নিউইয়র্ক ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মডেল তিন্নি হত্যা মামলার রায় আজ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১
  • / ১১৯ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক : মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায় আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর)। তিন্নি হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি।

ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করবেন।

এর আগে গত ২৬ অক্টোবর মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক তা পিছিয়ে নতুন দিন ধার্য করেন ১৫ নভেম্বর।

ওই দিন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আমিনুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আজ (২৬ অক্টোবর) এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আবারও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে ২৬ অক্টোবরেই যুক্তিতর্ক শেষ করতে বলেন বিচারক। রাষ্ট্রপক্ষ সেদিন বিকালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন না করলেও ১৫ নভেম্বর রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানান আদালত।’খবর সাম্প্রতিক দেশকাল

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে খুন হন তিন্নি। এর আগে ৬ নভেম্বর তিন্নিকে তার স্বামী সাক্কাত হোসেন পিয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করেন অভি। তিন্নিও তাকে তালাক দেন। ওইদিনই পিয়ালকে তার দেড় বছর বয়সী কন্যাসন্তানসহ রাজধানীর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর বিয়ে করার জন্য অভিকে চাপ দিতে থাকেন তিন্নি। একপর্যায়ে তিন্নি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন।

১০ নভেম্বর রাতে মাথায় আঘাত করে তিন্নিকে হত্যা করা হয়। এরপর গুমের উদ্দেশ্যে ওই রাতে বুড়িগঙ্গার ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় মরদেহ। কিন্তু পানিতে নয়, মরদেহটি পড়ে পিলারের উঁচু অংশে। পরদিন সকালে মরদেহ ঘিরে উৎসুক জনতা ভিড় করে।

কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালের পর ময়নাতদন্ত করে। মর্গে চারদিন রাখার পর ১৫ নভেম্বর অজ্ঞাত হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয় তিন্নিকে।

এদিকে তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম কেরানীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মরদেহ উদ্ধারের দিন একই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. শফি উদ্দিন। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের আসামি করা হয় মামলায়।

মামলার সবশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। এরপর ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মডেল তিন্নি হত্যা মামলার রায় আজ

প্রকাশের সময় : ১২:০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১

ঢাকা ডেস্ক : মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায় আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর)। তিন্নি হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি।

ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করবেন।

এর আগে গত ২৬ অক্টোবর মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক তা পিছিয়ে নতুন দিন ধার্য করেন ১৫ নভেম্বর।

ওই দিন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আমিনুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আজ (২৬ অক্টোবর) এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আবারও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে ২৬ অক্টোবরেই যুক্তিতর্ক শেষ করতে বলেন বিচারক। রাষ্ট্রপক্ষ সেদিন বিকালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন না করলেও ১৫ নভেম্বর রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানান আদালত।’খবর সাম্প্রতিক দেশকাল

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে খুন হন তিন্নি। এর আগে ৬ নভেম্বর তিন্নিকে তার স্বামী সাক্কাত হোসেন পিয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করেন অভি। তিন্নিও তাকে তালাক দেন। ওইদিনই পিয়ালকে তার দেড় বছর বয়সী কন্যাসন্তানসহ রাজধানীর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর বিয়ে করার জন্য অভিকে চাপ দিতে থাকেন তিন্নি। একপর্যায়ে তিন্নি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন।

১০ নভেম্বর রাতে মাথায় আঘাত করে তিন্নিকে হত্যা করা হয়। এরপর গুমের উদ্দেশ্যে ওই রাতে বুড়িগঙ্গার ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় মরদেহ। কিন্তু পানিতে নয়, মরদেহটি পড়ে পিলারের উঁচু অংশে। পরদিন সকালে মরদেহ ঘিরে উৎসুক জনতা ভিড় করে।

কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালের পর ময়নাতদন্ত করে। মর্গে চারদিন রাখার পর ১৫ নভেম্বর অজ্ঞাত হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয় তিন্নিকে।

এদিকে তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম কেরানীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মরদেহ উদ্ধারের দিন একই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. শফি উদ্দিন। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের আসামি করা হয় মামলায়।

মামলার সবশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। এরপর ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।