নিউইয়র্ক ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রাষ্ট্রপতিকে এরদোগানের ফোন : নাফ নদী থেকে আরো ২৩ লাশ উদ্ধার : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৫:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • / ১০৮৮ বার পঠিত

ঢাকা: মিয়ানমারের সামরিক সরকার রোহিঙ্গা মুসলামানদের উপর চরম নিপীড়ন-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। উদ্ভুত পরিস্থিতে বচার তাগিদে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, টেকনাফের নাফ নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো ২৩ রোহিঙ্গা নারী পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিরাজমান পরিস্থিতি ও মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর চলমান নিপীড়ন ও মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ফোনে এক উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের প্রতি তুরস্কের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে তিনি রাষ্ট্রপতিকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এবিষয়ে তুরস্ক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে অবহিত করেন। রোহিঙ্গা বিষয়ক সমস্যাটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের আলোচনায় উপস্থাপনে তুরস্কের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দেন।
বাসস জানায়, সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির জন্য সমবেদনা ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছে তুরস্ক। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তায়িপ এরদোয়ান বৃহস্পতিবার (৩১ আগষ্ট) রাতে টেলিফোন করে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যার ক্ষয়ক্ষতির জন্য তুরস্কের জনগণের আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন ও এযাবতকালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় এবং চলমান সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ গৃহীত পদক্ষেপসমূহের প্রশংসা করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা জানানো হয়েছে।
টেলিফোনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বর্তমান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিরাজমান পরিস্থিতি ও মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর চলমান নিপীড়ন ও মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের প্রতি তুরস্কের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে তিনি রাষ্ট্রপতিকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এবিষয়ে তুরস্ক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে অবহিত করেন। রোহিঙ্গা বিষয়ক সমস্যাটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের আলোচনায় উপস্থাপনে তুরস্কের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তুরস্কের রাষ্ট্রপতিকে এবং তুরস্কের জনগণকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে টেলিফোন আলাপ ও বাংলাদেশের প্রতি তাঁর সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি অত্যাচার ও দমন-পীড়নের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ৩০ বৎসরেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশ গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, সীমিত সম্পদ ও অন্যান্য সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি-নীতি অনুযায়ী মায়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা মুসলিমদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থানের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিবেশগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ তাদের প্রতি খাদ্য, বাসস্থান, ওষুধ, শিক্ষা ও অন্যান্য সকল সুবিধাদি প্রদান অব্যাহত রেখেছে। তিনি অবিলম্বে সহিংসতা থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে মায়ানমারের সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং কাফি আনান কমিশনের সুপারিশসমূহ অবিলম্বে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ বিষয়ে তিনি ওআইসি, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তুরস্কের অব্যাহত সহায়তা কামনা করেন এবং তুরস্কের ভবিষ্যত সহায়তার অভিপ্রায়কে স্বাগত জানান।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে তিনি ভবিষ্যতে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং রোহিঙ্গা সমস্যায় তুরস্কের সমর্থন ও তাঁর টেলিফোন কলের জন্য আবারো ধন্যবাদ জানান।
অপরদিকে কক্সবাজার থেকে গোলাম আজম খান জানান, টেকনাফের নাফ নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো ২৩ রোহিঙ্গা নারী পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের গোদামপাড়া, ওয়াব্রাং, মৌলভীবাজার ও শাহপরীরদ্বীপ এলাকা থেকে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফের হ্নীলা ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, আজ ভোর সকাল থেকে হ্নীলার নাফ নদীর গোদামপাড়া, ওয়াব্রাং, মৌলভীবাজার পয়েন্টে কিছু লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা আমাকে জানালে আমি বিজিবিকে খবর দিই। পরে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশগুলো উদ্ধার চালাচ্ছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন জানান, শুক্রবার সকালে নাফ নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৬জন নারী ও শিশুদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ২জন সাবরাং-শাহপরীরদ্বীপে থেকে উদ্ধার করা হয়। বিজিবি’র মাধ্যমে খবর পেয়ে টেকনাফ থানার পুলিশের একটি দল লাশগুলো উদ্ধার করে।
এর আগে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ থেকে পৃথকভাবে ২৩ নারী ও শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ৪৪ জনের রোহিঙ্গা নারী ও শিশুর লাশ উদ্ধার করা হলো। উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিােহী গ্রুপের সাথে সে দেশের সেনা বাহিনীর মধ্যে সহিংস ঘটনার পর সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে দলে দলে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে থাকে। একইভাবে নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পানি সীমানা অতিক্রম করে রোহিঙ্গারা নৌকা নিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে।  সূত্র: দৈনিক নয়া দিগন্ত

