নিউইয়র্ক ০৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যাদের স্যাংশন দেবে, তাদের কাছেই নিরাপত্তা চাইবে!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩
  • / ২৬ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা সংস্থার ওপর স্যাংশন দেবে, আবার তাদের কাছ থেকে নিরাপত্তা চাইবে— এটা কেমন কথা!

নিরাপত্তা হুমকি নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের অভিযোগ প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরতে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেখানে শেখ হাসিনা বলেন, আমেরিকায় যিনি অ্যাম্বাসেডর আছেন, তাকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম— আমেরিকা সরকার থেকে আমার অ্যাম্বাসেডরকে কি ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তিনি বললেন— শুধু আমাদের এম্বাসিতে তারা কিছু নিরাপত্তা দেয়। তখন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন— আমরা তো আমেরিকা এম্বাসিতে নিরাপত্তার জন্য ১৫৮ জন পুলিশকে ডিপ্লয় করেছি এবং এখানে যে অ্যাম্বাসেডর আছে তার জন্য গানম্যান দেওয়া আছে সিভিল ড্রেসে। কাজেই এখানে তার নিরাপত্তার তো এমন কোনো ঘাটতি নেই।

তিনি বলেন, হোলি আর্টিজানের পর কয়েকটা দেশ শঙ্কিত ছিল, তখন তাদের কিছু আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। হলি আর্টিজানের পর আমাদের দেশে আর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়নি। এর বাইরেও তো অনেক অ্যাম্বাসি আছে, যারা বলে যে ওরা পেলে আমরা কেন পাব না। তাছাড়া এখন সেরকম কোনো অসুবিধা নেই। আমাদেরও পুলিশ দরকার এখন সারা দেশের জন্য। কাজেই সেটা উইড্র করা হয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে তো গানম্যান দেওয়া আছে। এছাড়া তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার ব্যবস্থাও কিন্তু অ্যাম্বাসির ভেতর আছে। এটা নিয়ে বারবার প্রশ্ন হচ্ছে, কিন্তু এটার কোনো অর্থ নেই। আমার অ্যাম্বাসেডর তো কোনো নিরাপত্তা পায় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকাতে প্রতিদিনই গুলি হয়। স্কুলে গুলি, শপিংমলে গুলি, খাবার দোকানে গুলি, বাড়ির ভেতরে গিয়ে গুলি করে মানুষ মেরে ফেলে। আমরা তো এমনিতেই শঙ্কায় থাকি আমাদের দেশের মানুষদের নিয়ে। বাঙালি এক মহিলা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল তাকে ছুরি মারা হলো। একজন মুক্তিযোদ্ধা মসজিদ থেকে ফিরছিলেন তাকে গুলি করে মারা হলো। আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্টকে মারল। যত্রতত্র গোলাগুলি- তাদের নিজেদের দেশ তো তাদের নিজেদেরই সামাল দেওয়া উচিত। ওখানে নিরাপত্তা সমস্যা, আমাদের দেশে তো নিরাপত্তা সমস্যা নেই। আমরা সন্ত্রাসবাদ জঙ্গিবাদকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছি। অন্তত সেটি তো এখন আমরা কয়েক বছর ধরে রাখতে পেরেছি। আমাদের যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা তারা অনেক ভালো কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা সংস্থার প্রতি স্যাংশন দেবে, আবার তাদের কাছ থেকে নিরাপত্তা চাইবে- এটা আবার কেমন কথা। আমি সেই প্রশ্নটাও করেছি।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবেশন শেষে গত ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি যুক্তরাজ্যে যান। দুই দেশে মোট ১৬ দিনের সফর শেষে তিনি গত ৪ অক্টোবর দেশে ফিরেন।

নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৭-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন এবং এর ফাঁকে অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা ২৩-২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।

প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান। এরপর লন্ডনে গিয়ে বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ে গঠিত এপিপিজির সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলীর নেতৃত্বে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) এক প্রতিনিধিদলসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজন তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সূত্র,ঢাকা পোষ্ট।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যাদের স্যাংশন দেবে, তাদের কাছেই নিরাপত্তা চাইবে!

