নিউইয়র্ক ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
বাংলাদেশে ১৫ থেকে ২০ লাখ স্ট্রোকের রোগী রয়েছে

বিশ্ব স্ট্রোক দিবস আজ : অসচেতনতায় বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৯ বার পঠিত

মোরশেদা ইয়াসমিন পিউ: দুপুর সাড়ে ১২টা, রাজধানীর আগারগাঁও নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় কথা হয়, সিরাজগঞ্জ সদরের বাসিন্দা মো. ইসাহাক মিয়ার সঙ্গে। বয়স ৭০ বছর। গত ২৪ অক্টোবর তার স্ট্রোক হয়। ছেলে সিহাব বলেন, আব্বা ডান হাত, ডান পায়ে জোড় পান না, চলাফেরা করতে পারেন না। নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আমার আব্বার চিকিতসা নেই, ঐ হাসপাতালের চিকিৎসক আমাদের ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে আসতে বলেছেন। এই হাসপাতালে এসে ১০ টাকার টিকিট কেটে ১০৪ নম্বর রুমে ডাক্তার দেখিয়েছি, তিনি বলেছেন, ফিজিওথেরাপি লাগবে। এখন ২১৫ নম্বর রুমে আসতে বলেছেন। আমরা অপেক্ষা করছি। তিনি বলেন, এই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অনেক কঠিন। সিট পাওয়া যায় না।
পটুয়াখালী থেকে এসেছেন নান্না মৃধা। বয়স ৭০ বছর। তিনি ১৪ মাস আগে স্ট্রোক করেছিলেন, এখন চলাফেলা করতে পারেন না, সে কারণে ভালো চিকিৎসার আশায় ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে এসেছেন। এদিকে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার বাইছারা বাজার এলাকা থেকে শাশুড়ি তৈয়ুবুন নেসাকে (৭৫) নিয়ে এসেছেন তাহমিনা। তিনি বলেন, আমার শাশুড়ি দুই মাস আগে স্ট্রোক করেছেন। এখন হাঁটতেও পারেন না, বাঁ পা ও হাতে জোড় পান না, আর এলোমেলো কথা বলেন।
ইসাহাক, নান্না মৃধা কিংবা তৈয়ুবুন নেসার মতো অসংখ্য রোগীকে ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড নিউরোরিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। জানা যায়, এই হাসপাতালে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৪০ জনের মতো রোগী থেরাপি নিয়ে যান। তবে জেলা-উপজেলায় রিহ্যাবিলিটেশন সেবা না থাকায় বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। বাধ্য হয়ে তারা ছুটে আসছেন রাজধানী শহরে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ১৮ কোটি জনসংখ্যার দেশে ৮ থেকে ১০ হাজার ফিজিক্যাল মেডিসিনের চিকিৎসক থাকা দরকার হলেও সংখ্যাটি খুবই কম। এছাড়া দেশে ফিজিওথেরাপিস্ট আছে সাড়ে ৪ হাজারের মতো। অকুপেশনাল থেরাপিস্ট আছে প্রায় ১৫০ জন, আর স্পিচ থেরাপিস্ট ৫০ জনের মতো। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সেবাটি অপ্রতুল হওয়ায় রোগীদের রাজধানী ও বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে ছুটতে হয়।
বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর তৃতীয় কারণ স্ট্রোক। ফলে অধিকাংশ মানুষ এর লক্ষণ বুঝতে না পারার কারণে হাসপাতালে রোগীকে আনতে দেরি করেন। অথচ স্ট্রোকের রোগীর জন্য প্রথম চার ঘণ্টা গোল্ডেন আওয়ার বা অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিতে পারলে, শুধু ওষুধ দিয়েই রোগী একদিন পরেই সুস্থ শরীরে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে পারে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্ট্রোকের রোগীর মৃত্যুঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনা প্যারালাইসিস প্রতিরোধ এবং পরবর্তী স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাসে ফিজিক্যাল মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা সহায়তা করে। সময় মতো এই চিকিৎসা পেলে ৩০ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে যায়। অনেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে মুগদা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এহসানুল হক খান বলেন, স্ট্রোকের রোগীর রোগ নির্ণয়ে সিটি স্ক্যান প্রয়োজন হয়। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে এখন পর্যন্ত সিটি স্ক্যান মেশিন নেই। তবে চিকিৎসকরা ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস করতে পারেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী চেনার উপায়- মুখ বেঁকে যাওয়া, হাত একদিকে ঝুঁলে যাবে বা শক্তি কম পাবে, চোখে ঝাপসা দেখা এবং রোগীর কথা জড়িয়ে যাবে। তীব্র মাথা ব্যথা এবং রোগী হঠাৎ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারে।
দেশের এমন পরিস্থিতিতে আজ ২৯ অক্টোবর বিশ্ব স্ট্রোক দিবস-২০২৪। বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে- ‘টুগেদার উই ক্যান বি গ্রেটার দেন স্ট্রোক অর্থাৎ আমাদের ঐক্য স্ট্রোকের চেয়েও প্রবল।’
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কোনো কারণে বিঘ্নিত হলে স্ট্রোক সংঘটিত হয়। বিশেষ করে রক্তনালি বন্ধ হয়ে কিংবা রক্তনালি ছিঁড়ে মস্তিষ্কে এই রক্ত সরবরাহ বিঘিœত হয়। রক্তে থাকে অক্সিজেন, সেই অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের টিস্যুগুলো মারা যায়। স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় কারণ হলো উচ্চ রক্তচাপ। সারা বিশ্বে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ স্ট্রোক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে অসচেতনতার অভাবেই এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের দেশে এখন ১৫ থেকে ২০ লাখ স্ট্রোকের রোগী রয়েছে। স্ট্রোক সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উদযাপিত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ স্ট্রোক আমাদের মতো দেশে হবে। এর প্রধান কারণ, অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি, ফাস্টফুড, ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত লাইফ স্টাইল। স্ট্রোক প্রতিরোধে সবার আগে আমাদের লাইফ স্টাইলে পরিবর্তন আনতে হবে। ডায়েট মেনে চলতে হবে ও নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। ২০০৬ সালে প্রথম ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন দিবসটি পালন শুরু করে। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হন স্ট্রোকে।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরো সার্জন্স এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সকাল সাড়ে ৮টায় রেলি অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিল্টন হলে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে রোগীদের লাইভ সার্জারি করা হবে। এছাড়া নিউরোসার্জারি সোসাইটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানী, বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে রোগটি সম্পর্কে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। (দৈনিক ইত্তেফাক)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে ১৫ থেকে ২০ লাখ স্ট্রোকের রোগী রয়েছে

বিশ্ব স্ট্রোক দিবস আজ : অসচেতনতায় বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

মোরশেদা ইয়াসমিন পিউ: দুপুর সাড়ে ১২টা, রাজধানীর আগারগাঁও নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় কথা হয়, সিরাজগঞ্জ সদরের বাসিন্দা মো. ইসাহাক মিয়ার সঙ্গে। বয়স ৭০ বছর। গত ২৪ অক্টোবর তার স্ট্রোক হয়। ছেলে সিহাব বলেন, আব্বা ডান হাত, ডান পায়ে জোড় পান না, চলাফেরা করতে পারেন না। নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আমার আব্বার চিকিতসা নেই, ঐ হাসপাতালের চিকিৎসক আমাদের ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে আসতে বলেছেন। এই হাসপাতালে এসে ১০ টাকার টিকিট কেটে ১০৪ নম্বর রুমে ডাক্তার দেখিয়েছি, তিনি বলেছেন, ফিজিওথেরাপি লাগবে। এখন ২১৫ নম্বর রুমে আসতে বলেছেন। আমরা অপেক্ষা করছি। তিনি বলেন, এই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অনেক কঠিন। সিট পাওয়া যায় না।
পটুয়াখালী থেকে এসেছেন নান্না মৃধা। বয়স ৭০ বছর। তিনি ১৪ মাস আগে স্ট্রোক করেছিলেন, এখন চলাফেলা করতে পারেন না, সে কারণে ভালো চিকিৎসার আশায় ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে এসেছেন। এদিকে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার বাইছারা বাজার এলাকা থেকে শাশুড়ি তৈয়ুবুন নেসাকে (৭৫) নিয়ে এসেছেন তাহমিনা। তিনি বলেন, আমার শাশুড়ি দুই মাস আগে স্ট্রোক করেছেন। এখন হাঁটতেও পারেন না, বাঁ পা ও হাতে জোড় পান না, আর এলোমেলো কথা বলেন।
ইসাহাক, নান্না মৃধা কিংবা তৈয়ুবুন নেসার মতো অসংখ্য রোগীকে ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড নিউরোরিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। জানা যায়, এই হাসপাতালে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৪০ জনের মতো রোগী থেরাপি নিয়ে যান। তবে জেলা-উপজেলায় রিহ্যাবিলিটেশন সেবা না থাকায় বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। বাধ্য হয়ে তারা ছুটে আসছেন রাজধানী শহরে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ১৮ কোটি জনসংখ্যার দেশে ৮ থেকে ১০ হাজার ফিজিক্যাল মেডিসিনের চিকিৎসক থাকা দরকার হলেও সংখ্যাটি খুবই কম। এছাড়া দেশে ফিজিওথেরাপিস্ট আছে সাড়ে ৪ হাজারের মতো। অকুপেশনাল থেরাপিস্ট আছে প্রায় ১৫০ জন, আর স্পিচ থেরাপিস্ট ৫০ জনের মতো। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সেবাটি অপ্রতুল হওয়ায় রোগীদের রাজধানী ও বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে ছুটতে হয়।
বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর তৃতীয় কারণ স্ট্রোক। ফলে অধিকাংশ মানুষ এর লক্ষণ বুঝতে না পারার কারণে হাসপাতালে রোগীকে আনতে দেরি করেন। অথচ স্ট্রোকের রোগীর জন্য প্রথম চার ঘণ্টা গোল্ডেন আওয়ার বা অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিতে পারলে, শুধু ওষুধ দিয়েই রোগী একদিন পরেই সুস্থ শরীরে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে পারে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্ট্রোকের রোগীর মৃত্যুঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনা প্যারালাইসিস প্রতিরোধ এবং পরবর্তী স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাসে ফিজিক্যাল মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা সহায়তা করে। সময় মতো এই চিকিৎসা পেলে ৩০ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে যায়। অনেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে মুগদা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এহসানুল হক খান বলেন, স্ট্রোকের রোগীর রোগ নির্ণয়ে সিটি স্ক্যান প্রয়োজন হয়। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে এখন পর্যন্ত সিটি স্ক্যান মেশিন নেই। তবে চিকিৎসকরা ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস করতে পারেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী চেনার উপায়- মুখ বেঁকে যাওয়া, হাত একদিকে ঝুঁলে যাবে বা শক্তি কম পাবে, চোখে ঝাপসা দেখা এবং রোগীর কথা জড়িয়ে যাবে। তীব্র মাথা ব্যথা এবং রোগী হঠাৎ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারে।
দেশের এমন পরিস্থিতিতে আজ ২৯ অক্টোবর বিশ্ব স্ট্রোক দিবস-২০২৪। বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে- ‘টুগেদার উই ক্যান বি গ্রেটার দেন স্ট্রোক অর্থাৎ আমাদের ঐক্য স্ট্রোকের চেয়েও প্রবল।’
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কোনো কারণে বিঘ্নিত হলে স্ট্রোক সংঘটিত হয়। বিশেষ করে রক্তনালি বন্ধ হয়ে কিংবা রক্তনালি ছিঁড়ে মস্তিষ্কে এই রক্ত সরবরাহ বিঘিœত হয়। রক্তে থাকে অক্সিজেন, সেই অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের টিস্যুগুলো মারা যায়। স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় কারণ হলো উচ্চ রক্তচাপ। সারা বিশ্বে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ স্ট্রোক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে অসচেতনতার অভাবেই এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের দেশে এখন ১৫ থেকে ২০ লাখ স্ট্রোকের রোগী রয়েছে। স্ট্রোক সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উদযাপিত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ স্ট্রোক আমাদের মতো দেশে হবে। এর প্রধান কারণ, অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি, ফাস্টফুড, ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত লাইফ স্টাইল। স্ট্রোক প্রতিরোধে সবার আগে আমাদের লাইফ স্টাইলে পরিবর্তন আনতে হবে। ডায়েট মেনে চলতে হবে ও নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। ২০০৬ সালে প্রথম ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন দিবসটি পালন শুরু করে। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হন স্ট্রোকে।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরো সার্জন্স এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সকাল সাড়ে ৮টায় রেলি অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিল্টন হলে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে রোগীদের লাইভ সার্জারি করা হবে। এছাড়া নিউরোসার্জারি সোসাইটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানী, বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে রোগটি সম্পর্কে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। (দৈনিক ইত্তেফাক)