নিউইয়র্ক ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বৃহত্তর ১৯ জেলায় সমাবেশের চিন্তা বিএনপি’র

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৮:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ৪৩ বার পঠিত

বাংলােদশ ডেস্ক : সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবার বৃহত্তর ১৯ জেলায় সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো যে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে সামনে তা জোরদার করে এক দফার আন্দোলনে রূপ দিতে চায় বিরোধী দলগুলো। এজন্য সারা দেশে তৃণমূল থেকে আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তৃণমূলে আন্দোলন বেগবান করতেই বড় জেলাগুলোতে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। মঙ্গলবার রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বৃহত্তর জেলাগুলোতে সমাবেশ করা নিয়ে আলোচনা করেছেন নেতারা। তবে বৈঠকে কোনো কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়নি। একইসঙ্গে রোড মার্চ, লংমার্চ, ঢাকা ঘেরাও ও জেলায় ডিসি অফিস ঘেরাও এর মতো কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে। বৈঠকে আন্দোলনের জন্য সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর অভিন্ন রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। তবে অভিন্ন রূপরেখার যৌথ ঘোষণার দিন-ক্ষণও চূড়ান্ত হয়নি।

আরোও পড়ুন । আগামী জাতীয় নির্বাচন ইতিহাসের বড় ঘটনা জন্ম দিতে পারে : জি এম কাদের

সূত্র জানায়, সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী কর্মসূচি ঘোষণা করতে চাইছে দলীয় হাইকমান্ড। এক দফার আন্দোলনে ঢাকা অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি দেয়া নিয়েও ভাবছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। পরিস্থিতি অনুযায়ী ঈদুল আজহার আগেই কঠোর আন্দোলনে যেতে পারে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটগুলো। সূত্র জানায়, সরকার পতন আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দিতে ধারাবাহিক কর্মসূচিতে যেতে চায় বিএনপি। ঈদের আগে ও পরে কী ধরনের কর্মসূচি দেয়া যায় তা নিয়ে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে দফা দফায় বৈঠক হয়েছে। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির একটি সূত্র জানায়, শিগগিরই বিএনপি ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করবে। আসন্ন কোরবানি ঈদের আগে পড়ে বড় কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে। এর আগে নেতাকর্মীদের সক্রিয় রাখতে কয়েকটি বড় জেলা ও সাংগঠনিক বিভাগগুলোতে সমাবেশ করবে বিএনপি। পরিস্থিতি বুঝে রোড মার্চ ও ‘ঢাকায় চল’ কর্মসূচিও আসতে পারে।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেছেন নেতারা। আগামী দু’একদিনের মধ্যে যুগপৎ আন্দোলন ও জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। বৃহত্তর জেলা পর্যায়ের সমাবেশ কর্মসূচি নির্ধারণে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে ১৯ জেলায় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির একজন নেতা জানান, এক-দুই দিনের মধ্যে বিএনপি যে কর্মসূচি ঘোষণা করবে তা আগামী ঈদুল আযহা পর্যন্ত চলবে এমনটাই প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে অবস্থার প্রেক্ষিতে নতুন কর্মসূচিও আসতে পারে। সূত্র : মানবজমিন

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বৃহত্তর ১৯ জেলায় সমাবেশের চিন্তা বিএনপি’র

প্রকাশের সময় : ১২:১৮:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

বাংলােদশ ডেস্ক : সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবার বৃহত্তর ১৯ জেলায় সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো যে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে সামনে তা জোরদার করে এক দফার আন্দোলনে রূপ দিতে চায় বিরোধী দলগুলো। এজন্য সারা দেশে তৃণমূল থেকে আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তৃণমূলে আন্দোলন বেগবান করতেই বড় জেলাগুলোতে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। মঙ্গলবার রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বৃহত্তর জেলাগুলোতে সমাবেশ করা নিয়ে আলোচনা করেছেন নেতারা। তবে বৈঠকে কোনো কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়নি। একইসঙ্গে রোড মার্চ, লংমার্চ, ঢাকা ঘেরাও ও জেলায় ডিসি অফিস ঘেরাও এর মতো কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে। বৈঠকে আন্দোলনের জন্য সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর অভিন্ন রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। তবে অভিন্ন রূপরেখার যৌথ ঘোষণার দিন-ক্ষণও চূড়ান্ত হয়নি।

আরোও পড়ুন । আগামী জাতীয় নির্বাচন ইতিহাসের বড় ঘটনা জন্ম দিতে পারে : জি এম কাদের

সূত্র জানায়, সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী কর্মসূচি ঘোষণা করতে চাইছে দলীয় হাইকমান্ড। এক দফার আন্দোলনে ঢাকা অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি দেয়া নিয়েও ভাবছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। পরিস্থিতি অনুযায়ী ঈদুল আজহার আগেই কঠোর আন্দোলনে যেতে পারে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটগুলো। সূত্র জানায়, সরকার পতন আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দিতে ধারাবাহিক কর্মসূচিতে যেতে চায় বিএনপি। ঈদের আগে ও পরে কী ধরনের কর্মসূচি দেয়া যায় তা নিয়ে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে দফা দফায় বৈঠক হয়েছে। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির একটি সূত্র জানায়, শিগগিরই বিএনপি ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করবে। আসন্ন কোরবানি ঈদের আগে পড়ে বড় কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে। এর আগে নেতাকর্মীদের সক্রিয় রাখতে কয়েকটি বড় জেলা ও সাংগঠনিক বিভাগগুলোতে সমাবেশ করবে বিএনপি। পরিস্থিতি বুঝে রোড মার্চ ও ‘ঢাকায় চল’ কর্মসূচিও আসতে পারে।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেছেন নেতারা। আগামী দু’একদিনের মধ্যে যুগপৎ আন্দোলন ও জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। বৃহত্তর জেলা পর্যায়ের সমাবেশ কর্মসূচি নির্ধারণে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে ১৯ জেলায় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির একজন নেতা জানান, এক-দুই দিনের মধ্যে বিএনপি যে কর্মসূচি ঘোষণা করবে তা আগামী ঈদুল আযহা পর্যন্ত চলবে এমনটাই প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে অবস্থার প্রেক্ষিতে নতুন কর্মসূচিও আসতে পারে। সূত্র : মানবজমিন

বেলী/হককথা