নিউইয়র্ক ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মিডিয়ার কারণে বিদেশিরা নিজেদের রাজা মনে করে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৫৪ বার পঠিত

বাংলাদেশের মতো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অন্য কোথাও নেই বলে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিডিয়ার কারণে বিদেশিরা পাত্তা পাচ্ছে। আপনারা (মিডিয়া) বিদেশিদের কাভার বন্ধ করে দেন। দেখবেন, তারা ঘরে বসে থাকবে। আপনাদের কারণে তারা মজা পায়। তারা নিজেদের এ দেশের রাজা মনে করে। এখানে সাড়ে ১২ হাজার পত্রিকা এবং ৪৫টি টেলিভিশন আছে। ১৮টি সাময়িকী বের হয়। আর কোথায় এমন আছে?

বুধবার (৪ জানুয়ারি) সিলেটের ইপিআই ভবনে সিভিল সার্জনের কার্যালয় আয়োজিত কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ সবক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি করেছে। আমরা দারিদ্র অর্ধেকে নামিয়ে এনেছি। আমরা উন্নতি করছি তাই অনেকের চোখে পড়ছে। অনেকে ফায়দাও লুটতে চাচ্ছেন। এখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। কিন্তু আমাদের কিছু লোকজন চায় না শান্তি হোক। কারণ অশান্তি হলে তাদের ব্যক্তিগত ফায়দা হয়। এজন্য বিভিন্ন লোকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে তারা অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়।

বিরোধী দল দেশে উন্নতি চায় না বলে বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে মন্তব্য করে মোমেন বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম দেশ, যেখানে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকারের জন্য এত লোক পৃথিবীর আর কোথাও রক্ত দেয়নি। এখানে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে গণতন্ত্র রয়েছে। অথচ বিদেশিরা মাঝেমধ্যে আমাদের যে সুপারিশ দেয়, সেগুলো খুব অলীক মনে হয়। তারা এসেছে আমাদের মানবাধিকার আর গণতন্ত্র বোঝাতে।

বাংলাদেশের নির্বাচনে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ লোক ভোট দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক দেশে ২৫-৩০ শতাংশ লোকও ভোট দেয় না। সেসব দেশে নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ এদেশে একেকটি পদে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরপর তারা বকবক করে। নিজের দিকে তাকায় না।

কমিউনিটি ক্লিনিক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের কারণে দেশে মাতৃমৃত্যু-শিশুমৃত্যু অনেক কমে গেছে। আগে মৃত্যুর হার ছিল ৮৬ শতাংশ। এর মধ্যে সিলেটে শিশুমৃত্যু-মাতৃমৃত্যু সবচেয়ে বেশি ছিল। এখন সেটা অনেক কমে এসেছে। সিলেটে আরও সাতটি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের ২৪ টি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রয়োজন। আশা করছি, এগুলো শিগগিরই পেয়ে যাবো।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মিডিয়ার কারণে বিদেশিরা নিজেদের রাজা মনে করে

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশের মতো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অন্য কোথাও নেই বলে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিডিয়ার কারণে বিদেশিরা পাত্তা পাচ্ছে। আপনারা (মিডিয়া) বিদেশিদের কাভার বন্ধ করে দেন। দেখবেন, তারা ঘরে বসে থাকবে। আপনাদের কারণে তারা মজা পায়। তারা নিজেদের এ দেশের রাজা মনে করে। এখানে সাড়ে ১২ হাজার পত্রিকা এবং ৪৫টি টেলিভিশন আছে। ১৮টি সাময়িকী বের হয়। আর কোথায় এমন আছে?

বুধবার (৪ জানুয়ারি) সিলেটের ইপিআই ভবনে সিভিল সার্জনের কার্যালয় আয়োজিত কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ সবক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি করেছে। আমরা দারিদ্র অর্ধেকে নামিয়ে এনেছি। আমরা উন্নতি করছি তাই অনেকের চোখে পড়ছে। অনেকে ফায়দাও লুটতে চাচ্ছেন। এখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। কিন্তু আমাদের কিছু লোকজন চায় না শান্তি হোক। কারণ অশান্তি হলে তাদের ব্যক্তিগত ফায়দা হয়। এজন্য বিভিন্ন লোকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে তারা অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়।

বিরোধী দল দেশে উন্নতি চায় না বলে বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে মন্তব্য করে মোমেন বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম দেশ, যেখানে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকারের জন্য এত লোক পৃথিবীর আর কোথাও রক্ত দেয়নি। এখানে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে গণতন্ত্র রয়েছে। অথচ বিদেশিরা মাঝেমধ্যে আমাদের যে সুপারিশ দেয়, সেগুলো খুব অলীক মনে হয়। তারা এসেছে আমাদের মানবাধিকার আর গণতন্ত্র বোঝাতে।

বাংলাদেশের নির্বাচনে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ লোক ভোট দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক দেশে ২৫-৩০ শতাংশ লোকও ভোট দেয় না। সেসব দেশে নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ এদেশে একেকটি পদে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরপর তারা বকবক করে। নিজের দিকে তাকায় না।

কমিউনিটি ক্লিনিক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের কারণে দেশে মাতৃমৃত্যু-শিশুমৃত্যু অনেক কমে গেছে। আগে মৃত্যুর হার ছিল ৮৬ শতাংশ। এর মধ্যে সিলেটে শিশুমৃত্যু-মাতৃমৃত্যু সবচেয়ে বেশি ছিল। এখন সেটা অনেক কমে এসেছে। সিলেটে আরও সাতটি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের ২৪ টি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রয়োজন। আশা করছি, এগুলো শিগগিরই পেয়ে যাবো।