যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ল’ফার্ম নিয়োগ দেবে সরকার

- প্রকাশের সময় : ০৭:০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১০৭ বার পঠিত
ঢাকা ডেস্ক : মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে যুক্তরাষ্ট্রে ল’ফার্ম নিয়োগের কথা ভাবছে বাংলাদেশ সরকার।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন সচিবসহ বিভিন্ন বাহিনী প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এমন কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের মাধ্যমে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। ওটাতেও অনেক প্রভিশন (বিধান) আছে। যেখানে লিগ্যাল ফোর্স (আইনি ব্যবস্থা) নেওয়ার ব্যাপার আছে। সেখানে কী কী শর্ত থাকে, সেগুলো নিয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ল’ফার্মকে হয়তো এনগেজ করার বিষয় থাকতে পারে। সেগুলো আমরা দেখছি।’
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ও পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ রয়েছেন। এছাড়া, র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা নিতে সম্মত বাংলাদেশ
অন্যদিকে, নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা নিতে যে বাধ্যবাধকতা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, তাতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। তবে এখনও সম্মতির বিভিন্ন শর্তাবলী যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।
তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আজকে দ্বিতীয় বৈঠক হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরও আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের শর্তাবলী যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরপর দেশটির সঙ্গে সম্মতি বা সম্পৃক্ততার ব্যাপারে জানানো হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো কথা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অতীতের কোনো রেকর্ড নয়, আগামীর সহযোগিতার জন্যই এ সম্মতিপত্র।
গত ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে পাঠানো এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, লিহেই আইনের নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, মার্কিন অনুদানপ্রাপ্তি অব্যাহত রাখতে চাইলে একটি চুক্তি সই করতে হবে। বাংলাদেশ এ চুক্তি করবে কি না, সে বিষয়ে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জবাব দিতে হবে। বাংলাদেশ কোথায়, কীভাবে ওই অনুদান ব্যবহার করছে, সেটাও যুক্তরাষ্ট্রকে জানাতে হবে।
তবে ১৫ ডিসেম্বরের আগে চুক্তির ব্যাপারে প্রস্তুতির কাজগুলো শেষ করা সম্ভব না হওয়ায় ঢাকার অনুরোধে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ায় ওয়াশিংটন। এরপরই নিরাপত্তা খাতে অনুদান পেতে চুক্তিতে সম্মত হয় বাংলাদেশ। খবর সাম্প্রতিক দেশকাল