শপথ নিলেন নতুন ৯ বিচারপতি

- প্রকাশের সময় : ১২:৩৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৯
- / ২৫৩ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: শপথ নিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের নবনিযুক্ত ৯ অতিরিক্ত বিচারপতি। সোমবার (২১ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শপথগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বেলা ১১টার দিকে। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী। উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
যারা শপথ নিলেন: মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম, শাহেদ নূরউদ্দিন, ড. মো. জাকির হোসেন, ড. মো. আখতারুজ্জামান, মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার, কাজী ইবাদত হোসেন, কে এম জাহিদ সারওয়ার, এ কে এম জহিরুল হক এবং কাজী জিনাত হক।
রোববার হাইকোর্ট বিভাগে এই ৯ জন অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। এ দিনই বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সোমবার এ নিয়োগ শপথ গ্রহণের পর থেকে তা কার্যকর হলো।
দুই বিচারক পুরস্কৃত: সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পাওয়া ৯ বিচারপতির মধ্যে দুজনকে তাদের কাজের জন্য সরকার পুরস্কৃত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বারের) সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সরকারের কথা অনুযায়ী সাজা দেয়া দুই বিচারককে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তারা হলেন- হাইকোর্টের নবনিযুক্ত বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন এবং বিচারপতি ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সোমবার হাইকোর্ট বিভাগে ৯ বিচারপতির শপথ গ্রহণের পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে তাৎক্ষণিকভাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন বলেন, বিচারপতি ড. মো. আখতারুজ্জামান বিচারিক (নিম্ন) আদালতের বিচারক থাকাবস্থায় দুদকের মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। অন্য বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন বিচারিক (নিম্ন) আদালতের বিচারক থাকাবস্থায় দুদকের মামলায় তারেককে সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। তাই তাদের বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে সংবিধানসম্মত কাজ করেননি। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ৯ বিচারপতির মধ্যে সাতজনকে সংবর্ধনা দিয়েছি। কিন্তু দু’জনের ব্যাপারে আপত্তি আছে, তাই আমরা তাদের সংবর্ধনা দিতে যাইনি।’
বিএনপির আইনজীবীরা তাদের বিচারিক কাজ বা আদালত বর্জন করবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে খোকন বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট বার থেকে যদি এমন সিদ্ধান্ত আসে তাহলে আমরা অবশ্যই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত থাকব।’ (যায়যায়দিন)