নিউইয়র্ক ০৪:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিদেশিদের ঢাকা সফর নিয়ে উৎসুক রাজনৈতিক দলগুলো

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
  • / ৪৫ বার পঠিত

গ্রাফিকস: গাজী শাজাহান

বাংলাদেশ ডেস্ক : জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোতে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। এরইমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে, এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের বৈঠক হওয়ার বিষয়ে খবর মেলেনি।

বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সফরের মূল বিষয় রোহিঙ্গা ও মানবাধিকার প্রসঙ্গ। এ ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীলরাও আশা করছেন, এ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা সৃষ্টি হবে।

ইইউ’র সঙ্গে বৈঠক হবে যেসব দলের

নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইইউ’র ছয় সদস্যের একটি নির্বাচনি অনুসন্ধানী অগ্রগামী দল—‘ইইউ ইলেকশন এক্সপ্লরেটরি মিশন’ (ইএক্সএম) শনিবার (৮ জুলাই) ঢাকায় এসেছে। দলের কোনও কোনও সদস্য আজ রবিবারও ঢাকায় পৌঁছেছে। প্রতিনিধি দলটি দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফর করবে। এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপ করতে এরইমধ্যে ডাক পেয়েছে ঢাকার বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এসব দলের মধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও এবি পার্টি উল্লেখযোগ্য।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে জানানো হয়েছে, প্রতিনিধি দল নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিকস ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়াদি মূল্যায়ন করবে। পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থানকালে সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে ইচ্ছুক বলে ঢাকায় ইইউ ডেলিগেশন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে।

ইইউ’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এককভাবে নাকি যৌথভাবে বৈঠক হবে—এ বিষয়টি কোনও নেতা নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে কূটনৈতিক একটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছে, ১৫ জুলাই বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় হবে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইইউ’র পক্ষ থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই আমাদের দলের একটি প্রতিনিধি দল তাদের আমন্ত্রণে যাবে।’

বিএনপির বিদেশ বিষয়ক কমিটির প্রভাবশালী একজন সদস্য রবিবার (৯ জুলাই) বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ইইউর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ১৫ জুলাই বৈঠক হওয়ার শিডিউল রয়েছে। দলের ৫-৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল এতে অংশগ্রহণ করবে।

আমার বাংলাদেশ পার্টিকেও (এবি পার্টি) একই দিন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকা অফিসে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান দলটির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মনজু। তিনি উল্লেখ করেন, তার দলের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেবে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৫ জুলাই গুলশানে ইইউ’র কার্যালয়ে ঢাকা সফররত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে আমন্ত্রিত রাজনৈতিক দলগুলো সমন্বিতভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে দলগুলোর মতামত চাইবে সফরকারী ‘ইউ ইলেকশন এক্সপ্লরেটরি মিশন’ (ইএক্সএম)।

তবে গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ, জামায়াতে ইসলামীসহ ডান-বাম ধারার দলগুলো আমন্ত্রণ পেয়েছে কিনা—তা এই দলগুলোর নেতারা নিশ্চিত করতে পারেননি। এ ক্ষেত্রে কোনও কোনও দলের দায়িত্বশীলরা বৈঠকের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক জানান, তিনি বা তাদের মঞ্চের কেউ আমন্ত্রিত কিনা, তা তিনি নিশ্চিত নন। ইইউ’র আমন্ত্রণের বিষয়টিও তার জানা নেই বলে জানান সাইফুল হক।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি ও নির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ইইউ’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি এখনও ঠিক হয়নি। তবে সম্ভাবনা আছে।’

গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সাক্ষাৎ অনিশ্চিত

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইলেকশন এক্সপ্লরেটরি মিশনের’ সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সাক্ষাৎ হলেও ঢাকায় আসন্ন সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কোনও দলের বৈঠক হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত।

রবিবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কোনও দলের সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১১-১৪ জুলাই ঢাকা সফরে আসার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু-সহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের।

এরইমধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়কমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ মোমেন সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে, কিন্তু এটি যে নির্বাচনকেন্দ্রিক সফর—সেটাও ভাবাও ঠিক হবে না।’

একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সফরটি সরকারের সঙ্গে দেশটির শীতল সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। এক্ষেত্রে কোনও কোনও বিরোধী দল বিষয়টি নির্বাচনকেন্দ্রিক হিসেবে দাবি করলেও আদতে এর সম্ভাবনা প্রায় ক্ষীণ।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক শীর্ষ নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে এরইমধ্যে জানানো হয়েছে— অ্যাম্বাসিতে কোনও পলিটিক্যাল মিটিং হবে না।

জানতে চাইলে রবিবার দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলটির বিদেশ বিষয়ক কমিটির প্রধান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের কোনও শিডিউল আমার জানামতে এখনও হয়নি।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসির সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি।’সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

