নিউইয়র্ক ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রামপালে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৩৩ বার পঠিত

রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। পুরোনো ছবি

উৎপাদনে যেতে না যেতেই কয়লা সংকটে এক মাস বন্ধ থাকার পরে আবারও উৎপাদনে যাচ্ছে বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। কয়লা আমদানি হওয়ায় আজ বুধবার থেকে কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। কয়লা সংকটের কারণে গত ১৪ জানুয়ারি উৎপাদন বন্ধ করেছিল ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা জানান, কয়লা আমদানি ও সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানি করতে না পারায় গত ১৪ জানুয়ারি রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে কয়লা আমদানির চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) কর্তৃপক্ষ।

বন্ধ হওয়ার ২৬ দিন পরে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩০ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলাবন্দরে আসে বিদেশি জাহাজ। পরে এই কয়লা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা ইয়ার্ডে আনা হয়। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরও একটি জাহাজ মোংলা আসার কথা রয়েছে। কেন্দ্রটিতে কয়লা মজুতের সক্ষমতা রয়েছে তিন মাসের। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী, এক মাসের কয়লা মজুত রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ডলার সংকটে এতদিন কেন্দ্রটিতে কয়লার কোনো মজুদ ছিল না। অন্যদিকে কয়লা ও ডলার সংকটের মধ্যেও আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। ১ মাস পর রামপালে আবার শুরু হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বন্ধ হওয়া প্রথম ইউনিট থেকে আবারও উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। কয়লা আমদানিতে যে জটিলতা ছিল তা এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। আশা করি, এখন থেকে নিয়মিত উৎপাদন করা সম্ভব হবে।‘আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট প্রতিদিন চালিয়ে রাখতে পাঁচ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হয়। সেই অনুযায়ী, ৩০ হাজার টন কয়লা দিয়ে মাত্র ছয় দিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালানো যাবে। পরবর্তীতে ৫০ হাজার টন কয়লা এলে তা দিয়ে কেন্দ্রটি আরও ১০ দিন চালানো যাবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জেটিতে ভিড়তে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।’ সূত্রঃ কালবেলা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রামপালে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু

প্রকাশের সময় : ০১:৫৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

উৎপাদনে যেতে না যেতেই কয়লা সংকটে এক মাস বন্ধ থাকার পরে আবারও উৎপাদনে যাচ্ছে বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। কয়লা আমদানি হওয়ায় আজ বুধবার থেকে কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। কয়লা সংকটের কারণে গত ১৪ জানুয়ারি উৎপাদন বন্ধ করেছিল ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা জানান, কয়লা আমদানি ও সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানি করতে না পারায় গত ১৪ জানুয়ারি রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে কয়লা আমদানির চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) কর্তৃপক্ষ।

বন্ধ হওয়ার ২৬ দিন পরে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩০ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলাবন্দরে আসে বিদেশি জাহাজ। পরে এই কয়লা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা ইয়ার্ডে আনা হয়। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরও একটি জাহাজ মোংলা আসার কথা রয়েছে। কেন্দ্রটিতে কয়লা মজুতের সক্ষমতা রয়েছে তিন মাসের। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী, এক মাসের কয়লা মজুত রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ডলার সংকটে এতদিন কেন্দ্রটিতে কয়লার কোনো মজুদ ছিল না। অন্যদিকে কয়লা ও ডলার সংকটের মধ্যেও আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। ১ মাস পর রামপালে আবার শুরু হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বন্ধ হওয়া প্রথম ইউনিট থেকে আবারও উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। কয়লা আমদানিতে যে জটিলতা ছিল তা এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। আশা করি, এখন থেকে নিয়মিত উৎপাদন করা সম্ভব হবে।‘আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট প্রতিদিন চালিয়ে রাখতে পাঁচ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হয়। সেই অনুযায়ী, ৩০ হাজার টন কয়লা দিয়ে মাত্র ছয় দিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালানো যাবে। পরবর্তীতে ৫০ হাজার টন কয়লা এলে তা দিয়ে কেন্দ্রটি আরও ১০ দিন চালানো যাবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জেটিতে ভিড়তে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।’ সূত্রঃ কালবেলা