নিউইয়র্ক ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মন্ত্রিসভা ছোট না করার ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৫২০ বার পঠিত

ঢাকা: নির্বাচনকালীন সরকারের সময়ে বর্তমান মন্ত্রিসভা বহাল রাখার ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২২ অক্টোবর) গণভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এমন ইঙ্গিত দিয়ে কয়েকটি দেশের উদাহরণ তুলে ধরেন। তবে বিরোধী দল চাইলে ছোট মন্ত্রিসভা হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সাম্প্রতিক সৌদি আরব সফর নিয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা হলেও প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নোত্তর পর্বে সাম্প্রতিক রাজনীতি, নির্বাচন, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক জোট ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার অভিমত তুলে ধরেন। ফ্রন্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, দেশের জনগণ তাদের কিভাবে গ্রহণ করে- সেটাই এখন দেখার বিষয়। প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের সমালোচনা করে তার বিরুদ্ধে নারী সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ার পরামর্শ দেন। বিকালে গণভবনের ব্যাঙ্কুইট হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন।
নির্বাচনকালীন সরকার কবে গঠন হবে এবং এর আকার কেমন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, বড় থাকলে অসুবিধা আছে? তখন প্রশ্নকারী সিনিয়র সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কোনো সমস্যা নেই। তখন প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ভারতসহ কয়েকটি দেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন, যুক্তরাজ্যের মতো যেসব দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র আছে, কোথাও নির্বাচনের সময় মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনা হয় না। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভা কেন পুনর্গঠন করা হয়েছিল, সে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় বিরোধী দলে থাকা বিএনপি নির্বাচনে আসতে রাজি হচ্ছিল না বলে তখন তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তারা যে মন্ত্রণালয় চায়, সেই মন্ত্রণালয় দেয়া হবে বলেছিলাম।
তারা যখন আসেনি, তখন বিভিন্ন দলগুলো নিয়ে ছোট মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিল। এবারতো সে অবস্থা নেই। আমরা (দশম সংসদ নির্বাচনে) মেজরিটি পাওয়া সত্ত্বেও প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো থেকে মন্ত্রিসভা গঠন করেছি। এই মন্ত্রিসভায় জনগণের প্রতিনিধি যারা, তারা আছেন। যেহেতু সব দলের প্রতিনিধি আছে, জানি না এটাকে ছোট করার দরকার আছে কি-না। কাটছাঁট করা হবে কি-না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভা ছোট করা হলে একজনকে কয়েকটা মন্ত্রণালয় চালাতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনো কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দুই-তিন মাসের জন্য থমকে যেতে পারে। এ বিষয়গুলোও ভাবতে হবে। তিনি বলেন, ‘যদি ডিমান্ড করে অপজিশন, তাহলে করবো। আর না হলে কিছু করার নাই। তিনি বলেন, আমি বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি দেশে এখন রাজনৈতিক স্বাধীনতা রয়েছে। কথা বলার স্বাধীনতা আছে। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা আছে। বিচার বিভাগ স্বাধীন। অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি ১৯৭৫ সালের পর বর্তমান বাংলাদেশে সর্বক্ষেত্রে মানুষ স্বাধীনতা ভোগ করছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেটাকে আমি স্বাগত জানাই। এটা হওয়ার প্রয়োজন আছে। তারা যদি রাজনৈতিভাবে সাফল্য পায় তাতে সমস্যা কী। এখানে কারা কারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তা কিন্তু দেখতে হবে। কে কোন ধরনের, কোন চরিত্রের, কার কি ধরনের ভূমিকা, এমনকি মেয়েদের নিয়ে কে কি ধরনের কটূক্তি করতে প্রতিযোগিতা করছে সেটাওতো আপনারা দেখতে পেরেছেন। এ গাছের ছাল, ওগাছের বাকল, সব মিলে যে একটা তৈরি হয়েছে। যাক তারা ভালো কাজ করুক- সেটাই চাই।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করে না। এখানে স্বাধীনতা বিরোধী আছে, ‘জাতির পিতা’র হত্যাকারী আছে, যারা দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছে এ রকম সব মিলে কিন্তু একজোট হয়েছে। এটাকে বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে দেখে- সেটাই বড় কথা। তারা রাজনৈতিকভাবে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করুক। এরাইতো সেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা থেকে শুরু করে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করা, গ্রেপ্তার করা এগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিল। এর মধ্যে আবার অনেকে আমাদের আওয়ামী লীগে ছিল। আওয়ামী লীগ থেকে দূরে চলে গিয়ে এখন জোট করেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। রাজনীতিতে এই স্বাধীনতা সকলেরই আছে।
