নিউইয়র্ক ০২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গ্রেপ্তার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৫৫২ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: মানহানির মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার (২২ অক্টোবর) রাত সোয়া দশটার দিকে (বাংলাদেশ সময়) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন।

তিনি বলেন, ‘রংপুরে দায়ের হওয়া একটি মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।’ এদিকে রাত নয়টা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আ স ম রবের বাসাটি ঘিরে রাখে। রাতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতে প্রেরণের কথা রয়েছে। এর আগে সোমবার বিকেলে রংপুরের মানবাধিকারকর্মী মিলি মায়া সেখানকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন।
সন্ধ্যায় বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ওদিকে সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনেও ব্যারিস্টার মইনুলের কটুক্তির বিষয়টি আলোচনায় আসে। তখন শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছিলেন- ‘আপনারা প্রতিবাদ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যা করার করবে। আপনারা মামলা করেন, আমরা যা করার করব।’ এরপর সন্ধ্যায় পুলিশের তৎপরতা দেখা যায়। ওই সময়ই উত্তরায় রবের বাড়িতে গিয়েছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটিতে তিনি উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন। গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তর জার্নাল’ এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন- আপনি বলেছেন আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি কী জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।’
মাসুদা ভাট্টির এই প্রশ্নে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’ এ ঘটনার পর বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। একপর্যায়ে গত ২১ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি। পরে জামালপুর ও কুড়িগ্রামেও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর মধ্যে ঢাকা ও জামালপুরের মামলায় গত রোববার (২১ অক্টোবর) পাঁচ মাসের এবং সোমবার কুড়িগ্রামের মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান তিনি।
প্রসঙ্গত, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সম্প্রতি গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জড়িত হন। তিনি ফ্রন্টের একাধিক বৈঠকেও অংশ নেন। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতের আ স ম আবদুর রবের উত্তরার জসিম উদ্দীন রোডের বাসায় বৈঠক করেন তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা। (মানবজমিন)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ০৬:৪১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অক্টোবর ২০১৮

হককথা ডেস্ক: মানহানির মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার (২২ অক্টোবর) রাত সোয়া দশটার দিকে (বাংলাদেশ সময়) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন।

তিনি বলেন, ‘রংপুরে দায়ের হওয়া একটি মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।’ এদিকে রাত নয়টা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আ স ম রবের বাসাটি ঘিরে রাখে। রাতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতে প্রেরণের কথা রয়েছে। এর আগে সোমবার বিকেলে রংপুরের মানবাধিকারকর্মী মিলি মায়া সেখানকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন।
সন্ধ্যায় বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ওদিকে সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনেও ব্যারিস্টার মইনুলের কটুক্তির বিষয়টি আলোচনায় আসে। তখন শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছিলেন- ‘আপনারা প্রতিবাদ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যা করার করবে। আপনারা মামলা করেন, আমরা যা করার করব।’ এরপর সন্ধ্যায় পুলিশের তৎপরতা দেখা যায়। ওই সময়ই উত্তরায় রবের বাড়িতে গিয়েছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটিতে তিনি উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন। গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তর জার্নাল’ এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন- আপনি বলেছেন আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি কী জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।’
মাসুদা ভাট্টির এই প্রশ্নে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’ এ ঘটনার পর বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। একপর্যায়ে গত ২১ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি। পরে জামালপুর ও কুড়িগ্রামেও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর মধ্যে ঢাকা ও জামালপুরের মামলায় গত রোববার (২১ অক্টোবর) পাঁচ মাসের এবং সোমবার কুড়িগ্রামের মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান তিনি।
প্রসঙ্গত, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সম্প্রতি গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জড়িত হন। তিনি ফ্রন্টের একাধিক বৈঠকেও অংশ নেন। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতের আ স ম আবদুর রবের উত্তরার জসিম উদ্দীন রোডের বাসায় বৈঠক করেন তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা। (মানবজমিন)