নিউইয়র্ক ১২:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৯২ জনের হাতে অবৈধ অস্ত্র, আতঙ্ক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৩১ বার পঠিত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুধু রাতে নয়, এখন দিনেও চলছে অস্ত্রের ঝনঝনানি। উখিয়া-টেকনাফে ৩৪টি ক্যাম্পেই একাধিক রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাম্পগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খুনাখুনি, অপহরণ, গুম, লুটপাট স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে রূপ নিয়েছে। এমনকি ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানা রয়েছে বলেও একাধিক গোয়েন্দা সূত্র দাবি করেছে। এর প্রভাবে কক্সবাজার-চট্টগ্রামে নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়েছে স্থানীয়রা।

গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন ক্যাম্পে নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ১১৫ জন খুনের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনার জের ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে শতাধিক দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। গত পাঁচ বছরে ২ হাজার ৪ শতাধিক মামলায় আসামি হয়েছে ৫ হাজার ২২৬ জন। এর মধ্যে ১০০টি হত্যা, ১৮৫টি অস্ত্র, ১ হাজার ৬৩৬টি মাদক, ৮৮টি ধর্ষণ ও ৩৯টি অপহরণ মামলা।

সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রধারীদের নাম স্থান পেয়েছে। ১৯২ জনের নামের তালিকায় তাদের ভয়ংকর কর্মকাণ্ড বর্ণনা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

টেকনাফ-উখিয়ায় ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় আট গ্রুপের মধ্যে ১৯২ জনের হাতে রয়েছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। এর মধ্যে মোহাম্মদ নবী হোসেন গ্রুপ অন্যতম। এই গ্রুপের সদস্যরা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অপহরণ, মুক্তিপণ, খুন ও নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে আসছে বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এই গ্রুপের প্রত্যেক সদস্যের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এর সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বালুখালী ক্যাম্পের নুরুল আমিন, শহিদুল ইসলাম, জাফর আলম, হামিদ হোসেন, তোফায়েল হোসেন, মৌলভী হাবিবুল্লাহ প্রমুখ। আরসা গ্রুপের সদস্যরা মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। মিয়ানমারের ভাষায় তাদের তনজিম এবং আরবি ভাষায় আল ইয়াকিন বলা হয়। এই গ্রুপের সদস্যরা হচ্ছেন কমান্ডার মৌলভী আয়াছ, মুছা, সানাউল্লাহ, আরমান, বাইলা প্রমুখ।

দীল মোহাম্মদ ওরফে মার্স গ্রুপের হাতেও অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। এ গ্রুপের অস্ত্রধারী সদস্যরা হলেন—মোহাম্মদ রফিক, আব্দুল মাবুদ, আবু বক্কর, ওস্তাদ খালেক, হাফেজ, হেড মাঝি জহিরুল, কেফায়েত উল্লাহ প্রমুখ। এছাড়া হিট পয়েন্ট গ্রুপের কলিম উল্লাহ, জাহিদ হোসেন, ফরিদ, ইউসুফ, মো. জামাল, মাস্টার দিল মোহাম্মদ প্রমুখের হাতে রয়েছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৯২ জনের হাতে অবৈধ অস্ত্র, আতঙ্ক

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুধু রাতে নয়, এখন দিনেও চলছে অস্ত্রের ঝনঝনানি। উখিয়া-টেকনাফে ৩৪টি ক্যাম্পেই একাধিক রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাম্পগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খুনাখুনি, অপহরণ, গুম, লুটপাট স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে রূপ নিয়েছে। এমনকি ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানা রয়েছে বলেও একাধিক গোয়েন্দা সূত্র দাবি করেছে। এর প্রভাবে কক্সবাজার-চট্টগ্রামে নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়েছে স্থানীয়রা।

গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন ক্যাম্পে নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ১১৫ জন খুনের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনার জের ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে শতাধিক দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। গত পাঁচ বছরে ২ হাজার ৪ শতাধিক মামলায় আসামি হয়েছে ৫ হাজার ২২৬ জন। এর মধ্যে ১০০টি হত্যা, ১৮৫টি অস্ত্র, ১ হাজার ৬৩৬টি মাদক, ৮৮টি ধর্ষণ ও ৩৯টি অপহরণ মামলা।

সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রধারীদের নাম স্থান পেয়েছে। ১৯২ জনের নামের তালিকায় তাদের ভয়ংকর কর্মকাণ্ড বর্ণনা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

টেকনাফ-উখিয়ায় ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় আট গ্রুপের মধ্যে ১৯২ জনের হাতে রয়েছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। এর মধ্যে মোহাম্মদ নবী হোসেন গ্রুপ অন্যতম। এই গ্রুপের সদস্যরা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অপহরণ, মুক্তিপণ, খুন ও নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে আসছে বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এই গ্রুপের প্রত্যেক সদস্যের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এর সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বালুখালী ক্যাম্পের নুরুল আমিন, শহিদুল ইসলাম, জাফর আলম, হামিদ হোসেন, তোফায়েল হোসেন, মৌলভী হাবিবুল্লাহ প্রমুখ। আরসা গ্রুপের সদস্যরা মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। মিয়ানমারের ভাষায় তাদের তনজিম এবং আরবি ভাষায় আল ইয়াকিন বলা হয়। এই গ্রুপের সদস্যরা হচ্ছেন কমান্ডার মৌলভী আয়াছ, মুছা, সানাউল্লাহ, আরমান, বাইলা প্রমুখ।

দীল মোহাম্মদ ওরফে মার্স গ্রুপের হাতেও অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। এ গ্রুপের অস্ত্রধারী সদস্যরা হলেন—মোহাম্মদ রফিক, আব্দুল মাবুদ, আবু বক্কর, ওস্তাদ খালেক, হাফেজ, হেড মাঝি জহিরুল, কেফায়েত উল্লাহ প্রমুখ। এছাড়া হিট পয়েন্ট গ্রুপের কলিম উল্লাহ, জাহিদ হোসেন, ফরিদ, ইউসুফ, মো. জামাল, মাস্টার দিল মোহাম্মদ প্রমুখের হাতে রয়েছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক