নিউইয়র্ক ০৭:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যে কারণে কমেছে আয়ু

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪৫ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক :  প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু কমেছে। এখন দেশে একজন মানুষের গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছর। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত সোমবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে। বছর বছর গড় আয়ু বাড়ার তথ্য দিয়ে আসছে বিবিএস। কিন্তু হঠাৎ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে করোনা মহামারিকে সামনে এনেছে বিবিএস। যদিও এটিই একমাত্র কারণ নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, গড় আয়ু কমলে এর পেছনে আরও বেশকিছু কারণ থাকতে পারে। বিবিএস জানিয়েছে, করোনা মহামারির কারণে মৃত্যু হার বৃদ্ধি পাওয়ায় গড় আয়ু কমেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটিই একমাত্র কারণ নয়। তাদের মতে, মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা কমেছে। জীবন ধারণ কিছুটা কষ্টকর হয়ে গেছে।

সঠিকভাবে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না। এ ছাড়া খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতির কারণে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এসব কারণে গড় আয়ু কমেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কোভিডের কারণে মৃত্যু গড় আয়ু কমার কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, এখন দেশে মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছর। পুরুষের গড় আয়ু এখন ৭০ দশমিক ৬ বছর, আর নারীর গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ১ বছর। অর্থাৎ পুরুষের তুলনায় নারীর গড় আয়ু ৩.৫ বছর বেশি। এর আগের বছরের প্রতিবেদনের অনুযায়ী, মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ দশমিক ৮ বছর। ২০২০ ও ২০২১ সালে সবমিলিয়ে ২৮ হাজার ৭২ জন মানুষ কোভিডে মারা গেছেন। কোভিড পরবর্তী নানা জটিলতাওয়ে মানুষ মারা গেছেন। ফলে গড় আয়ু কমেছে বলে মনে করছেন বিবিএসের কর্মকর্তারা।

আরোও পড়ুন। সিটি নির্বাচন নিয়ে যা ভাবছে বিএনপি

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা ডা. মোজাহেরুল হক মানবজমিনকে বলে বলেন, করোনায় মৃত্যুগুলো বিবিএসের পরিসংখ্যানে চলে এসেছে। এ কারণে গড় আয়ু কমেছে। তবে সার্বিক দিক বিবেচনা করলে আরও কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, বাংলাদেশের মানুষ সত্যিকারের স্বাস্ব্যসেবা সঠিকভাবে পায় না। এটা আগে থেকেই ছিল। দেশের গরিব মানুষের যখন কোনো রোগ হয় তখন অর্থনৈতিক কারণে এটা এফোর্ট করতে পারে না। রোগ যখন জটিল হয়ে যায় তখন চিকিৎসা করাতে যায়। তখন অনেক সময় তাদেরকে বাঁচানো যায় না। এ ছাড়া বায়ু দূষণের কারণে অনেক মানুষ শ্বাসজনিত কারণে মারা যাচ্ছে। একইসঙ্গে লাং এবং হার্টের রোগের কারণেও অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। তাছাড়া অর্থনৈতিক কারণে মানুষের খাদ্য ও পুষ্টিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে। আবার রোগ হলে সঠিক সেবাটা পায় না। ফলে মানুষ মারা যাচ্ছে বেশি। যা গড় আয়ুতে প্রভাব ফেলেছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ডা. লেলিন চৌধুরী মনে করেন, করোনার কারণে মৃত্যু হার বেড়ে যাওয়ায় সার্বিকভাবে গড় আয়ু কম দেখা যাচ্ছে। করোনার মৃত্যু বিবিএসের প্রতিবেদনে যোগ না হলে গড় আয়ু আগের মতোই থাকতো বলে মনে করেন তিনি। লেলিন চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, কোভিডে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেইসঙ্গে এর প্রভাবে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা বেড়েছে। গড় আয়ু কমার পেছনে এটিই প্রধান কারণ। এ ছাড়া কোভিডকালীন সময়ে শিশুদের ভাইরাসজনিত রোগও বেড়েছিল। এসব কারণে গড় আয়ু কমেছে। যদি কোভিড না আসতো তাহলে গড় আয়ু সম্ভবত অপরিবর্তিত থাকতো।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। জীবন ধারণ কিছুটা কষ্টকর হয়ে গেছে। খাদ্য ও পুষ্টির সমস্যার কারণে নানা রোগ বালাই হচ্ছে। যথা সময়ে মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। একইসঙ্গে মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা কমেছে। শারীরিক এবং মানসিকভাবে মানুষ ভালো নেই। আবার অর্থ না থাকলেও তো প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পাওয়ার কথা সেটাতো পাচ্ছে না। সুতরাং অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং মানুষের খাদ্য, পুষ্টি ও সিকিৎসা যথাযথভাবে হচ্ছে না বলেই আয়ু কমে যাচ্ছে। এখান থেকে বের হয়ে আসতে হলে সাধারণ মানুষের খাদ্য ও চিকিৎসার দিকে সরকারের নজর দেয়া উচিত।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ বছর। জনসংখ্যার গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমে যাওয়ায় গত এক দশকে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে অগ্রগতি হয়েছে। দেশ থেকে যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া ও পোলিওর মতো সংক্রামক রোগ নির্মূলের পথে রয়েছে। পাশাপাশি ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার চিকিৎসার উন্নতি হয়েছে। তবে একইসঙ্গে দেশে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে অসংক্রামক রোগ। ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত এবং মারা যাওয়ার হার বাড়ছে। স্বাস্থ্য খাত ক্রমবর্ধমান বেসরকারিকরণের ফলে চিকিৎসা ব্যয় বেড়েছে গত এক দশকে। জনসংখ্যার গড় আয়ু একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এটি দিয়ে যেকোনো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মূল্যায়ন করা যায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুসারে, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের গড় আয়ু ছিল ৬৭.২ বছর। এরপর থেকে বৃদ্ধির প্রবণতা থাকলেও এবারই প্রথমবারের মতো কমেছে। সূত্র : মানবজমিন
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যে কারণে কমেছে আয়ু

প্রকাশের সময় : ১২:১৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক :  প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু কমেছে। এখন দেশে একজন মানুষের গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছর। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত সোমবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে। বছর বছর গড় আয়ু বাড়ার তথ্য দিয়ে আসছে বিবিএস। কিন্তু হঠাৎ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে করোনা মহামারিকে সামনে এনেছে বিবিএস। যদিও এটিই একমাত্র কারণ নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, গড় আয়ু কমলে এর পেছনে আরও বেশকিছু কারণ থাকতে পারে। বিবিএস জানিয়েছে, করোনা মহামারির কারণে মৃত্যু হার বৃদ্ধি পাওয়ায় গড় আয়ু কমেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটিই একমাত্র কারণ নয়। তাদের মতে, মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা কমেছে। জীবন ধারণ কিছুটা কষ্টকর হয়ে গেছে।

সঠিকভাবে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না। এ ছাড়া খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতির কারণে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এসব কারণে গড় আয়ু কমেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কোভিডের কারণে মৃত্যু গড় আয়ু কমার কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, এখন দেশে মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছর। পুরুষের গড় আয়ু এখন ৭০ দশমিক ৬ বছর, আর নারীর গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ১ বছর। অর্থাৎ পুরুষের তুলনায় নারীর গড় আয়ু ৩.৫ বছর বেশি। এর আগের বছরের প্রতিবেদনের অনুযায়ী, মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ দশমিক ৮ বছর। ২০২০ ও ২০২১ সালে সবমিলিয়ে ২৮ হাজার ৭২ জন মানুষ কোভিডে মারা গেছেন। কোভিড পরবর্তী নানা জটিলতাওয়ে মানুষ মারা গেছেন। ফলে গড় আয়ু কমেছে বলে মনে করছেন বিবিএসের কর্মকর্তারা।

