সংবিধানেই ‘ভাষানীতি’ প্রোথিত

- প্রকাশের সময় : ০২:৫১:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৭৮ বার পঠিত
বাংলঅদেশ ডেস্ক : পরিবর্তনশীলতাই ভাষার ধর্ম। আমাদের সংবিধানের তৃতীয় অনুচ্ছেদে আছে ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা।’ বঙ্গবন্ধু প্রণীত সংবিধানের মধ্যেই ভাষানীতির বিষয়টি স্পষ্ট। ফলে পৃথকভাবে ভাষানীতি থাকা-না থাকা বিষয়টি একই। আর নীতি হচ্ছে আইন। আইনের অর্থ হলো, ভাষাকে গন্ডিবদ্ধ করে তোলা। ভাষানীতির কাছাকাছি শব্দ হলো ‘ভাষা-পরিকল্পনা’। ভাষার বিকাশ, সমৃদ্ধির জন্য ভাষা-পরিকল্পনাই আসল কথা। ভাষা-পরিকল্পনার জন্য আমাদের দেশে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠান যেমন বাংলা একাডেমি। বাংলা একাডেমি ২০১০ সালে দুই খন্ডের প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ প্রণয়ন করেছে। আবার রবীন্দ্রনাথের কিন্তু কোনো রাষ্ট্র ছিল না। তিনিও ভাষার জন্য কাজ করেছেন, বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন।
আরোও পড়ুন বাংলা ভাষা প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির খতিয়ান
তবে ভাষার প্রায়োগিক দিক বিবেচনা করলে দেখা যায়, অনেক প্রতিষ্ঠান ভাষার মূলভাব অক্ষুণ্ন রেখে বাক্য গঠন ও বিন্যাসে নানা পরিকল্পনা করে থাকে। এটা ঠিক যে, বাংলা ভাষা বৈচিত্র্যসমৃদ্ধ। দেখা যায়, এটিকে অবলম্বন করে দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, বিশেষ করে প্রথম আলো নিজস্ব ভাষারীতি প্রয়োগ করে থাকে। প্রথম আলোর তো এ সংক্রান্ত প্রকাশনাও রয়েছে। ও যায়যায়দিন পত্রিকা দৈনিকের জন্মলগ্নে বানানের ক্ষেত্রে নিজস্ব রীতি প্রয়োগ করত। এটা আসলে মূল ভাষাকে ঠিক রেখে নতুনত্ব সৃষ্টির প্রয়াস। এজন্য কিন্তু ভাষা সংকটে পড়ে না। আবার কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার সংবাদ পাঠ করলে বোঝা যায় তাদের স্টোরি টাইটেলের সঙ্গে আমাদের ভাষার মিল নেই। অথচ আমাদের সবারই ভাষা বাংলা। এখানে শুধু মূল ভাষার ঐক্য রয়েছে।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২৫ কোটি মানুষের ভাষা বাংলা। জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা বাংলা। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাংলা এবং বিশ্বের নানা দেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কথা ভেবেই তিনি এটা বলেন। বাংলা ভাষায় আমরা দেশি-প্রবাসীরা কথা বললেও ভাষার মধ্যে ঐক্য আছে। এটাই ভাষা-পরিকল্পনার অংশ। সর্বোপরি ভাষানীতির প্রশ্নে ধরে নিতে হবে, আমাদের সংবিধানের ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’-ই মূলত বাংলা ভাষার প্রকৃত ভাষানীতি। সূত্রঃ আজকের পত্রিকা
হককথা/ সাথী