নিউইয়র্ক ০৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মাওলানা ভাসানীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রদ্ধাভরে স্মরণ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৪৩০ বার পঠিত

আবদুল মোমিন: মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। টাঙ্গাইলসহ সারা দেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মরণ করেছেন নেটিজেনরা।

১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেন। মওলানা ভাসানী তাঁর দীর্ঘ কর্মময় জীবনে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, জীবনমান উন্নয়ন এবং সমাজ-রাষ্ট্রে গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে গেছেন নিরলসভাবে। দিবসটি যথাযোগ্যভাবে পালনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করে।
ভাসানীর শ্রদ্ধায় বশির মাহমুদি লিখেছেন, ‘মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী (ভাসানী হুজুর) দেশ ও জাতির জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। দেশ ও জাতির দুঃসময হুংকার ও খামোশ বলতেন। দিক-নির্দেশনা দিতেন। আজ দেশে ভাসানী হুজুরের মতো নেতৃত্বের অভাব। ভাসানী হুজুরের রুহের মাগফিরাত ও জান্নাতুল ফিরডাউসের জন্য দোয়া করি। আমিন।’
রফিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী মুসলিমলীগের প্রতিষ্ঠাতা। হে নেতা লক্ষ-কোটি সালাম আপনাকে। আল্লাহপাক আপনাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুক।’
‘পাকিস্তানী জান্তার অত্যাচারে যখন কেউ এগিয়ে আসেনি তখন এই মহান দেশপ্রেমিক আওয়ামী লীগ এর সভাপতি হয়েছিলেন। তার জন্য অনেক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইলো। মহান আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসিব করুন’ লিখেছেন- শহিদ মোতাহের হোসেন।
ভাসানীর অবদানকে স্মরণ করে মির্জা আরাফাত লিখেছেন, ‘আল্লাহ এই দেশপ্রেমিক নেতাকে মাগফিরাত দান করুন। ভারতের দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে ঘরে ঘরে ভাসানী তৈরি হতে হবে।’
আমিনুল হক লিখেছেন, ‘সে ছিল গরিব ও মেহনতী মানুষের নেতা। সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সংগ্রামী, সৎ, নামাজী ও দরবেশ, দূরদর্শী ও বিরল প্রতিভার।’
‘বাঙালী জাতির পরোক্ষ শত্রু রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুবার্ষিকী জাঁকজমকপূর্ণভাবে আমরা উদযাপন করতে জানি। অথচ বাঙালী জাতির প্রত্যক্ষ বন্ধু এই মহান নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা কেন ততটাই উদাসীন? হয়তো মৃত্যু পরবর্তীতে এই জঘন্য কাজটি সে তার জীবন-দশায় কখনো কামনা করেনি। তবুও এটি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অনেক দুঃখজনক’ আক্ষেপের সাথে মন্তব্য করেছেন- ইসমাইল হোসেন।
ইলিয়াস আহমেদ লিখেছেন, ‘নীর অহংকার অতিসাধারণ নির্লোভ, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের প্রেমিক মহান ব্যক্তিত্ব মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরম দয়ালু সারা জাহানের মালিক আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমীন।’
মজলুম নেতাকে স্মরণ করে নবী রূপক লিখেছেন, ‘দেশ ভুলে গেছে আমরা ভুলে গেছি। কথিত চেতনাবাজ আর পাতি বুদ্ধিজীবীদের ভিড়ে মাওলানা ভাসানী আজ তলিয়ে গেছে সাগরের অতল গভীরে। তিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক৷ দেশের স্বার্থে কাজ করতেন৷ ক্ষমতার লোভে দেশের ও জনগণের স্বার্থ বিলিয়ে দেননি।’ (দৈনিক ইনকিলাব)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

মাওলানা ভাসানীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রদ্ধাভরে স্মরণ

প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯

আবদুল মোমিন: মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। টাঙ্গাইলসহ সারা দেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মরণ করেছেন নেটিজেনরা।

১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেন। মওলানা ভাসানী তাঁর দীর্ঘ কর্মময় জীবনে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, জীবনমান উন্নয়ন এবং সমাজ-রাষ্ট্রে গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে গেছেন নিরলসভাবে। দিবসটি যথাযোগ্যভাবে পালনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করে।
ভাসানীর শ্রদ্ধায় বশির মাহমুদি লিখেছেন, ‘মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী (ভাসানী হুজুর) দেশ ও জাতির জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। দেশ ও জাতির দুঃসময হুংকার ও খামোশ বলতেন। দিক-নির্দেশনা দিতেন। আজ দেশে ভাসানী হুজুরের মতো নেতৃত্বের অভাব। ভাসানী হুজুরের রুহের মাগফিরাত ও জান্নাতুল ফিরডাউসের জন্য দোয়া করি। আমিন।’
রফিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী মুসলিমলীগের প্রতিষ্ঠাতা। হে নেতা লক্ষ-কোটি সালাম আপনাকে। আল্লাহপাক আপনাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুক।’
‘পাকিস্তানী জান্তার অত্যাচারে যখন কেউ এগিয়ে আসেনি তখন এই মহান দেশপ্রেমিক আওয়ামী লীগ এর সভাপতি হয়েছিলেন। তার জন্য অনেক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইলো। মহান আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসিব করুন’ লিখেছেন- শহিদ মোতাহের হোসেন।
ভাসানীর অবদানকে স্মরণ করে মির্জা আরাফাত লিখেছেন, ‘আল্লাহ এই দেশপ্রেমিক নেতাকে মাগফিরাত দান করুন। ভারতের দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে ঘরে ঘরে ভাসানী তৈরি হতে হবে।’
আমিনুল হক লিখেছেন, ‘সে ছিল গরিব ও মেহনতী মানুষের নেতা। সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সংগ্রামী, সৎ, নামাজী ও দরবেশ, দূরদর্শী ও বিরল প্রতিভার।’
‘বাঙালী জাতির পরোক্ষ শত্রু রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুবার্ষিকী জাঁকজমকপূর্ণভাবে আমরা উদযাপন করতে জানি। অথচ বাঙালী জাতির প্রত্যক্ষ বন্ধু এই মহান নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা কেন ততটাই উদাসীন? হয়তো মৃত্যু পরবর্তীতে এই জঘন্য কাজটি সে তার জীবন-দশায় কখনো কামনা করেনি। তবুও এটি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অনেক দুঃখজনক’ আক্ষেপের সাথে মন্তব্য করেছেন- ইসমাইল হোসেন।
ইলিয়াস আহমেদ লিখেছেন, ‘নীর অহংকার অতিসাধারণ নির্লোভ, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের প্রেমিক মহান ব্যক্তিত্ব মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরম দয়ালু সারা জাহানের মালিক আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমীন।’
মজলুম নেতাকে স্মরণ করে নবী রূপক লিখেছেন, ‘দেশ ভুলে গেছে আমরা ভুলে গেছি। কথিত চেতনাবাজ আর পাতি বুদ্ধিজীবীদের ভিড়ে মাওলানা ভাসানী আজ তলিয়ে গেছে সাগরের অতল গভীরে। তিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক৷ দেশের স্বার্থে কাজ করতেন৷ ক্ষমতার লোভে দেশের ও জনগণের স্বার্থ বিলিয়ে দেননি।’ (দৈনিক ইনকিলাব)