নিউইয়র্ক ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রিজেন্ট মামলার প্রধান আসামি সাহেদ অস্ত্রসহ গ্রেফতার  : পরিচালক মাসুদ গাজীপুর থেকে আটক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০
  • / ৫৭ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: অবশেষে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হাতে ধরা পড়লেন রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রæপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। বুধবার (১৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ১০ মিনিটে র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটার রামগতি সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ। তিনি জানান, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাঁখরা কোমরপুর গ্রামের সীমান্ত লবঙ্গ নদীপথে ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগেও একবার একই সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়েছিলেন তিনি। বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকায় আনা হয়।
র‌্যাব সাতক্ষীরা কোম্পানি কমান্ডার এএসপি বজলুর রহমান জানান, সাহেদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে তাকে গ্রেফতারের জন্য সাতক্ষীরার আইনশৃংখলা বাহিনী বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়ে আসছিল। এর আগে রিজেন্ট গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা সংগ্রহ করা এবং ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগ ৬ জুলাই র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে মো. সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করে। সেই মামলায় ৯ দিন পলাতক থাকার পর গ্রেফতার হলেন মো. সাহেদ। ওই মামলায় সাহেদকে প্রধান আসামি করে মোট ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। সে সময় প্রধান আসামিসহ ৯ জন আসামিকে পলাতক দেখিয়ে এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।
আসামিরা হলেন রিজেন্ট গ্রæপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ, রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মী তরিকুল ইসলাম, আবদুর রশিদ খান জুয়েল, মো. শিমুল পারভেজ, দীপায়ন বসু, আইটি কর্মকর্তা মাহবুব, সৈকত, পলাশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহসান হাবীব (১), হেলথ টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব (২), হেলথ টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, অভ্যর্থনাকারী কামরুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রæপের প্রকল্প প্রশাসক মো. রাকিবুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রæপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা অমিত বণিক, রিজেন্ট গ্রæপের গাড়িচালক আবদুস সালাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রশিদ খান।
নৌকায় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালাচ্ছিল সাহেদ
এদিকে নৌকায় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালাচ্ছিল সাহেদ। এ তথ্য নিশ্চিত করে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাঁখরা কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদী তীর সীমান্ত থেকে আনুমানিক ভোর ৫টা ১০ মিনিটে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান দিয়ে নদী পেরিয়ে সাহেদ ভারতে পালিয়ে যাবার চেষ্টায় গত কয়েকদিন ধরে সাতক্ষীরাতে অবস্থান করছিল। আর কিছুক্ষণ দেরি হলে হয়ত তাকে পাওয়া যেত না।
সাতক্ষীরার স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানা গেছে, সাহেদের বাড়ি সাতক্ষীরা হলেও তার পৈত্রিক ভিটা ওপারে ভারতে। তাকে ইছামতি নদীতে নৌকায় ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরে ফেলে র‌্যাব। সাহেদ নদী পেরিয়ে পূর্বপুরুষের ঠিকানা ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল । যে এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করা হয় সেটি ভোমরা স্থলবন্দরের কাছাকাছি। এই এলাকার ওপারে ভারতের বশিরহাট জেলা। এর আগেও এভাবেই একই সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন সাহেদ।
সাতক্ষীরার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ১৯৪৭ এ দেশভাগের সময় সাহেদ করিমের দাদা এমদাদুল করিম তৎকালিন পাকিস্তানে চলে আসেন। এ সময় তারা সাতক্ষীরা মহকুমার দেবহাটায় বসবাস শুরু করেন। পরে তারা সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল কামাননগরে বসবাস করতে থাকেন। সাহেদ করিমের মা সাফিয়া করিম সাতক্ষীরা জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১০ সালে তিনি মারা যান। এর আগে ১৯৯৮ সালে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াকালে সাহেদ করিম নানা অপরাধ করে ঢাকায় পালিয়ে যান। সেখানে তিনি গড়ে তোলেন রিজেন্ট হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
র‌্যাব সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ সাহেদকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের তেজগাঁও বিমানবন্দরে এসে পৌঁছোবে। ইতিমধ্যে র‌্যাবের একটি বিশেষ হেলিকপ্টার সাতক্ষীরায় পৌঁছে গেছে। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হেলিকপ্টারটি ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বিমানবন্দর থেকে সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব সদও দফতরে নেয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখানে জিজ্ঞাসবাদ শেষে বুধবারই তাকে উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করা হবে। তবে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে থানার মাধ্যমে আজই আদালতে প্রেরণ করা হবে কিনা এ বিষয়ে র‌্যাবের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা সংগ্রহ করা এবং ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগ ৬ জুলাই র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রোগীদের সরিয়ে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে মো. সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। সেই মামলায় ৯ দিন পলাতক থাকার পর গ্রেফতার হলেন মো. সাহেদ। (সূত্র: দৈনিক যুগান্তর)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রিজেন্ট মামলার প্রধান আসামি সাহেদ অস্ত্রসহ গ্রেফতার  : পরিচালক মাসুদ গাজীপুর থেকে আটক