এখনতো আর ইমার্জেন্সি নেই, মার্শাল ’ল ও নেই। একটা গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশে। সকলেরই স্বাধীনভাবে রাজনীতির সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, জোট গঠন করেছে, আমিতো তাদের সাধুবাদ জানাই।
ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি ও সংলাপের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চার দফা থেকে সাত দফায় পৌঁছাচ্ছে। অপেক্ষায় আছি তাদের দফা আর কতোদূর যায়, তখন আমি আমার বক্তব্য দেবো। আর সংলাপের জন্য চিঠি দেবে বলছে। চিঠিতো এখনও পাইনি। সেই চিঠি তৈরিই হয়নি। চিঠি পেলে তখন দেখা যাবে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ড. কামাল কার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন? ১০ ট্রাক অস্ত্র পাচারে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, মানি লন্ডারিং এর সঙ্গে জড়িত এতিমের অর্থ আত্মসাতের সাজাপ্রাপ্ত এরা সব এক হয়েছে, যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস যারা সৃষ্টি করেছে, আগুন দিয়ে যারা মানুষ হত্যা করেছে তারা সব ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এরা যেখানে এক সেখানে রাজনীতিটা কোথায়? আমিতো রাজনীতি খুঁজে পাচ্ছি না। কামাল হোসেনকে একটু জিজ্ঞেস করেন না ’৭২ এর সংবিধানের কোন কোন অনুচ্ছেদ এখন তিনি আপত্তি করেন কি কারণে। এটা কি তার গণতান্ত্রিক চিন্তা-ভাবনা?
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষই বিচার করবে। মানুষ যদি তাদের চায় চাইবে। এখানে আমার করার কিছু নেই। আমার যা করার করে দিয়েছি। দিনবদল করে দিয়েছে। বাকি যেটুকু আছে আরেকবার আসতে পারলে করে দেবো।
নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সংশয় প্রকাশ এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যে ষড়যন্ত্রের শঙ্কা প্রকাশ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র থাকবে, ষড়যন্ত্র চলবে। সবকিছু মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে পারছি। এর কারণ জনগণের শক্তি। আমি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা নির্বাচন করতে সক্ষম হবো। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। সেই তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত, ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে দেখতে চাই। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গারা নিজ ভূমিতে ফিরে যাক সকলেই চান। যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার সৌদি আরব সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের দ্রুত ফিরিয়ে নেবে বলে আমরা আশা করি।
সড়ক নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়ার পর শৃঙ্খলা ফিরেনি উল্লেখ করে একজন সাংবাদিক জানতে চান সরকারের মন্ত্রিসভায় মালিক এবং শ্রমিক নেতারা আছেন। তাদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে না পারলে মনে হয় অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
প্রধানমন্ত্রী তখন পাল্টা প্রশ্ন করেন এক্সিডেন্ট কেন হচ্ছে? মানুষ কি সচেতন হচ্ছে? নিজেরা সচেতন না হলে কিভাবে ঠেকাবেন? সড়ক নিয়ে ছাত্ররা আন্দোলন করেছিল, সেই ভুলটা ড্রাইভারের ছিল। সেটা ঠিক ছিল। কিন্তু অন্যগুলো আমি কি দেখছি। প্রত্যেকটা ফিতা দিয়ে মেপে দেখেন কে ভুল করছে। যে শিশুরা এতো আন্দোলন করলো তারাইতো এখন দেখি রাস্তা দিয়ে দৌড় মারে। এমন না এরা বয়োবৃদ্ধ। আপনি কাকে দোষটা দেবেন। গাড়ি একটা যান্ত্রিক ব্যাপার। তার থামারও একটু সময় লাগে। পথচারীদের কাছে বিনীত নিবেদন তারা যেন সড়ক আইন মেনে চলে। সময়ের যেমন দাম আছে জীবনেরও মূল্য আছে। সময় বাঁচাতে গিয়ে জীবন দেয়ার কোনো মানে হয় না। যত্রতত্র রাস্তা পার হবেন না। গণমাধ্যমকেও এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সব শেষে এটুকু বলবো, এক্সিডেন্ট তো এক্সিডেন্টই। পৃথিবীর কোন দেশে কত এক্সিডেন্ট হচ্ছে এই খবরের সঙ্গে ওই তথ্যও বের করেন।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে কয়েকজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মইনুলের কড়া সমালোচনা করে বলেন, তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, আমরা মানিক কাকা বলে ডাকতাম। ব্যারিস্টার মইনুল ব্যারিসটারি পাস করে দেশে এসে সাহেব হয়ে গেলেন। তিনি বাঙালী খাবার খেতে পারেন না। ইংরেজি খাবার রান্নার জন্য বাবুর্চি আনা হলো। তিনি সেখান থেকে ইংরেজি খাবার শিখে আসলেন কিন্তু ভদ্রতা শিখে আসেননি এটা হলো বাস্তবতা।
মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলা ও জামিনের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মামলা আরো করতে তো আপত্তি নেই, ব্যবস্থা নিতে তো আপত্তি নেই। সে যে এখন কোন ইন্দুরের গর্তে ঢুকেছে সেটা এখন দেখেন।
বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগের নবধারা সূচিত হবে: প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক সৌদি আরব সফরকে অত্যন্ত সফল আখ্যায়িত করে বলেন, এই সফরের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগের নবধারা সূচিত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার এ সফর দু’দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধি বিশেষত বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে ইতিপূর্বে উচ্চপর্যায়ের সফরগুলোতে সে দেশের শ্রমবাজারে বাংলাদেশীদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি প্রাধান্য পেত। কিন্তু, এবারের সফরে গতানুগতিক ধারার বাইরে অভিন্ন অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা, মুসলিম বিশ্বে স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতামূলক তৎপরতা বৃদ্ধি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের শুরুতেই বাদশাহ আমাকে স্বাগত জানান। তিনি সৌদি আরবকে আমার দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এখানে আপনি সব সময়ের জন্য স্বাগত। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এ সময় সৌদি আরবের বাদশাহকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেন এবং নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে অধিক হারে বিনিয়োগে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সভা শেষে বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগে সিমেন্ট কারখানা, ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট কারখানা, ‘সৌদি-বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা, সৌর বিদ্যুৎ ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদন কারখানা স্থাপন ইত্যাদি বিষয়ে মোট ৫টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
শ্রিংলার সাক্ষাৎ: এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সোমবার (২২ অক্টোবর) ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। প্রানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম বলেন, তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। (মানবজমিন)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

মন্ত্রিসভা ছোট না করার ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অক্টোবর ২০১৮

ঢাকা: নির্বাচনকালীন সরকারের সময়ে বর্তমান মন্ত্রিসভা বহাল রাখার ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২২ অক্টোবর) গণভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এমন ইঙ্গিত দিয়ে কয়েকটি দেশের উদাহরণ তুলে ধরেন। তবে বিরোধী দল চাইলে ছোট মন্ত্রিসভা হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সাম্প্রতিক সৌদি আরব সফর নিয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা হলেও প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নোত্তর পর্বে সাম্প্রতিক রাজনীতি, নির্বাচন, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক জোট ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার অভিমত তুলে ধরেন। ফ্রন্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, দেশের জনগণ তাদের কিভাবে গ্রহণ করে- সেটাই এখন দেখার বিষয়। প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের সমালোচনা করে তার বিরুদ্ধে নারী সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ার পরামর্শ দেন। বিকালে গণভবনের ব্যাঙ্কুইট হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন।
নির্বাচনকালীন সরকার কবে গঠন হবে এবং এর আকার কেমন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, বড় থাকলে অসুবিধা আছে? তখন প্রশ্নকারী সিনিয়র সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কোনো সমস্যা নেই। তখন প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ভারতসহ কয়েকটি দেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন, যুক্তরাজ্যের মতো যেসব দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র আছে, কোথাও নির্বাচনের সময় মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনা হয় না। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভা কেন পুনর্গঠন করা হয়েছিল, সে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় বিরোধী দলে থাকা বিএনপি নির্বাচনে আসতে রাজি হচ্ছিল না বলে তখন তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তারা যে মন্ত্রণালয় চায়, সেই মন্ত্রণালয় দেয়া হবে বলেছিলাম।
