, রাজনৈতিক সহচর ও গুনগ্রাহী রেখে  গেছেন।
ঢাকা থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, আবদুল মতিন মিয়া হিরু’র মৃত্যুতে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মরহুমের মরদেহ দেখতে তার বাসভবনে যান এবং শোকাহত পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
৬ মে শনিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা, বিকেল ৪ টায় জামালপুর হাইস্কুল মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা এবং বাদ মাগরিব টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি হাইস্কুল মাঠে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হবে।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এমপি আবদুল মতিন মিয়া হিরুর ইন্তেকালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাং¯কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। পৃথক পৃথক বার্তায় শোক প্রকাশকারী নেতৃবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন: আমেরিকা-বাংলাদেশ এলাইন্সের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, যুক্তরাষ্ট্র সোহরাওয়ার্দী স্মৃতি পরিষদের সভাপতি শিশু সাহিত্যিক হাসানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ওসমান গণি ও সাধারণ সম্পাদক সুহাস বড়ুয়া, সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহামন মিলন ও সাধারণ সম্পাদক আলো আহমেদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন ও সাধারণ সম্পাদক শামসুউদ্দিন আহমেদ শামীম এবং  জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ যুক্তরাষ্ট্র শাখার সিনিয়র সভাপতি দেওয়ান শাহেদ চেীধুরী ও সাধারণ সম্পাদক  নূরে আলম জিকু প্রমুখ।