প্রকাশের সময় : ১২:১৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০

হককথা ডেস্ক: অবশেষে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হাতে ধরা পড়লেন রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রæপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। বুধবার (১৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ১০ মিনিটে র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটার রামগতি সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ। তিনি জানান, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাঁখরা কোমরপুর গ্রামের সীমান্ত লবঙ্গ নদীপথে ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগেও একবার একই সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়েছিলেন তিনি। বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকায় আনা হয়।
র‌্যাব সাতক্ষীরা কোম্পানি কমান্ডার এএসপি বজলুর রহমান জানান, সাহেদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে তাকে গ্রেফতারের জন্য সাতক্ষীরার আইনশৃংখলা বাহিনী বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়ে আসছিল। এর আগে রিজেন্ট গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা সংগ্রহ করা এবং ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগ ৬ জুলাই র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে মো. সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করে। সেই মামলায় ৯ দিন পলাতক থাকার পর গ্রেফতার হলেন মো. সাহেদ। ওই মামলায় সাহেদকে প্রধান আসামি করে মোট ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। সে সময় প্রধান আসামিসহ ৯ জন আসামিকে পলাতক দেখিয়ে এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।
আসামিরা হলেন রিজেন্ট গ্রæপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ, রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মী তরিকুল ইসলাম, আবদুর রশিদ খান জুয়েল, মো. শিমুল পারভেজ, দীপায়ন বসু, আইটি কর্মকর্তা মাহবুব, সৈকত, পলাশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহসান হাবীব (১), হেলথ টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব (২), হেলথ টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, অভ্যর্থনাকারী কামরুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রæপের প্রকল্প প্রশাসক মো. রাকিবুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রæপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা অমিত বণিক, রিজেন্ট গ্রæপের গাড়িচালক আবদুস সালাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রশিদ খান।
নৌকায় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালাচ্ছিল সাহেদ
এদিকে নৌকায় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালাচ্ছিল সাহেদ। এ তথ্য নিশ্চিত করে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাঁখরা কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদী তীর সীমান্ত থেকে আনুমানিক ভোর ৫টা ১০ মিনিটে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান দিয়ে নদী পেরিয়ে সাহেদ ভারতে পালিয়ে যাবার চেষ্টায় গত কয়েকদিন ধরে সাতক্ষীরাতে অবস্থান করছিল। আর কিছুক্ষণ দেরি হলে হয়ত তাকে পাওয়া যেত না।
সাতক্ষীরার স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানা গেছে, সাহেদের বাড়ি সাতক্ষীরা হলেও তার পৈত্রিক ভিটা ওপারে ভারতে। তাকে ইছামতি নদীতে নৌকায় ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরে ফেলে র‌্যাব। সাহেদ নদী পেরিয়ে পূর্বপুরুষের ঠিকানা ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল । যে এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করা হয় সেটি ভোমরা স্থলবন্দরের কাছাকাছি। এই এলাকার ওপারে ভারতের বশিরহাট জেলা। এর আগেও এভাবেই একই সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন সাহেদ।
সাতক্ষীরার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ১৯৪৭ এ দেশভাগের সময় সাহেদ করিমের দাদা এমদাদুল করিম তৎকালিন পাকিস্তানে চলে আসেন। এ সময় তারা সাতক্ষীরা মহকুমার দেবহাটায় বসবাস শুরু করেন। পরে তারা সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল কামাননগরে বসবাস করতে থাকেন। সাহেদ করিমের মা সাফিয়া করিম সাতক্ষীরা জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১০ সালে তিনি মারা যান। এর আগে ১৯৯৮ সালে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াকালে সাহেদ করিম নানা অপরাধ করে ঢাকায় পালিয়ে যান। সেখানে তিনি গড়ে তোলেন রিজেন্ট হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
র‌্যাব সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ সাহেদকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের তেজগাঁও বিমানবন্দরে এসে পৌঁছোবে। ইতিমধ্যে র‌্যাবের একটি বিশেষ হেলিকপ্টার সাতক্ষীরায় পৌঁছে গেছে। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হেলিকপ্টারটি ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বিমানবন্দর থেকে সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব সদও দফতরে নেয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখানে জিজ্ঞাসবাদ শেষে বুধবারই তাকে উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করা হবে। তবে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে থানার মাধ্যমে আজই আদালতে প্রেরণ করা হবে কিনা এ বিষয়ে র‌্যাবের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা সংগ্রহ করা এবং ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগ ৬ জুলাই র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রোগীদের সরিয়ে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে মো. সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। সেই মামলায় ৯ দিন পলাতক থাকার পর গ্রেফতার হলেন মো. সাহেদ। (সূত্র: দৈনিক যুগান্তর)