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

রাষ্ট্রপতিকে এরদোগানের ফোন : নাফ নদী থেকে আরো ২৩ লাশ উদ্ধার : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪

প্রকাশের সময় : ১২:৩৫:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঢাকা: মিয়ানমারের সামরিক সরকার রোহিঙ্গা মুসলামানদের উপর চরম নিপীড়ন-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। উদ্ভুত পরিস্থিতে বচার তাগিদে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, টেকনাফের নাফ নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো ২৩ রোহিঙ্গা নারী পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিরাজমান পরিস্থিতি ও মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর চলমান নিপীড়ন ও মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ফোনে এক উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের প্রতি তুরস্কের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে তিনি রাষ্ট্রপতিকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এবিষয়ে তুরস্ক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে অবহিত করেন। রোহিঙ্গা বিষয়ক সমস্যাটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের আলোচনায় উপস্থাপনে তুরস্কের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দেন।
বাসস জানায়, সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির জন্য সমবেদনা ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছে তুরস্ক। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তায়িপ এরদোয়ান বৃহস্পতিবার (৩১ আগষ্ট) রাতে টেলিফোন করে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যার ক্ষয়ক্ষতির জন্য তুরস্কের জনগণের আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন ও এযাবতকালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় এবং চলমান সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ গৃহীত পদক্ষেপসমূহের প্রশংসা করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা জানানো হয়েছে।
টেলিফোনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বর্তমান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিরাজমান পরিস্থিতি ও মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর চলমান নিপীড়ন ও মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের প্রতি তুরস্কের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে তিনি রাষ্ট্রপতিকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এবিষয়ে তুরস্ক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে অবহিত করেন। রোহিঙ্গা বিষয়ক সমস্যাটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের আলোচনায় উপস্থাপনে তুরস্কের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তুরস্কের রাষ্ট্রপতিকে এবং তুরস্কের জনগণকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে টেলিফোন আলাপ ও বাংলাদেশের প্রতি তাঁর সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি অত্যাচার ও দমন-পীড়নের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ৩০ বৎসরেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশ গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, সীমিত সম্পদ ও অন্যান্য সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি-নীতি অনুযায়ী মায়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা মুসলিমদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থানের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিবেশগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ তাদের প্রতি খাদ্য, বাসস্থান, ওষুধ, শিক্ষা ও অন্যান্য সকল সুবিধাদি প্রদান অব্যাহত রেখেছে। তিনি অবিলম্বে সহিংসতা থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে মায়ানমারের সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং কাফি আনান কমিশনের সুপারিশসমূহ অবিলম্বে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ বিষয়ে তিনি ওআইসি, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তুরস্কের অব্যাহত সহায়তা কামনা করেন এবং তুরস্কের ভবিষ্যত সহায়তার অভিপ্রায়কে স্বাগত জানান।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে তিনি ভবিষ্যতে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং রোহিঙ্গা সমস্যায় তুরস্কের সমর্থন ও তাঁর টেলিফোন কলের জন্য আবারো ধন্যবাদ জানান।
অপরদিকে কক্সবাজার থেকে গোলাম আজম খান জানান, টেকনাফের নাফ নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো ২৩ রোহিঙ্গা নারী পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের গোদামপাড়া, ওয়াব্রাং, মৌলভীবাজার ও শাহপরীরদ্বীপ এলাকা থেকে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফের হ্নীলা ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, আজ ভোর সকাল থেকে হ্নীলার নাফ নদীর গোদামপাড়া, ওয়াব্রাং, মৌলভীবাজার পয়েন্টে কিছু লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা আমাকে জানালে আমি বিজিবিকে খবর দিই। পরে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশগুলো উদ্ধার চালাচ্ছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন জানান, শুক্রবার সকালে নাফ নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৬জন নারী ও শিশুদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ২জন সাবরাং-শাহপরীরদ্বীপে থেকে উদ্ধার করা হয়। বিজিবি’র মাধ্যমে খবর পেয়ে টেকনাফ থানার পুলিশের একটি দল লাশগুলো উদ্ধার করে।
এর আগে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ থেকে পৃথকভাবে ২৩ নারী ও শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ৪৪ জনের রোহিঙ্গা নারী ও শিশুর লাশ উদ্ধার করা হলো। উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিােহী গ্রুপের সাথে সে দেশের সেনা বাহিনীর মধ্যে সহিংস ঘটনার পর সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে দলে দলে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে থাকে। একইভাবে নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পানি সীমানা অতিক্রম করে রোহিঙ্গারা নৌকা নিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে।  সূত্র: দৈনিক নয়া দিগন্ত