নাসরিন /হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বিদেশিদের ঢাকা সফর নিয়ে উৎসুক রাজনৈতিক দলগুলো

প্রকাশের সময় : ০৬:১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোতে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। এরইমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে, এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের বৈঠক হওয়ার বিষয়ে খবর মেলেনি।

বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সফরের মূল বিষয় রোহিঙ্গা ও মানবাধিকার প্রসঙ্গ। এ ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীলরাও আশা করছেন, এ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা সৃষ্টি হবে।

ইইউ’র সঙ্গে বৈঠক হবে যেসব দলের

নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইইউ’র ছয় সদস্যের একটি নির্বাচনি অনুসন্ধানী অগ্রগামী দল—‘ইইউ ইলেকশন এক্সপ্লরেটরি মিশন’ (ইএক্সএম) শনিবার (৮ জুলাই) ঢাকায় এসেছে। দলের কোনও কোনও সদস্য আজ রবিবারও ঢাকায় পৌঁছেছে। প্রতিনিধি দলটি দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফর করবে। এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপ করতে এরইমধ্যে ডাক পেয়েছে ঢাকার বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এসব দলের মধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও এবি পার্টি উল্লেখযোগ্য।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে জানানো হয়েছে, প্রতিনিধি দল নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিকস ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়াদি মূল্যায়ন করবে। পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থানকালে সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে ইচ্ছুক বলে ঢাকায় ইইউ ডেলিগেশন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে।

ইইউ’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এককভাবে নাকি যৌথভাবে বৈঠক হবে—এ বিষয়টি কোনও নেতা নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে কূটনৈতিক একটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছে, ১৫ জুলাই বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় হবে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইইউ’র পক্ষ থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই আমাদের দলের একটি প্রতিনিধি দল তাদের আমন্ত্রণে যাবে।’

বিএনপির বিদেশ বিষয়ক কমিটির প্রভাবশালী একজন সদস্য রবিবার (৯ জুলাই) বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ইইউর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ১৫ জুলাই বৈঠক হওয়ার শিডিউল রয়েছে। দলের ৫-৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল এতে অংশগ্রহণ করবে।

আমার বাংলাদেশ পার্টিকেও (এবি পার্টি) একই দিন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকা অফিসে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান দলটির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মনজু। তিনি উল্লেখ করেন, তার দলের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেবে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৫ জুলাই গুলশানে ইইউ’র কার্যালয়ে ঢাকা সফররত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে আমন্ত্রিত রাজনৈতিক দলগুলো সমন্বিতভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে দলগুলোর মতামত চাইবে সফরকারী ‘ইউ ইলেকশন এক্সপ্লরেটরি মিশন’ (ইএক্সএম)।

তবে গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ, জামায়াতে ইসলামীসহ ডান-বাম ধারার দলগুলো আমন্ত্রণ পেয়েছে কিনা—তা এই দলগুলোর নেতারা নিশ্চিত করতে পারেননি। এ ক্ষেত্রে কোনও কোনও দলের দায়িত্বশীলরা বৈঠকের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক জানান, তিনি বা তাদের মঞ্চের কেউ আমন্ত্রিত কিনা, তা তিনি নিশ্চিত নন। ইইউ’র আমন্ত্রণের বিষয়টিও তার জানা নেই বলে জানান সাইফুল হক।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি ও নির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ইইউ’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি এখনও ঠিক হয়নি। তবে সম্ভাবনা আছে।’

গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সাক্ষাৎ অনিশ্চিত

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইলেকশন এক্সপ্লরেটরি মিশনের’ সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সাক্ষাৎ হলেও ঢাকায় আসন্ন সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কোনও দলের বৈঠক হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত।

রবিবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কোনও দলের সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১১-১৪ জুলাই ঢাকা সফরে আসার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু-সহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের।

এরইমধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়কমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ মোমেন সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে, কিন্তু এটি যে নির্বাচনকেন্দ্রিক সফর—সেটাও ভাবাও ঠিক হবে না।’

একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সফরটি সরকারের সঙ্গে দেশটির শীতল সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। এক্ষেত্রে কোনও কোনও বিরোধী দল বিষয়টি নির্বাচনকেন্দ্রিক হিসেবে দাবি করলেও আদতে এর সম্ভাবনা প্রায় ক্ষীণ।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক শীর্ষ নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে এরইমধ্যে জানানো হয়েছে— অ্যাম্বাসিতে কোনও পলিটিক্যাল মিটিং হবে না।

জানতে চাইলে রবিবার দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলটির বিদেশ বিষয়ক কমিটির প্রধান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের কোনও শিডিউল আমার জানামতে এখনও হয়নি।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসির সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি।’সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

নাসরিন /হককথা