সরকার পতনের দিনক্ষণ জানা থাকলে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা যেতো
- প্রকাশের সময় : ০৩:২৮:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
- / ৩৯ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : বিএনপি’র সরকার পতনের ঝড় লন্ডন থেকে না ঠাকুরগাঁও থেকে আসবে তার দিনক্ষণ প্রকাশ করতে মির্জা ফখরুল ইসলামের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সরকারকে কবে বিদায় নিতে হবে- তার দিনক্ষণ জানা থাকলে বিদায় নিতে একটি প্রস্তুতিও নিতে পারবে সরকার। বিএনপি’র পক্ষ থেকে প্রতিদিনই বলা হচ্ছে যে- সরকারের সময় শেষ। তাই, দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চাই দিনটা কখন। গত ১০ বছর ধরেই এই কথা শুনে আসছি।
গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী ওলামা লীগের প্রথম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই সরকারের সময় কখন শেষ হবে তা নির্ধারণ করবে এ দেশের জনগণ। এ দেশের নেতৃত্ব আগামী দিনে কারা দেবে, তাও এ দেশের জনগণ ঠিক করবে। আওয়ামী লীগকে কচুপাতার ওপর ভোরের শিশির বিন্দু মনে করলে বিএনপি ভুল করবে। তিনি বলেন, বিএনপি আছে সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে, আর আওয়ামী লীগ আছে জনগণের জানমাল রক্ষার আন্দোলনে। দেশের মানুষ মনে করে, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে পথ হারাবে না বাংলাদেশ। ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন।
আমরা এখন একটি সংকটের মধ্যে আছি। যেটা আমাদের সৃষ্টি নয়। করোনা মহামারি সামলানোর পর যুদ্ধ শুরু হয়। ফলে জ্বালানি ও ডলারের দাম বেড়ে যায়। বেড়ে যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও। অনেক পণ্যই বাইরে থেকে আমদানি করে আনতে হয়। কিছু পণ্য আনা কমিয়ে দিলে মানুষের কষ্ট বাড়বে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মতো নেত্রী আছে বলেই পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে। একটি দল তাকে নিয়ে অপপ্রচার করে যাচ্ছে। অথচ সারা দুনিয়া তাকে নিয়ে প্রশংসা করছে। তিনি থাকলে দেশ পথ হারাবে না। বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের আহ্বায়ক ড. কে এম মোমেন সিরাজীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
এদিকে ওলামা লীগকে স্বীকৃতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে তাদের সহযোগী সংগঠন করা হবে নাকি সমমনা সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে সেটা ঠিক করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। গতকাল এ তথ্য জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী ওলামা লীগের একটি ইচ্ছে ছিল যে সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠিত হবে। তার জন্য সময় লেগেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আজ তা সম্ভব হয়েছে। আমি ১০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিচ্ছি যাতে ত্যাগী ও সিনিয়র নেতারা স্থান পাবেন। তিনি বলেন, কমিটিতে যেন বাস্তবতার ও রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিফলন থাকে। নেতাদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলায় আসতে হবে। ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজপথে ওলামা লীগের কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঝে কিছুটা স্বেচ্ছাচারিতা দেখা গিয়েছিল। তবে সেসব কাটিয়ে উঠে যেন একটি যোগ্য কমিটি তৈরি হয়। দলাদলি করে বদনাম কামাবেন না। এসব করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুত্র : মানবজমিন
সুমি/হককথা