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা সংস্থার ওপর স্যাংশন দেবে, আবার তাদের কাছ থেকে নিরাপত্তা চাইবে— এটা কেমন কথা!

নিরাপত্তা হুমকি নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের অভিযোগ প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরতে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেখানে শেখ হাসিনা বলেন, আমেরিকায় যিনি অ্যাম্বাসেডর আছেন, তাকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম— আমেরিকা সরকার থেকে আমার অ্যাম্বাসেডরকে কি ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তিনি বললেন— শুধু আমাদের এম্বাসিতে তারা কিছু নিরাপত্তা দেয়। তখন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন— আমরা তো আমেরিকা এম্বাসিতে নিরাপত্তার জন্য ১৫৮ জন পুলিশকে ডিপ্লয় করেছি এবং এখানে যে অ্যাম্বাসেডর আছে তার জন্য গানম্যান দেওয়া আছে সিভিল ড্রেসে। কাজেই এখানে তার নিরাপত্তার তো এমন কোনো ঘাটতি নেই।

তিনি বলেন, হোলি আর্টিজানের পর কয়েকটা দেশ শঙ্কিত ছিল, তখন তাদের কিছু আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। হলি আর্টিজানের পর আমাদের দেশে আর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়নি। এর বাইরেও তো অনেক অ্যাম্বাসি আছে, যারা বলে যে ওরা পেলে আমরা কেন পাব না। তাছাড়া এখন সেরকম কোনো অসুবিধা নেই। আমাদেরও পুলিশ দরকার এখন সারা দেশের জন্য। কাজেই সেটা উইড্র করা হয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে তো গানম্যান দেওয়া আছে। এছাড়া তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার ব্যবস্থাও কিন্তু অ্যাম্বাসির ভেতর আছে। এটা নিয়ে বারবার প্রশ্ন হচ্ছে, কিন্তু এটার কোনো অর্থ নেই। আমার অ্যাম্বাসেডর তো কোনো নিরাপত্তা পায় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকাতে প্রতিদিনই গুলি হয়। স্কুলে গুলি, শপিংমলে গুলি, খাবার দোকানে গুলি, বাড়ির ভেতরে গিয়ে গুলি করে মানুষ মেরে ফেলে। আমরা তো এমনিতেই শঙ্কায় থাকি আমাদের দেশের মানুষদের নিয়ে। বাঙালি এক মহিলা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল তাকে ছুরি মারা হলো। একজন মুক্তিযোদ্ধা মসজিদ থেকে ফিরছিলেন তাকে গুলি করে মারা হলো। আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্টকে মারল। যত্রতত্র গোলাগুলি- তাদের নিজেদের দেশ তো তাদের নিজেদেরই সামাল দেওয়া উচিত। ওখানে নিরাপত্তা সমস্যা, আমাদের দেশে তো নিরাপত্তা সমস্যা নেই। আমরা সন্ত্রাসবাদ জঙ্গিবাদকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছি। অন্তত সেটি তো এখন আমরা কয়েক বছর ধরে রাখতে পেরেছি। আমাদের যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা তারা অনেক ভালো কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা সংস্থার প্রতি স্যাংশন দেবে, আবার তাদের কাছ থেকে নিরাপত্তা চাইবে- এটা আবার কেমন কথা। আমি সেই প্রশ্নটাও করেছি।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবেশন শেষে গত ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি যুক্তরাজ্যে যান। দুই দেশে মোট ১৬ দিনের সফর শেষে তিনি গত ৪ অক্টোবর দেশে ফিরেন।

নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৭-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন এবং এর ফাঁকে অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা ২৩-২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।

প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান। এরপর লন্ডনে গিয়ে বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ে গঠিত এপিপিজির সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলীর নেতৃত্বে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) এক প্রতিনিধিদলসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজন তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সূত্র,ঢাকা পোষ্ট।