তারা যখন আসেনি, তখন বিভিন্ন দলগুলো নিয়ে ছোট মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিল। এবারতো সে অবস্থা নেই। আমরা (দশম সংসদ নির্বাচনে) মেজরিটি পাওয়া সত্ত্বেও প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো থেকে মন্ত্রিসভা গঠন করেছি। এই মন্ত্রিসভায় জনগণের প্রতিনিধি যারা, তারা আছেন। যেহেতু সব দলের প্রতিনিধি আছে, জানি না এটাকে ছোট করার দরকার আছে কি-না। কাটছাঁট করা হবে কি-না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভা ছোট করা হলে একজনকে কয়েকটা মন্ত্রণালয় চালাতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনো কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দুই-তিন মাসের জন্য থমকে যেতে পারে। এ বিষয়গুলোও ভাবতে হবে। তিনি বলেন, ‘যদি ডিমান্ড করে অপজিশন, তাহলে করবো। আর না হলে কিছু করার নাই। তিনি বলেন, আমি বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি দেশে এখন রাজনৈতিক স্বাধীনতা রয়েছে। কথা বলার স্বাধীনতা আছে। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা আছে। বিচার বিভাগ স্বাধীন। অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি ১৯৭৫ সালের পর বর্তমান বাংলাদেশে সর্বক্ষেত্রে মানুষ স্বাধীনতা ভোগ করছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেটাকে আমি স্বাগত জানাই। এটা হওয়ার প্রয়োজন আছে। তারা যদি রাজনৈতিভাবে সাফল্য পায় তাতে সমস্যা কী। এখানে কারা কারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তা কিন্তু দেখতে হবে। কে কোন ধরনের, কোন চরিত্রের, কার কি ধরনের ভূমিকা, এমনকি মেয়েদের নিয়ে কে কি ধরনের কটূক্তি করতে প্রতিযোগিতা করছে সেটাওতো আপনারা দেখতে পেরেছেন। এ গাছের ছাল, ওগাছের বাকল, সব মিলে যে একটা তৈরি হয়েছে। যাক তারা ভালো কাজ করুক- সেটাই চাই।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করে না। এখানে স্বাধীনতা বিরোধী আছে, ‘জাতির পিতা’র হত্যাকারী আছে, যারা দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছে এ রকম সব মিলে কিন্তু একজোট হয়েছে। এটাকে বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে দেখে- সেটাই বড় কথা। তারা রাজনৈতিকভাবে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করুক। এরাইতো সেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা থেকে শুরু করে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করা, গ্রেপ্তার করা এগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিল। এর মধ্যে আবার অনেকে আমাদের আওয়ামী লীগে ছিল। আওয়ামী লীগ থেকে দূরে চলে গিয়ে এখন জোট করেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। রাজনীতিতে এই স্বাধীনতা সকলেরই আছে।
এখনতো আর ইমার্জেন্সি নেই, মার্শাল ’ল ও নেই। একটা গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশে। সকলেরই স্বাধীনভাবে রাজনীতির সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, জোট গঠন করেছে, আমিতো তাদের সাধুবাদ জানাই।
ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি ও সংলাপের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চার দফা থেকে সাত দফায় পৌঁছাচ্ছে। অপেক্ষায় আছি তাদের দফা আর কতোদূর যায়, তখন আমি আমার বক্তব্য দেবো। আর সংলাপের জন্য চিঠি দেবে বলছে। চিঠিতো এখনও পাইনি। সেই চিঠি তৈরিই হয়নি। চিঠি পেলে তখন দেখা যাবে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ড. কামাল কার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন? ১০ ট্রাক অস্ত্র পাচারে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, মানি লন্ডারিং এর সঙ্গে জড়িত এতিমের অর্থ আত্মসাতের সাজাপ্রাপ্ত এরা সব এক হয়েছে, যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস যারা সৃষ্টি করেছে, আগুন দিয়ে যারা মানুষ হত্যা করেছে তারা সব ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এরা যেখানে এক সেখানে রাজনীতিটা কোথায়? আমিতো রাজনীতি খুঁজে পাচ্ছি না। কামাল হোসেনকে একটু জিজ্ঞেস করেন না ’৭২ এর সংবিধানের কোন কোন অনুচ্ছেদ এখন তিনি আপত্তি করেন কি কারণে। এটা কি তার গণতান্ত্রিক চিন্তা-ভাবনা?
