নিউইয়র্ক ০৪:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ফেরদৌস কোরেশীর দাফন সম্পন্ন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫৮:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ৮৭ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি, সাংবাদিক ও রাজনীতিক ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর চতুর্থ নামাজে জানাজা শেষে ফেনীর দাগনভূঞায় নিজ গ্রাম বাসুদেব পুরে পারিবারিক করবস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে ফেনীর দাগনভূঞা আতাতুর্ক সরকারি মডেল হাইস্কুল মাঠে তার তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল হাসানের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়। জানাজায় ইমামতি করেন দাগনভূঞা বড় মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, সোমবার (৩১ আগষ্ট) দুপুর আড়াইটায় অসুস্থ অবস্থায় ক্যান্টমেন্টের ভাড়া বাসা থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা

আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর জন্ম ১৯৪১ সালের ১৪ জানুয়ারী। ৬০-এর দশকের মেধাবী এই ছাত্রনেতা তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর তিনি ১৯৬১ সালে ডাকসু’র ভিপিও নির্বাচিত হন। অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশে তার অবদান ছিল অসামান্য। ৬ দফা ও ১১ দফাভিত্তিক ছাত্র ও গণআন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তাঞ্চল থেকে মুক্তিযুদ্ধের মুখপাত্র হিসেবে ‘দেশবাংলা’ পত্রিকা বের করেন ড. কোরেশী। ওই সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। লেখক ও সাংবাদিক হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গঠন করলে ওই দলের প্রথম যুগ্ম মহাসচিবও ছিলেন ড. কোরেশী। ১৯৯৬ সালে ফেনী-২ আসন থেকে ধানের প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন। পরে বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) গঠন করেন। যা ‘কিংস পার্টি’ নামে পরিচিতি পায়। সে দলটিও তাঁর জীবদ্দশায় ভেঙে যায়। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তিনি পিডিপি’র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘদিন ধরে ফেরদৌস কোরেশী অসুস্থ ছিলেন।
২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কোরেশী। প্রায় অর্ধমাস ওই হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এরপর থেকে বিছানা হয় তার একমাত্র ঠিকানা। প্যারালাইজড হওয়ায় ইশারায় কথাবার্তা বলতেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে এবং আতœীয়-স্বজন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ফেরদৌস কোরেশীর দাফন সম্পন্ন

প্রকাশের সময় : ১১:৫৮:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঢাকা ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি, সাংবাদিক ও রাজনীতিক ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর চতুর্থ নামাজে জানাজা শেষে ফেনীর দাগনভূঞায় নিজ গ্রাম বাসুদেব পুরে পারিবারিক করবস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে ফেনীর দাগনভূঞা আতাতুর্ক সরকারি মডেল হাইস্কুল মাঠে তার তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল হাসানের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়। জানাজায় ইমামতি করেন দাগনভূঞা বড় মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, সোমবার (৩১ আগষ্ট) দুপুর আড়াইটায় অসুস্থ অবস্থায় ক্যান্টমেন্টের ভাড়া বাসা থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা

আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর জন্ম ১৯৪১ সালের ১৪ জানুয়ারী। ৬০-এর দশকের মেধাবী এই ছাত্রনেতা তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর তিনি ১৯৬১ সালে ডাকসু’র ভিপিও নির্বাচিত হন। অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশে তার অবদান ছিল অসামান্য। ৬ দফা ও ১১ দফাভিত্তিক ছাত্র ও গণআন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তাঞ্চল থেকে মুক্তিযুদ্ধের মুখপাত্র হিসেবে ‘দেশবাংলা’ পত্রিকা বের করেন ড. কোরেশী। ওই সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। লেখক ও সাংবাদিক হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গঠন করলে ওই দলের প্রথম যুগ্ম মহাসচিবও ছিলেন ড. কোরেশী। ১৯৯৬ সালে ফেনী-২ আসন থেকে ধানের প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন। পরে বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) গঠন করেন। যা ‘কিংস পার্টি’ নামে পরিচিতি পায়। সে দলটিও তাঁর জীবদ্দশায় ভেঙে যায়। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তিনি পিডিপি’র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘদিন ধরে ফেরদৌস কোরেশী অসুস্থ ছিলেন।
২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কোরেশী। প্রায় অর্ধমাস ওই হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এরপর থেকে বিছানা হয় তার একমাত্র ঠিকানা। প্যারালাইজড হওয়ায় ইশারায় কথাবার্তা বলতেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে এবং আতœীয়-স্বজন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।