নিউইয়র্ক ০২:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের ভোট কার বাক্সে যাবে সেই হিসাবনিকাশ চলছে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • / ৩৪ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক :  সিসিকের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী সুবিধবাজারের সাঈদ আব্দুল্লার বাসার সামনে শুক্রবার কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে সশস্ত্র মহড়া দেওয়ার ঘটনায় এর সঙ্গে জড়িত আতিকুর রহমান, জুবের আহমদ ও নুরুজ্জামানকে শনিবার আটক করা হলেও প্রধান আসামি এখানো গ্রেফতার হয়নি বা ঐ আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়নি। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) সুদিপ দাস রবিবার বিকালে ইত্তেফাককে জানান, কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খান-সহ ২০-২৫ জন আসামি। বাকিদের গ্রেফতারে জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঐদিন ঘটনার সময় আরেকটি মোটরসাইকেলে কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খানকে সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। পরে কাউন্সিলর প্রার্থী সায়ীদ আব্দুল্লাহ রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ জানিয়ে তিনি নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের অনুরোধ জানান। ঘটনাটি শহরে বেশ চাঞ্চল্য ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এদিকে সিলেটের শান্ত পরিবেশে নির্বাচনি প্রচারণা চলছিল স্বাভাবিক গতিতেই। প্রার্থীরা যে যার মতো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাত্ করেই শুক্রবার শান্ত নগরীতে অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু হলে সাধারণ মানুষ শঙ্কিত হয়ে উঠেন। নির্বাচন নিয়ে চাপা উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) সুদিপ দাস অবশ্য বলেছেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

অন্যদিকে সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির কোনো প্রার্থী অংশ না নিলেও বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের ভোট কার বাক্সে যাবে সেই হিসাবনিকাশ চলছে এখন সিলেটে। প্রথম অবস্থায় সিসিক নির্বাচনে বিএনপি নেতা ও বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করবেন—এমনি ধারণা ছিল নগরবাসীর। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তার দলের নির্দেশে তিনি নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দিলে তার সমর্থকরা হতাশ হন।

মূলত : আরিফুল হকের এই ঘোষণার পর থেকে সিসিক নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সেই আগ্রহ হারিয়ে যায়। সিলেটে নির্বাচনি আবহ যেন সে রকম তুঙ্গে উঠছে না। কারণ এবার সিসিক নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে আগ্রহ হওয়ার কথা সেটা নেই। তাই চায়ের আসরে মেয়র পদে নির্বাচন আলোচনা তেমন জমছে না। তবে মহল্লায়-মহল্লায় কাউন্সিলর প্রার্থীরা দিনরাত নির্ঘুম সময় কাটাচ্ছেন।

নগরের অনেকেই প্রশ্ন করে বলছেন, বর্তমানে মেয়র পদে যে আট জন লড়াইয়ে নেমেছেন—এর মধ্যে নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে সেই অবস্থা এখনো তৈরি হয়নি। তবে বাকি সাত জন মেয়র প্রার্থী জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে এগিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের নজরুল ইসলাম বাবুল। আবার অনেকেই মনে করছেন, বাবুল যদি বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের ভোট টানতে পারেন, তাহলে তুমুল প্রতিযোগিতা হবে।

তবে আনোয়রুজ্জামানের সমর্থকরা বলেছেন, এবার সিসিক নির্বাচনে নৌকা বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবে। তারা এ যুক্তি দেখিয়েছেন যে, নৌকা পাশ হলে সিলেট নগরী সত্যিকার অর্থে একটি স্মার্ট নগরীতে পরিণত হবে। এক সময় সবার ধারণা ছিল, বিএনপি ও আরিফবিহীন নির্বাচন হবে একতরফা। আর খালি মাঠে গোল দেবেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। কিন্তু আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীও বসে নাই। হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান হাতপাখা নিয়ে নগরে ঘুরছেন।

আনোয়ার : নৌকা প্রতীকে মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিলেটের মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উন্নয়নে বিশ্বাস করেন। তাই সিলেটের উন্নয়নের জন্য তিনি হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু অপরিকল্পিত কাজের জন্য নগরবাসী এর সুফল পাননি। একটি পরিকল্পিত নগরীর প্রত্যাশায় নগরবাসী নৌকা প্রতীক বেছে নিয়েছে। নৌকা প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

নজরুল : জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, এই সরকার কিংবা সরকার দলীয় প্রার্থীর ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা নেই। মানুষ বিকল্প খুঁজছে। তারা চাইছে জাতীয় পার্টির মতো দেশদরদী দলের প্রতিনিধি।

মাহমুদুল হাসান : নির্বাচন প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলেন, নগরবাসী আর সরকার দলীয় মেয়র দেখতে চাইছেন না। মানুষ পছন্দের প্রতীক হিসেবে হাতপাখাকে বেছে নিয়েছে।

গাজীপুর ও সিলেট এক নয় : গাজীপুরের নির্বাচনের ফলাফল দেখে সিলেটের রাজনৈতিকদের মাঝে নানা কথাবার্তা হচ্ছে। যদিও অনেকেই বলছেন : গাজীপুর আর সিলেট এক নয়। তবুও আতঙ্ক দূর করতে আওয়ামী লীগের নেতারা কেন্দ্র থেকে আসছেন দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে। অন্যদিকে নৌকার পক্ষের ভোটারদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে । সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক

সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের ভোট কার বাক্সে যাবে সেই হিসাবনিকাশ চলছে

প্রকাশের সময় : ১০:৪৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক :  সিসিকের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী সুবিধবাজারের সাঈদ আব্দুল্লার বাসার সামনে শুক্রবার কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে সশস্ত্র মহড়া দেওয়ার ঘটনায় এর সঙ্গে জড়িত আতিকুর রহমান, জুবের আহমদ ও নুরুজ্জামানকে শনিবার আটক করা হলেও প্রধান আসামি এখানো গ্রেফতার হয়নি বা ঐ আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়নি। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) সুদিপ দাস রবিবার বিকালে ইত্তেফাককে জানান, কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খান-সহ ২০-২৫ জন আসামি। বাকিদের গ্রেফতারে জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঐদিন ঘটনার সময় আরেকটি মোটরসাইকেলে কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খানকে সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। পরে কাউন্সিলর প্রার্থী সায়ীদ আব্দুল্লাহ রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ জানিয়ে তিনি নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের অনুরোধ জানান। ঘটনাটি শহরে বেশ চাঞ্চল্য ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এদিকে সিলেটের শান্ত পরিবেশে নির্বাচনি প্রচারণা চলছিল স্বাভাবিক গতিতেই। প্রার্থীরা যে যার মতো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাত্ করেই শুক্রবার শান্ত নগরীতে অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু হলে সাধারণ মানুষ শঙ্কিত হয়ে উঠেন। নির্বাচন নিয়ে চাপা উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) সুদিপ দাস অবশ্য বলেছেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

অন্যদিকে সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির কোনো প্রার্থী অংশ না নিলেও বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের ভোট কার বাক্সে যাবে সেই হিসাবনিকাশ চলছে এখন সিলেটে। প্রথম অবস্থায় সিসিক নির্বাচনে বিএনপি নেতা ও বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করবেন—এমনি ধারণা ছিল নগরবাসীর। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তার দলের নির্দেশে তিনি নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দিলে তার সমর্থকরা হতাশ হন।

মূলত : আরিফুল হকের এই ঘোষণার পর থেকে সিসিক নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সেই আগ্রহ হারিয়ে যায়। সিলেটে নির্বাচনি আবহ যেন সে রকম তুঙ্গে উঠছে না। কারণ এবার সিসিক নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে আগ্রহ হওয়ার কথা সেটা নেই। তাই চায়ের আসরে মেয়র পদে নির্বাচন আলোচনা তেমন জমছে না। তবে মহল্লায়-মহল্লায় কাউন্সিলর প্রার্থীরা দিনরাত নির্ঘুম সময় কাটাচ্ছেন।

নগরের অনেকেই প্রশ্ন করে বলছেন, বর্তমানে মেয়র পদে যে আট জন লড়াইয়ে নেমেছেন—এর মধ্যে নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে সেই অবস্থা এখনো তৈরি হয়নি। তবে বাকি সাত জন মেয়র প্রার্থী জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে এগিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের নজরুল ইসলাম বাবুল। আবার অনেকেই মনে করছেন, বাবুল যদি বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের ভোট টানতে পারেন, তাহলে তুমুল প্রতিযোগিতা হবে।

তবে আনোয়রুজ্জামানের সমর্থকরা বলেছেন, এবার সিসিক নির্বাচনে নৌকা বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবে। তারা এ যুক্তি দেখিয়েছেন যে, নৌকা পাশ হলে সিলেট নগরী সত্যিকার অর্থে একটি স্মার্ট নগরীতে পরিণত হবে। এক সময় সবার ধারণা ছিল, বিএনপি ও আরিফবিহীন নির্বাচন হবে একতরফা। আর খালি মাঠে গোল দেবেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। কিন্তু আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীও বসে নাই। হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান হাতপাখা নিয়ে নগরে ঘুরছেন।

আনোয়ার : নৌকা প্রতীকে মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিলেটের মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উন্নয়নে বিশ্বাস করেন। তাই সিলেটের উন্নয়নের জন্য তিনি হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু অপরিকল্পিত কাজের জন্য নগরবাসী এর সুফল পাননি। একটি পরিকল্পিত নগরীর প্রত্যাশায় নগরবাসী নৌকা প্রতীক বেছে নিয়েছে। নৌকা প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

নজরুল : জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, এই সরকার কিংবা সরকার দলীয় প্রার্থীর ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা নেই। মানুষ বিকল্প খুঁজছে। তারা চাইছে জাতীয় পার্টির মতো দেশদরদী দলের প্রতিনিধি।

মাহমুদুল হাসান : নির্বাচন প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলেন, নগরবাসী আর সরকার দলীয় মেয়র দেখতে চাইছেন না। মানুষ পছন্দের প্রতীক হিসেবে হাতপাখাকে বেছে নিয়েছে।

গাজীপুর ও সিলেট এক নয় : গাজীপুরের নির্বাচনের ফলাফল দেখে সিলেটের রাজনৈতিকদের মাঝে নানা কথাবার্তা হচ্ছে। যদিও অনেকেই বলছেন : গাজীপুর আর সিলেট এক নয়। তবুও আতঙ্ক দূর করতে আওয়ামী লীগের নেতারা কেন্দ্র থেকে আসছেন দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে। অন্যদিকে নৌকার পক্ষের ভোটারদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে । সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক

সুমি/হককথা