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষই বিচার করবে। মানুষ যদি তাদের চায় চাইবে। এখানে আমার করার কিছু নেই। আমার যা করার করে দিয়েছি। দিনবদল করে দিয়েছে। বাকি যেটুকু আছে আরেকবার আসতে পারলে করে দেবো।
নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সংশয় প্রকাশ এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যে ষড়যন্ত্রের শঙ্কা প্রকাশ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র থাকবে, ষড়যন্ত্র চলবে। সবকিছু মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে পারছি। এর কারণ জনগণের শক্তি। আমি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা নির্বাচন করতে সক্ষম হবো। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। সেই তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত, ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে দেখতে চাই। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গারা নিজ ভূমিতে ফিরে যাক সকলেই চান। যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার সৌদি আরব সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের দ্রুত ফিরিয়ে নেবে বলে আমরা আশা করি।
সড়ক নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়ার পর শৃঙ্খলা ফিরেনি উল্লেখ করে একজন সাংবাদিক জানতে চান সরকারের মন্ত্রিসভায় মালিক এবং শ্রমিক নেতারা আছেন। তাদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে না পারলে মনে হয় অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
প্রধানমন্ত্রী তখন পাল্টা প্রশ্ন করেন এক্সিডেন্ট কেন হচ্ছে? মানুষ কি সচেতন হচ্ছে? নিজেরা সচেতন না হলে কিভাবে ঠেকাবেন? সড়ক নিয়ে ছাত্ররা আন্দোলন করেছিল, সেই ভুলটা ড্রাইভারের ছিল। সেটা ঠিক ছিল। কিন্তু অন্যগুলো আমি কি দেখছি। প্রত্যেকটা ফিতা দিয়ে মেপে দেখেন কে ভুল করছে। যে শিশুরা এতো আন্দোলন করলো তারাইতো এখন দেখি রাস্তা দিয়ে দৌড় মারে। এমন না এরা বয়োবৃদ্ধ। আপনি কাকে দোষটা দেবেন। গাড়ি একটা যান্ত্রিক ব্যাপার। তার থামারও একটু সময় লাগে। পথচারীদের কাছে বিনীত নিবেদন তারা যেন সড়ক আইন মেনে চলে। সময়ের যেমন দাম আছে জীবনেরও মূল্য আছে। সময় বাঁচাতে গিয়ে জীবন দেয়ার কোনো মানে হয় না। যত্রতত্র রাস্তা পার হবেন না। গণমাধ্যমকেও এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সব শেষে এটুকু বলবো, এক্সিডেন্ট তো এক্সিডেন্টই। পৃথিবীর কোন দেশে কত এক্সিডেন্ট হচ্ছে এই খবরের সঙ্গে ওই তথ্যও বের করেন।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে কয়েকজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মইনুলের কড়া সমালোচনা করে বলেন, তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, আমরা মানিক কাকা বলে ডাকতাম। ব্যারিস্টার মইনুল ব্যারিসটারি পাস করে দেশে এসে সাহেব হয়ে গেলেন। তিনি বাঙালী খাবার খেতে পারেন না। ইংরেজি খাবার রান্নার জন্য বাবুর্চি আনা হলো। তিনি সেখান থেকে ইংরেজি খাবার শিখে আসলেন কিন্তু ভদ্রতা শিখে আসেননি এটা হলো বাস্তবতা।
মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলা ও জামিনের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মামলা আরো করতে তো আপত্তি নেই, ব্যবস্থা নিতে তো আপত্তি নেই। সে যে এখন কোন ইন্দুরের গর্তে ঢুকেছে সেটা এখন দেখেন।
বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগের নবধারা সূচিত হবে: প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক সৌদি আরব সফরকে অত্যন্ত সফল আখ্যায়িত করে বলেন, এই সফরের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগের নবধারা সূচিত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার এ সফর দু’দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধি বিশেষত বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে ইতিপূর্বে উচ্চপর্যায়ের সফরগুলোতে সে দেশের শ্রমবাজারে বাংলাদেশীদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি প্রাধান্য পেত। কিন্তু, এবারের সফরে গতানুগতিক ধারার বাইরে অভিন্ন অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা, মুসলিম বিশ্বে স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতামূলক তৎপরতা বৃদ্ধি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের শুরুতেই বাদশাহ আমাকে স্বাগত জানান। তিনি সৌদি আরবকে আমার দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এখানে আপনি সব সময়ের জন্য স্বাগত। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এ সময় সৌদি আরবের বাদশাহকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেন এবং নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে অধিক হারে বিনিয়োগে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সভা শেষে বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগে সিমেন্ট কারখানা, ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট কারখানা, ‘সৌদি-বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা, সৌর বিদ্যুৎ ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদন কারখানা স্থাপন ইত্যাদি বিষয়ে মোট ৫টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
শ্রিংলার সাক্ষাৎ: এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সোমবার (২২ অক্টোবর) ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। প্রানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম বলেন, তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। (মানবজমিন)