ঢাকা ডেস্ক: সদ্য প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের শেষ ইচ্ছা পূরণ হবে। তার ইচ্ছে মোতাবেক নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মানিকপুর গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে তাকে। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ওসিয়ত করে গিয়েছিলেন তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মানিকপুরে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে যেন সমাহিত করা হয়। তিনি নিজেও আমাকে সেই জায়গা দেখিয়েছিলেন। এটাই তার শেষ ইচ্ছা ছিল। তার সেই ইচ্ছা পূরণে মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে মওদুদ আহমদের একান্ত সহকারি মোমিনুর রহমান সুজন জানান জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে স্যারের (মওদুদ আহমদ) মরদেহ দেশে আনা হবে। শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথম জানাজা, পরে হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৃতীয় জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে নিজ এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে। সেখানে চতুর্থ ও শেষ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
রক্তে হিমোগেøাবিনের পরিমাণ হ্রাস, বুকে ব্যথা অনুভব করলে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মওদুদকে ঢাকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার হার্টে বøক ধরা পড়ায় তার হৃদযন্ত্রে স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া পর পরদিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২ ফেব্রæয়ারী রাত ১২টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন। সেখানে দীর্ঘদিন আইসোলেশনে থেকে পরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (সূত্র: দৈনিক যুগান্তর)