যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে ইতিবাচক থাকলেও সতর্ক বিএনপি
- প্রকাশের সময় : ০৭:০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
- / ৭১ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : চলমান সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শর্তহীন সংলাপের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে আহ্বান জানিয়েছে এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিএনপি। দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সতর্কভাবে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। শিগগির বিএনপির পক্ষ থেকে লিখিতভাবে এ বিষয়ে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসকে জানানো হবে।
সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে সংলাপের চিঠি পেয়েছে বিএনপি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিঠি পাওয়ার কথা সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সংলাপের আহ্বান নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া কোনো ধরনের সংলাপে বিএনপি অংশ নেবে না এমন অবস্থান থেকে দলটির কিছুটা সরে আসার আভাস মিলছে। বিএনপি এখন নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে সংলাপ করতে আগ্রহী। তবে সংলাপের আগে দলীয় নেতাদের মুক্তির বিষয় নিয়েও নেতারা চিন্তা-ভাবনা করছেন। কারণ নেতাদের মুক্তি ছাড়া কার সঙ্গে সংলাপ হবে সেটাই বড় প্রশ্ন।
রাজপথে সংঘাত-সহিংসতা এড়িয়ে সংলাপের মাধ্যমে যদি নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে রাজনৈতিক সমঝোতা করা যায় সেটা দেশ ও জনগণের জন্য মঙ্গলজনক। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সেই অপশনটি ব্যবহার করতে চায়। তবে সংলাপ ফলপ্রসূ না হলে সেক্ষেত্রে রাজপথে সমাধান আদায়ের ব্যাপারেও নেতাকর্মীদের অবস্থান থাকবে।
পাশাপাশি নির্বাচনের তফসিল যদি পিছিয়ে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে সংলাপ নিয়ে সরকারের একটা ইতিবাচক মনোভাবের প্রতিফলন থাকতে পারে এমন ধারণা রয়েছে বিএনপিতে। আর সংলাপে বসলে বিএনপি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের ব্যাপারটিই এজেন্ডা হিসেবে রাখতে চায়। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবে তারা। সার্বিক পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বন করছে বিএনপি। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর চিঠিকে রাজনৈতিক ঝড়ের পূর্বাভাস হিসেবেও দেখা হচ্ছে। এই লুর দেওয়া এক চিঠির কয়েকদিন পরই পাকিস্তানের ইমরান খান সরকারের করুণ পরিণতি হয়।
দলটির নেতাদের একাংশ মনে করছে, রাজপথে সংঘাত সহিংসতা এড়িয়ে সংলাপের মাধ্যমে যদি নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে রাজনৈতিক সমঝোতা করা যায় সেটা দেশ ও জনগণের জন্য মঙ্গলজনক। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সেই অপশনটি ব্যবহার করতে চায়। তবে সংলাপ ফলপ্রসূ না হলে সেক্ষেত্রে রাজপথে সমাধান আদায়ের ব্যাপারেও নেতাকর্মীদের অবস্থান থাকবে।
সংলাপে বসলে বিএনপি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের ব্যাপারটিই এজেন্ডা হিসেবে রাখতে চায়। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজনীয়তা তুলেও ধরবে। সার্বিক পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বন করছে বিএনপি। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর চিঠিকে রাজনৈতিক ঝড়ের পূর্বাভাস হিসেবেও দেখা হচ্ছে। এই লুর দেওয়া এক চিঠির কয়েকদিন পরই পাকিস্তানে ইমরান খান সরকারের করুণ পরিণতি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জাগো নিউজকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপের আহ্বান দল ইতিবাচকভাবেই দেখছে। সার্বিক বিষয় নেতারা সতর্কভাবে পর্যালোচনা করছেন। পর্যালোচনা শেষে শিগগির চিঠির জবাব লিখিতভাবে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসকে জানানো হবে।
প্রধান তিন রাজনৈতিক দলকে শর্তহীন সংলাপের যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান বিএনপি নেতারা কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সেটা বিএনপি জানাবে।’
তিনি বলেন, ওরা চেষ্টা করছে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে। মনে হচ্ছে এটা তাদের এই মুহূর্তের উদ্দেশ্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া কোনো ধরনের সংলাপে বিএনপি অংশ নেবে না এমন অবস্থান থেকে দলটির কিছুটা সরে আসার আভাস মিলছে। বিএনপি এখন নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে সংলাপ করতে আগ্রহী। তবে সংলাপের আগে দলীয় নেতাদের মুক্তির বিষয় নিয়েও নেতারা চিন্তা-ভাবনা করছেন। কারণ নেতাদের মুক্তি ছাড়া কার সঙ্গে সংলাপ হবে সেটাই বড় প্রশ্ন।
সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসও এমন শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বেগম সেলিমা রহমান জাগো নিউজকে বলেছিলেন, ‘আমাদের কথা আছে, আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, তারপর সংলাপ। মহাসচিব যে মন্তব্য করেছিলেন আমারও সেই একই কথা। আমি এ নিয়ে এ মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করবো না।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে কোনো শর্ত ছাড়াই সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এরইমধ্যে এ তিন দলের নেতাদের কাছে চিঠি পৌঁছে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। তবে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি বিএনপি ও জাতীয় পার্টি নিশ্চিত করলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ সম্পর্কে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। সূত্র : জাগো নিউজ 24.com
হককথা/নাছরিন