নিউইয়র্ক ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

শতবর্ষে পা দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুলাই ২০২০
  • / ৫৯ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বলতেই এক কথায় বুঝানো হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। ১৯২১ সালের এ দিনে (১ জুলাই) যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এরপর স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়, জাতির মনন গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভূমিকা অনন্য। আজকের এ দিনে বিশ্ববিদ্যালয়টি পা দিচ্ছে শতবর্ষে।
শতবর্ষ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এক শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েছেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, ‘পহেলা জুলাই ২০২০। ৯৯ বছর শেষ করে এদিন শতবর্ষে পা দিবে আমাদের এই চিরতরণ প্রতিষ্ঠান। করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লোকসমাবেশ এড়িয়ে প্রাণপ্রিয় ছাত্র-ছাত্রীবিহীন স্বল্পপরিসরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজনে নি:সন্দেহে আনন্দ, প্রশান্তি ও স্বস্তির ঘাটতি অনস্বীকার্য। তবে মুজিববর্ষের এই অলোকসামান্য কালপর্বে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর ও ব্যাপক।’
তিনি আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে, বঙ্গবন্ধু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ নামক আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমির দুই অন্তহীন প্রেরণা-উৎস। ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে পালিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২০ লাভ করবে এক অনন্য মাত্রা।
উপচার্য আরো বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার বিস্তার, মুক্তচিন্তার উন্মেষ ও বিকাশ এবং সৃজনশীল কর্মকান্ডের মাধ্যমে নতুন ও মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী এবং তিনটি আবাসিক হল নিয়ে ১৯২১ সালের ১ জুলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২০২১ সালে আমাদের অস্তিত্বপ্রতিম এই প্রতিষ্ঠান শতবর্ষপূর্তি উদযাপন করবে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীও একই বছর উদযাপিত হবে। তাই এটি হবে আমাদের জন্য এক বিশেষ মর্যাদা, সম্মান, আবেগ, অনুভূতির সংশ্লেষে গৌরবদীপ্ত বছর।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের অতিসংক্রমণের কারণে সগ্র্র বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও গভীর সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে। আশার কথা এই যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ বিশেষ করে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় মানবিক সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। তাদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিস্ময়কর অভিযাত্রার নিরবচ্ছিন্ন সঙ্গী হয়ে এই জ্ঞানপীঠ যেন আরো বেশি করে পৃথিবীর সাম্প্রতিকতম জ্ঞানকে আয়ত্ব্ব করার সাধনায় নিয়োজিত থাকতে পারে আর মৌলিক গবেষণার সম্প্রসারণ এবং শিক্ষার গুণগত মান ও পরিবেশ উন্নয়ন ঘটাতে পারে, সেই প্রত্যাশায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২০-কে সফল করে তুলি। (দৈনিক ইত্তেফাক)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

শতবর্ষে পা দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুলাই ২০২০

হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বলতেই এক কথায় বুঝানো হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। ১৯২১ সালের এ দিনে (১ জুলাই) যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এরপর স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়, জাতির মনন গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভূমিকা অনন্য। আজকের এ দিনে বিশ্ববিদ্যালয়টি পা দিচ্ছে শতবর্ষে।
শতবর্ষ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এক শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েছেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, ‘পহেলা জুলাই ২০২০। ৯৯ বছর শেষ করে এদিন শতবর্ষে পা দিবে আমাদের এই চিরতরণ প্রতিষ্ঠান। করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লোকসমাবেশ এড়িয়ে প্রাণপ্রিয় ছাত্র-ছাত্রীবিহীন স্বল্পপরিসরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজনে নি:সন্দেহে আনন্দ, প্রশান্তি ও স্বস্তির ঘাটতি অনস্বীকার্য। তবে মুজিববর্ষের এই অলোকসামান্য কালপর্বে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর ও ব্যাপক।’
তিনি আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে, বঙ্গবন্ধু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ নামক আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমির দুই অন্তহীন প্রেরণা-উৎস। ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে পালিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২০ লাভ করবে এক অনন্য মাত্রা।
উপচার্য আরো বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার বিস্তার, মুক্তচিন্তার উন্মেষ ও বিকাশ এবং সৃজনশীল কর্মকান্ডের মাধ্যমে নতুন ও মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী এবং তিনটি আবাসিক হল নিয়ে ১৯২১ সালের ১ জুলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২০২১ সালে আমাদের অস্তিত্বপ্রতিম এই প্রতিষ্ঠান শতবর্ষপূর্তি উদযাপন করবে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীও একই বছর উদযাপিত হবে। তাই এটি হবে আমাদের জন্য এক বিশেষ মর্যাদা, সম্মান, আবেগ, অনুভূতির সংশ্লেষে গৌরবদীপ্ত বছর।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের অতিসংক্রমণের কারণে সগ্র্র বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও গভীর সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে। আশার কথা এই যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ বিশেষ করে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় মানবিক সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। তাদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিস্ময়কর অভিযাত্রার নিরবচ্ছিন্ন সঙ্গী হয়ে এই জ্ঞানপীঠ যেন আরো বেশি করে পৃথিবীর সাম্প্রতিকতম জ্ঞানকে আয়ত্ব্ব করার সাধনায় নিয়োজিত থাকতে পারে আর মৌলিক গবেষণার সম্প্রসারণ এবং শিক্ষার গুণগত মান ও পরিবেশ উন্নয়ন ঘটাতে পারে, সেই প্রত্যাশায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২০-কে সফল করে তুলি। (দৈনিক ইত্তেফাক)