আরোও পড়ুন। সিটি নির্বাচন নিয়ে যা ভাবছে বিএনপি

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা ডা. মোজাহেরুল হক মানবজমিনকে বলে বলেন, করোনায় মৃত্যুগুলো বিবিএসের পরিসংখ্যানে চলে এসেছে। এ কারণে গড় আয়ু কমেছে। তবে সার্বিক দিক বিবেচনা করলে আরও কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, বাংলাদেশের মানুষ সত্যিকারের স্বাস্ব্যসেবা সঠিকভাবে পায় না। এটা আগে থেকেই ছিল। দেশের গরিব মানুষের যখন কোনো রোগ হয় তখন অর্থনৈতিক কারণে এটা এফোর্ট করতে পারে না। রোগ যখন জটিল হয়ে যায় তখন চিকিৎসা করাতে যায়। তখন অনেক সময় তাদেরকে বাঁচানো যায় না। এ ছাড়া বায়ু দূষণের কারণে অনেক মানুষ শ্বাসজনিত কারণে মারা যাচ্ছে। একইসঙ্গে লাং এবং হার্টের রোগের কারণেও অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। তাছাড়া অর্থনৈতিক কারণে মানুষের খাদ্য ও পুষ্টিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে। আবার রোগ হলে সঠিক সেবাটা পায় না। ফলে মানুষ মারা যাচ্ছে বেশি। যা গড় আয়ুতে প্রভাব ফেলেছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ডা. লেলিন চৌধুরী মনে করেন, করোনার কারণে মৃত্যু হার বেড়ে যাওয়ায় সার্বিকভাবে গড় আয়ু কম দেখা যাচ্ছে। করোনার মৃত্যু বিবিএসের প্রতিবেদনে যোগ না হলে গড় আয়ু আগের মতোই থাকতো বলে মনে করেন তিনি। লেলিন চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, কোভিডে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেইসঙ্গে এর প্রভাবে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা বেড়েছে। গড় আয়ু কমার পেছনে এটিই প্রধান কারণ। এ ছাড়া কোভিডকালীন সময়ে শিশুদের ভাইরাসজনিত রোগও বেড়েছিল। এসব কারণে গড় আয়ু কমেছে। যদি কোভিড না আসতো তাহলে গড় আয়ু সম্ভবত অপরিবর্তিত থাকতো।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। জীবন ধারণ কিছুটা কষ্টকর হয়ে গেছে। খাদ্য ও পুষ্টির সমস্যার কারণে নানা রোগ বালাই হচ্ছে। যথা সময়ে মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। একইসঙ্গে মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা কমেছে। শারীরিক এবং মানসিকভাবে মানুষ ভালো নেই। আবার অর্থ না থাকলেও তো প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পাওয়ার কথা সেটাতো পাচ্ছে না। সুতরাং অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং মানুষের খাদ্য, পুষ্টি ও সিকিৎসা যথাযথভাবে হচ্ছে না বলেই আয়ু কমে যাচ্ছে। এখান থেকে বের হয়ে আসতে হলে সাধারণ মানুষের খাদ্য ও চিকিৎসার দিকে সরকারের নজর দেয়া উচিত।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ বছর। জনসংখ্যার গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমে যাওয়ায় গত এক দশকে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে অগ্রগতি হয়েছে। দেশ থেকে যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া ও পোলিওর মতো সংক্রামক রোগ নির্মূলের পথে রয়েছে। পাশাপাশি ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার চিকিৎসার উন্নতি হয়েছে। তবে একইসঙ্গে দেশে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে অসংক্রামক রোগ। ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত এবং মারা যাওয়ার হার বাড়ছে। স্বাস্থ্য খাত ক্রমবর্ধমান বেসরকারিকরণের ফলে চিকিৎসা ব্যয় বেড়েছে গত এক দশকে। জনসংখ্যার গড় আয়ু একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এটি দিয়ে যেকোনো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মূল্যায়ন করা যায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুসারে, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের গড় আয়ু ছিল ৬৭.২ বছর। এরপর থেকে বৃদ্ধির প্রবণতা থাকলেও এবারই প্রথমবারের মতো কমেছে। সূত্র : মানবজমিন
সুমি/হককথা