ভিন্ন নামে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন চেয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশিদা সুলতানা। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আগাম মন্তব্য করা ঠিক হবে না। যাচাই-বাছাইয়ে আদালতের রায়ে নিবন্ধন হারানো জামায়াত ভিন্ন নামে নিবন্ধনের জন্য এসেছে প্রমাণ পেলে কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন রাশিদা সুলতানা। এর আগে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সন্তানদের সংগঠন ‘প্রজন্ম-৭১’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) মতো জামায়াতে ইসলামী সংশ্নিষ্ট রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার দাবি জানায়। এ সময় সংগঠনের পক্ষে সাইফুদ্দিন আব্বাস, নুজহাত চৌধুরী, তানভীর হায়দায় চৌধুরী, অনল রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাশিদা সুলতানা বলেন, ‘বিডিপি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। বলাবলি হচ্ছে, জামায়াতে ইসলামী ভিন্ন নামে এ আবেদন করেছে। সেটি প্রমাণের বিষয়। আগে যাচাই-বাছাই হোক, তারপর এ বিষয়ে বলা যাবে। শুধু বিডিপি নয়, আবেদনকারী ৯৩টি দলের বিষয়ে আইনি কাঠামোসহ সবকিছু যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। গঠনতন্ত্র যাচাই করেই নিবন্ধন দেওয়া হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। নিবন্ধন না থাকায় তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এখন আসতে হলে আইনি প্রক্রিয়া ও সব শর্ত পূরণ করেই আসতে হবে। আইনের কথা বললে আদালত বাতিল করায় নতুন করে জামায়াতকে নিবন্ধন দেওয়ার সুযোগ নেই।’