বেনজীর ও র্যাবের ডিজিসহ ৭ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

- প্রকাশের সময় : ১২:৪৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১
- / ৫২ বার পঠিত
‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কাজের’ অভিযোগে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর প্রকাশ করা হয়।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব দফতর)। এর মধ্যে র্যাব ও এর ছয় কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে, পররাষ্ট্র দফতরের আরেক বিবৃতিতে বেনজীরের পাশাপাশি অপর এক কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত বিবৃতি অনুসারে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বেনজীর আহমেদ ছাড়াও রয়েছেন- চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন (র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক), খান মোহাম্মদ আজাদ (বর্তমান অতিরিক্ত মহাপরিচালক-অপারেশন্স), তোফায়েল মুস্তাফা সরওয়ার (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক-অপারেশন্স, জুন ২০১৯-মার্চ ২০২১), মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক-অপারেশন্স, সেপ্টেম্বর ২০১৮-জুন২০১৯), এবং মোহাম্মদ আনোয়ার লতিফ খান (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক-অপারেশন্স, এপ্রিল-২০১৬-সেপ্টেম্বর ২০১৮)।
এতে বলা হয়, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার জন্য আজ বেনজির আহমেদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর – যার ফলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য হবেন। পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বেনজীরের পাশাপাশি র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক (লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের নাম উল্লেখ করা হয়।
২০১৮ সালে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় কক্সবাজারের টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হককে ‘তুলে নিয়ে হত্যার ঘটনা’ উল্লেখ করে এতে ওই দুই কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ তোলা হয়। বিবৃতিতে জানানো হয়, নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বেনজীর এবং মিফতাহ আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় র্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ – আইনের শাসন, মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা, ও বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে হেয় করার মাধ্যমে – যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলছে।’তথ্যসূত্র: বিবিসি